সংবাদদাতা, কলকাতা:
বছরের প্রথমদিন মঙ্গলবার কলকাতা পুরসভার ৯৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিবেক ও সংহতির উদ্যেগে বিদ্যাসাগর সেন্ট্রাল ক্লাবের মাঠে শুরু হলো বিবেক উৎসব। প্রদীপ প্রজ্জ্বলিত করে আনুষ্ঠানিক বিবেক উৎসবের শুভ সূচনা করলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ডা: সুকুমার হাঁসদা, রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রাক্তন বিদুৎ মন্রী মণীশ গুপ্ত, সর্বভারতীয় নবচেতনার সাধারণ সম্পাদক তথা উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ, প্রাক্তন ফুটবলার ক্রম্পটন দত্ত, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, বিদেশ বোস, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও নজরুল গবেষক আবুল হোসেন বিশ্বাস, কবি সৈয়দ হাসমত জালাল এবং এই উৎসবের প্রাণপুরুষ নিশীথ চক্রবর্তী ও দেবাশিস দাস। বিবেক উৎসব এবছর তিন বছরে পা দিল। এই উৎসবের মূল কান্ডারি হলেন কার্তিক ব্যানার্জী।
এদিন বিবেক উৎসবের মঞ্চে বিবেক সম্মান প্রদানের মাধ্যমে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। উত্তরীয় পরিয়ে পুষ্প স্তবক ও মেমেন্টো দিয়ে অতিথিদের সম্মানিত করলেন বিবেক ও সংহতির কর্মকর্তারা। সমাজের বিভিন্ন কৃতি মানুষের পাশাপাশিব এদিন সংবর্দ্ধিত হলেন সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ।
১ জানুয়ারি থেকে ৩ জানিয়ারি এই তিনদিনের উৎসবে প্রতিদিন থাকছে নানান সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিবেকানন্দর আদর্শকে সামনে রেখে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড নেওয়া হয়েছে। যা প্রতি বছরের মতোই এবছরের আয়োজন এলাকার মানুষকে মুগ্ধ করেছে।
স্বাস্থ্য পরিসেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে এদিন। দুঃস্থদের শীতবস্ত্র প্রদান এবং ছাত্রছাত্রীদের বই, খাতা পেন বিতরণ কর্মসূচি ছিল চোখে দেখার মতো।
উদ্বোধন উপলক্ষে আগত অতিথিদের মধ্যে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ডা: সুকুমার হাঁসদা, রাজ্যসভার সাংসদ ও প্রাক্তন বিদুৎ মন্রী মণীশ গুপ্ত, সর্বভারতীয় নবচেতনার সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ ও আবুল হোসেন বিশ্বাস।
বিবেক ও সংহতির উদ্যোগে বিবেক উৎসবে সুস্থ ভারত গড়তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী করার ডাক দিলেন ফারুক আহমেদ।
এদিন সংবর্দ্ধিত হয়ে ফারুক আহমেদ জানান, তিনি বিবেক সন্মান পেয়ে গর্বিত ও প্রাণিত হয়েছেন। “বিবেবেকান্দকে সামনে রেখে এমন কর্মকাণ্ড যা সমাজকে সুপথে চালিত করবে আশা রাখি এবং অনেক মানুষ এতে প্রাণিত হবেন। বিবেক ও সংহতির উদ্যোগে বিবেক উৎসবে সুস্থ সমাজ গড়ার অঙ্গীকারে আমরা আবদ্ধ হই, তাহলেই এই আয়োজন সার্থক।”