সংবাদদাতা, নদীয়া:
সমাজ কল্যাণে সর্বভারতীয় নবচেতনা কাজ করছে প্রতি নিয়ত। রবিবার বাল্য বিবাহ রোধ করতে একটি সেমিনারের সঙ্গে দুস্থদের কম্বল বিতরণ, মাদ্রাসাতে বাঁচাদের আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে কম্পিউটারে প্রদান ও মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছিল সর্বভারতীয় নবচেতনার উদ্যোগে নদিয়ার আলাইপুর গ্রামে।
ডা: নাবিলা খান সমাজকর্মী বলছিলেন “চিকিৎসা ব্যবস্থার বহু উন্নতি হয়েছে তবুও বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বেহাল দশা চলছে তাই বহু কষ্ট করে মানুষকে দূর দুরন্ত দৌড়াতে হচ্ছে সু চিকিৎসা করানোর জন্য। বহু টাকা খরচ, গরীব অসহায় মানুষের পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনা, তাই সর্বভারতীয় নবচেতনার উদ্যোগে শুরু হলো ফ্রি চিকিৎসা পরিষেবা মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া, ফ্রি মেডিসিন, ফ্রি পরীক্ষা নিরীক্ষা সহ, আর যে রোগ গুলো মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায় শুধু না জানার কারণে তা হলো ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন, হার্ট ও কিডনি সহ বহু অসুখ তা চিহ্নিত করে সঠিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সর্বভারতীয় নবচেতনার সভাপতি ও সদস্যরা এগিয়ে আসছেন। এটা বড় আনন্দের বিষয় মানুষের কল্যাণে কাজ করছেন।”
সামাজিক অঙ্গীকার পূরণ করতে অবাধে এবং নিরলসভাবে সর্বভারতীয় নবচেতনা সমাজের জন্য কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারছে মানবিক দায় নিয়ে।
“একটি বিষয় অবহিত করতে চাই সর্বভারতীয় নবচেতনা সমাজ কল্যাণকর ও দাতব্য সংস্থা সমাজের পিছনের অংশের উন্নয়নের জন্য দরিদ্রতমদের মধ্যে কাজ করছে রাজ্য জুড়ে।
আমরা একটি মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্প ও বাল্য বিবাহ রোখার জন্য সেমিনারও আয়োজন করেছিলাম ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ রবিবার নদীয়ার আলাইপুর গ্রামে।
আমাদের সর্বভারতীয় নবচেতনার মাননীয় চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর, আইপিএস, পুলিশ বিভাগে ডিআইজি পদে কর্মরত, ড. আবুল হোসেন বিশ্বাস, কোষাধ্যক্ষ, একজন বিখ্যাত লেখক ও গবেষক তিনিও উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক আনিসুর রহমান খোদাবক্স, ফারুক ইসলাম, পীরজাদা খোবায়েব আমিন, আজাদ মহলদার, সামিউল হক, মসজিদের ইমাম কওসার আলি, শিক্ষক চৌধুরী হামিম রৌশন, সিদ্দিকীয় কোরানিয়া নুর মকতব খানার কম্পিউটার শিক্ষক সারাফুল হক সহ বহু সদস্য উপস্থিত থাকবেন।
মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্প পরিচালনা করলেন, ডা: খাজা আলিম আহমেদ, এমবিবিএস (ক্যাল) ডিজিও, ডা: সিরাজ আহমেদ, এমবিবিএস, ডা: রবি মান্না, এমবিবিএস (ক্যাল), ডা: সৌরভ ঘোষ, বিডিএস, ডেন্টাল সার্জন, ডা: অন্তরা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিডিএস, ডা: জয়ন্ত মিশ্র, এমবিবিএস (ক্যাল), ডা: পিযুষ বাগচি, এমবিবিএস (ক্যাল), ডিসিএ, এমডি, অধ্যাপক আনু সিং, এমবিবিএস (ক্যাল), ডিও, ডা: নাবিল খান, বি.এইচ.এম.এস. (এন.এম.সি), ডা: রানা রায়, ডা: মেসবুল আলম, ডা: অসেদুর রহমান, ডা: সালমান হালদার কল্যাণী জে এম হসপিটাল, ফার্মাসিস্ট আলতাফ মীর সহ অন্যান্য অনেক মঅতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
সর্বভারতীয় নবচেতনা দ্বারা সংগঠিত মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্প এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের বিবাহ দেওয়া বন্ধ করতে যে সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছিল তা মানুষের মনে দাগ কাটল।
মেডিকেল চেক্যাপ ক্যাম্প আলাইপুর জামে মসজিদের নিকট এই মহত অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সেমিনার হয় আলাইপুর গ্রামের সিদ্দিকীয়া আমিনিয়া কুরিনীয়া নূর মুক্তাব খানায় ।” বলছিলেন ফারুক আহমেদ, আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক, সর্বভারতীয় নবচেতনা।
“অল ইন্ডিয়া নবচেতনা” রেজিস্ট্রেশন হয়েছে গত মাসের ৩০ নভেম্বর ২০১৮-তে। গত ৯ ডিসেম্বর, রবিবার সর্বভারতীয় নবচেতনার আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠান হয়ে হয়ে গেল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্কসার্কস ক্যাম্পাসের অডিটোরিয়ামে। এদিনটি ছিল নারী শিক্ষা প্রসারে অফুরন্ত কাজ করেছেন যাকে নারী মুক্তির কান্ডারি বলা হয় সেই রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের মৃত্যু দিন। এই দিনটিকেই স্মরণ করতে এবং “অল ইন্ডিয়া নবচেতনা” (সর্বভারতীয় নবচেতনা) সংগঠনের আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশের জন্য ঠিক করলেন এই সহস্থার অন্যতম কর্ণধার তথা সভাপতি ড. হুমায়ুন কবীর ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
এদিন রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও লেখক রোকেয়া গবেষক ড. মীরাতুন নাহার।
“সর্বভারতীয় নবচেতনা”র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারী কল্যাণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে স্মরণ করা হয়।
৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ রবিবার দুপুরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পার্ক সার্কাস ক্যামপাসের অডিটোরিয়ামে “সর্বভারতীয় নবচেতনা”র আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বাংলার রোকেয়া গবেষক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মীরাতুন নাহার ও আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. আমজাদ হোসেনন।
“সর্বভারতীয় নবচেতনা”র কাজ ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন এই সমাজিক সংগঠনের সভাপতি ড. হুমায়ুন কবীর, আইপিএস, ডিআইজি, মোঃ নিজাম শামিম, আইপিএস, নিশাত পারভেজ, আইপিএস, ডিআইজি, সিআইডি, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ড. নুরশেদ আলি, নদীয়া জেলার পিপি নাসির উদ্দিন আহমেদ, আইনজীবি ইনতাজ আলি শহ, সমাজকর্মী পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম খান, ড. খাজা আলিম আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, আজাদ মহলদার, শামসুল আলম, কাজী সিরাজুল ইসলাম, পীরজাদা সৈয়দ রুহুল আমিন, পীরজাদা খোবায়েব আমিন, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, সুমন মুন্সি, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
এদিন প্রতি বছরের মতো “উদার আকাশ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মারক সম্মাননা ২০১৮” প্রদান করা হয়। উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ উদার আকাশ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মারক সম্মাননা ড. মীরাতুন নাহার-এর হাত দিয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও অধ্যাপক সুমন মুন্সির হাতে তুলে দেন। পাশে ছিলন সমস্ত অতিথিরা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে কবিতা পড়লেন কবি আরফিনা।
সংগীত পরিবেশন করলেন সংগীতশিল্পী পলাশ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, সমাজকর্মী ইয়াসিন পাঠান, খালেদ ইবাদুল্লাহ, ফারহাদ হোসেন, চৌধুরী হামিম রৌশন, নরুল হক, সাজ্জাদ আলি, গোলাম কিবরিয়া, তাজমত শেখ, সামিউল হক, মাসুদুর রহমান, সাবির আলি, তানবীর ইসলাম খান, সবনম হোসেন, অধ্যাপক সাইফুল্লাহ সহ বহু বিশিষ্ট মানুষেরা এসেছিলেন এবং সর্বভারতীয় নবচেতনার আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান সার্থক করলেন।
সম্প্রতি “সবর্ভারতীয় নবচেতনা”র উদ্যোগে পলশুন্ডায় সেচ্ছায় ৮০ জন রক্তদান করেন, দুস্থদের কম্বল বিতরণ ও কৃতি ছাত্র-ছাত্রী ও গুণীজনদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মধ্য দিয়ে।
“সবর্ভারতীয় নবচেতনা”র উদ্যোগে গত ২৫ নভেম্বর রবিবার সকালে পলশুনডার তরুণ সংঘ প্রাঙ্গণে এক মহতি স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির ও শিক্ষা-পেশা-সমাজসেবায় সফল ও বিশেষ কৃতিত্বের অধিকারীদের সংবর্ধনা, দুঃস্থ মানুষদের কম্বল ও বস্ত্র বিতরণ সহ বিনামূল্যে শ্রবণ-বাক-সমস্যার পরীক্ষা ও পরামর্শদান এবং ধর্ম যার যার দেশ সবার বিষয়ক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
উক্ত অনুষঠানের উদ্বোধন করেছিলেন “সবর্ভারতীয় নবচেতনা”র সভাপতি ড. হুমায়ুন কবীর, আইপিএস, ডি আই জি, রাজ্য ট্রাফিক পুলিশ ও প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন “সবর্ভারতীয় নবচেতনা”র কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ, সহ-অধিকর্তা দূরশিক্ষা বিভাগ, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজসেবী ড. আবুল হোসেন বিশ্বাস, সর্বভারতীয় নবচেতনার টেজারার।
বাংলার মানুষকে সচেতন করতেই “সর্বভারতীয় নবচেতনা” কাজ শুরু করেছেন। ড. হুমায়ুন কবীর আইপিএস সাহেব “সর্বভারতীয় নবচেতনা” প্লাটফর্ম সৃষ্টির উদ্দেশ্যগুলি তিনি যা তুলে ধরেছিলেন:
১. মুসলিম ও অনগ্রসর যুব সম্প্রদায়ের সার্বিকভাবে সুপথে চালিত করতে এই সংগঠন কাজ করবে। মুসলিম ও অনগ্রসর সমাজের মধ্যে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানোই মূল উদ্যোগ নেবে সর্বভারতীয় নবচেতনা। আমরা ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, বরং যুব সমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এর অপরিহার্যতা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু মুসলিম ও অনগ্রসরদের সামাজিক ক্ষেত্রে ও ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের এই প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য হল মুসলিম ও অনগ্রসর ছাত্র/যুব সম্প্রদায়কে সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করা।
২. লক্ষ্য করা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজের একাংশ ও অনগ্রসরদের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক অপরাধ, বিভিন্ন বে-আইনি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের এই সব মন্দ ক্ষেত্র থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা করা।
৩. আরো দেখা যাচ্ছে যে, মুসলিমরা ও অনগ্রসরা ভবিষ্যত বিষময় ফলাফলের কথা চিন্তা না করেই ব্যাপকভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, রাজনৈতিক হানাহানি এবং অন্য অনেক অবৈধ কাজে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। মুসলিম সমাজে এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। অনেক মুসলিম ও অনগ্রসরা এতে প্রাণ হারাচ্ছে, অনেকে আহত হচ্ছে, আবার অনেকেই মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে যাচ্ছে, যার প্রত্যক্ষ কুফল সেই মুসলিম ও অনগ্রসর পরিবারগুলিকে এবং সার্বিকভাবে মুসলিম সমাজকে ভুগতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের এই খারাপ পথ ও পন্থাগুলির কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে সুপথে ফিরিয়ে আনতে।
৪. আমরা আন্তরিকভাবে মুসলিম-দলিত-আদিবাসী ও অন্য সব ধর্মের যুবসমাজের জীবনের মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাবো।
৫. আমরা কঠোরভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে এবং অন্য সমস্ত জাতি,ধর্ম, বর্ণের সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে সহনশীলতার মহান আদর্শ বজায় রাখবো।
৬. আমরা কখনো কারো প্রতি ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক একদেশদর্শীতা দেখাবো না।
৭. এককথায়, আমরা কখনোই সমাজের কারো প্রতি খারাপ মনোভাব পোষণ করবো না।
৮. আমাদের লক্ষ্য হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় সমাজে টিকে থাকার পথ অনুসন্ধান, অনুসরণ এবং সরকারি ক্ষেত্রে যে সব সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলি সম্বন্ধে কওমের সকলকে সচেতন করা।
৯. আমরা চেষ্টা করবো ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার।
১০. আমাদের এই প্লাটফর্ম আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষকে সময় সময় দেশের উন্নয়নের ও অগ্রগতির হালহকিকত সম্পর্কে অবগত করে এবং এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের এগিয়ে যাবার পন্থা অনুসন্ধান করবে।
১১. সমস্ত ধরণের মুসলিম-দলিত-আদিবাসী ও অন্য পিছিয়ে রাখা সংগঠন, সে শিক্ষা, সমাজ, ধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ যে কোনো ধরণের ই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে যোগসুত্র গড়ে তোলা।
আমাদের লক্ষ্য হবে বেশি সংখ্যক মুসলিম ও অনগ্রসরশ্রেণির সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো।
যদি আমরা সকলে ঐক্যমত হই এবং কাজ করি, তাহলে ভবিষ্যতে সমাজের এই দুর্বল শ্রেণির কাছে পৌঁছে তাদের তুলে আনতে পারবো।
মুসলিমদের ও অনগ্রসরদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং মুসলিম ও অন্য সব সমাজের উন্নয়নের জন্য আমরা এমন একটি প্লাটফর্মের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছি যাতে আমরা এই সমাজের উন্নয়নের জন্য আমাদের দাবী-দাওয়া সমন্বিত জোরালো আওয়াজ তুলতে পারি।
কিন্তু আমাদের সদস্যদের সদা সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে যে আমরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি যেন কোনোরূপ ঘৃণা বা বিদ্বেষ পোষণ না করে ফেলি।
সকলের প্রতি আমাদের বিনম্র ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর অন্য যে বিষয়টি আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে তা হল, আমরা দেশের আইন কে মর্যাদা ও সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলবো।আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে আমরা বিনীত ও বিনম্রভাবে এগিয়ে যাবো। এই বিনীত-বিনম্র কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপই আমাদের সাফল্য লাভের পথ হয়ে উঠবে।
“সর্বভারতীয় নবচেতনা”র আহ্বায়ক ও সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ সংযোজন করে বললেন এই মুহূর্তে বাংলার ২৩ টি জেলায় “সর্বভারতীয় নবচেতনা” মানুষের কল্যাণে যে সব বিষয় নিয়ে কাজ করছে তা হল:
১. ল সেল (আইনি সহায়তা দান)।
২. মেডিক্যাল সেল (চিকিৎসা সহায়তা দান)।
৩. শিক্ষা সেল (আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সহায়তা)।
৪. কেরিয়ার কাউনসেলিং সেল (চাকরি পাওয়ার জন্য বা জীবিকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সুপরামর্শ দিয়ে সহায়তা)।
৫. সোশাল জাস্টিস সেল (সামাজিক ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা)।
৬. মিডিয়া সেল (মত ও নীতি প্রচার সেল) ইত্যাদি।
সর্বভারতীয় নবচেতনাতে যুক্ত হতে চাইলে হটস্ অ্যাপ করুন এই নম্বরে 7003821298