এই লজ্জা বিদ্যাসাগরের এই লজ্জা বিবেকানন্দের – সব ভোট NOTA কে দিন আর লাল নীল হলুদ সবুজ সব কটার গালে মারুন এক চড়
লেলিন মুচকি হেঁসে হয়তো প্রশ্ন করে ফেলেছেন পন্ডিত মশাই এরা আপনাকেও ছাড়লোনা ? আর দয়ারসাগর হয়তো উত্তর দিলেন “একসময় শিক্ষার প্রসারের জন্য প্রাণপাত করেছিলাম, তাই বোধহয় জমে থাকা অশিক্ষার পাহাড়টা আজ মাথায় ভেঙ্গে পড়লো ।ঈশ্বর এদের ক্ষমা কোরো” । যীশু উদাস নয়নে হয়তো কুরুষ বিদ্ধ হওয়ার দিন মনে করছেন । চিন্তিত রবি ঠাকুর হয়তো দাড়িতে হাত বুলোতে বুলোতে বলছেন কি যেন লিখেছিলাম “চিত্ত যেথা ভয় শূন্য ‘উচ্ছন্নে’ যেথা শির…”। গানের মধ্যে দিয়ে বিদেশিনী কে চেনালেও এই জনতা কে চেনানো ঠাকুর আপনার কম্মো নয় ।
খুব কষ্ট হচ্ছে বাঙালী ? জাতির স্বত্বায় আঘাত ? জুতো খেতে খেতে হাসতে শিখে গেছে জাতটা দু দিন চায়ের দোকানে আলোচনা হবে , আড্ডায় ঘন্টাখানেক তীব্র প্রতিবাদ করবো সবাই , দলটা গেরুয়া না প্ররোচনা দিল মাটির মানুষ ? এই প্রশ্নোর পোস্টমর্টেম করবো । আর হপ্তা খানেক পরে নিজের নিজের আবির নিয়ে বিজয় উৎসবে মেতে উঠবো । ভারমে যায় বাঙালি সংস্কৃতি দাদা দিদির হাত ধরে আবার ক্ষমতার কাছাকাছি থাকার চেষ্টা করবো ।
দোয়া করুন পবিত্র রমজান মাসে সবাই শশানের শান্তিতে থাকুন । বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ কোনো বিতর্কে অংশ নিয়ে কফির কাপ হাতে বোদ্ধা সেজে এই লজ্জার অভিমুখ পছন্দের দলের সুবিধার দিকে না করে বিবেকের দিকে দিন । একবার তো দল ছেড়ে দেশের কথা বলুন ।
বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছে আজ আর তাঁর আদর্শকে পদদলিত হতে দেখেছেন রোজ । সেই শুরুর দিনে প্রতিবাদ যখন করেননি আজ আর মেকি অহংবোধের ধ্বজা ধরে মায়া কান্নার কোনো জায়গা নেই ।
আপনাদের নিঃশ্চুপ থাকাটাই আপনাদের অপরাধ ,সিলেক্টিভ ক্রিটিসিজম ইজ মোর ডেনজারুস দ্যান এবসেন্স অফ ক্রিটিসিজম ।
যে ছেলেগুলো এই কাজ করলো তাদের নয় ,তাদের বাপ্ মা ও শিক্ষকদের ডেকে জিজ্ঞাসা করুন, এই বেজন্মাদের জন্ম দেয়ার লাইসেন্স তাদের কে দিলো । এখনো বাংলা কিছুই দেখেনি, আজ বিদ্যাসাগর অপমানিত হয়েছেন আগামী দিনে নিশ্চিত বিবেকানন্দ বা নেতাজির পালা । রবি ঠাকুর খুব সাবধান” দাড়ি ধরে মারো টান রবি হবে খান খান” না শুনতে হয় ।
তবে ভাববেন না ইমপোর্টেড বা কোনো বিশেষ দলের সারমেয় এই কাজ করেছে । এটা পূর্ব পরিকল্পিত কাজ ।
আসলে মৃত সমাজে আদর্শের আশা করাটাই ভুল । যদি কোথাও বিবেক বেঁচে তবে সব ভোট NOTA কে দিন। লাল নীল হলুদ সবুজ সব কটার গালে মারুন এক চড় । খবরদার গণতন্ত্রের উৎসব বলে বোবা সংবিধানটাকে আর অপমান করবেন না ।
এই লোকসভায় কলকাতার প্রতিনিধি হোক NOTA । বুলেট নয় ব্যালট এ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার জবাব দিন । মিষ্টি হেসে মাসিমা মেসোমশাই বলে ভোট চাইতে এলেই লাগান দুঘা জুতোর বারি।
এটা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দলের পতন নয় ,পতন একটি সমাজের একটি জাতির আর একটা দেশের ।
এই দুষ্কৃতীদের কেন খুনের আসামি বলা হবে না বলতে পারেন কেউ ?
জয় হিন্দ আর জয় শ্রী রাম এখন শ্রদ্ধার নয় রাজনীতির স্লোগান । বেশ্যা কে মা ডাকতে পারে যে দেবতুল্য মানুষ আজ তাঁকে অপমান করে একদল নিজের জন্মের কৌলিন্যের ওপরই প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে আর সেই শহর আমার শহর এই কথা ভাবতে কি ভালোই না লাগছে ।
সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থার দ্বারা তদন্ত হোক আর ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট হোক সব পক্ষেই । আর ততদিন লোকসভায় NOTA করুক বাংলার প্রতিনিধিত্ব ।
একটি সর্বভারতীয় দলের সভাপতির মিছিল আর প্রায় দাঙ্গার অবস্থা অথচ দুই দলের নেতাদের কাছে খবর নেই বা লালবাজার ঘুমোচ্ছিলো ।
জনগণকে আর বোকা বানাবেন না প্লিজ ।
*Author’s own opinion expressed in personal capacity. Channel not associated with it*