বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ
স্কুল ও উচ্চ শিক্ষার সংস্কারের জন্য নতুন শিক্ষা নীতি
বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে গবেষণার প্রসারের জন্য ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন চালুর ঘোষণা
খেলো ইন্ডিয়ার আওতায় ক্রীড়াবিদদের উন্নয়নের জন্য জাতীয় ক্রীড়া শিক্ষা পর্ষদ
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ০৫ জুলাই, ২০১৯
২০১৯-২০ অর্থবর্ষে “বিশ্বমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’ স্থাপনের জন্য শিক্ষা ক্ষেত্রে ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই খাতে বরাদ্দ অর্থের অঙ্ক গত বছরের সংশোধিত ব্যয়ের চেয়ে তিন গুণ বেশি ধরা হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থ ও কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন আজ সংসদে কেন্দ্রীয় বাজেট ২০১৯-২০ পেশ করার সময় এই তথ্য জানান। অর্থমন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে, দেশের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিশ্বের সেরাদের পর্যায়ে উন্নীত করতে সরকার নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতিও গ্রহণ করবে। এই নতুন নীতিতে স্কুল ও উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নত প্রশাসনিক ব্যবস্থা এবং গবেষণা ও উদ্ভাবনের ওপর আরও বেশি গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
গবেষণা ও উদ্ভাবনের উদ্দেশ্যগুলি সার্থক করে তুলতে, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী একটি ন্যাশনাল রিসার্চ ফাউন্ডেশন (এনআরএফ) চালুর কথা ঘোষণা করেছেন। এই জাতীয় গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন গবেষণামূলক কাজে অর্থ যোগান, সমন্বয়সাধন ও প্রসারের কাজ করবে। জাতীয় স্তরে গুরুত্বে থাকা বিষয়গুলির ওপর গবেষণার কাজ করতে এবং মৌলিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও গবেষণার প্রসার নিশ্চিত করবে এনআরএফ। একই বিষয়ের ওপর একাধিক গবেষণার কাজ বা এক্ষেত্রে অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রোধের দায়িত্বও এই প্রতিষ্ঠানের ওপর থাকবে। প্রত্যেকটি মন্ত্রকের কাছে থাকা এই খাতের অর্থ একত্রিত করে, তার সঙ্গে আরও প্রয়োজনীয় অর্থ যোগ করে এনআরএফ – এর তহবিল গঠন করা হবে।
২
শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন ‘ভারতে শিক্ষা গ্রহণ করো’ কর্মসূচির ঘোষণাও করেছেন। এর উদ্দেশ্য বিদেশি ছাত্রছাত্রীদের ভারতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী করে তোলা। আগামী বছর ভারতের উচ্চ শিক্ষা কমিশন বা এইচইসিআই স্থাপনের খসড়া বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশ করা হবে বলেও অর্থমন্ত্রী জানান। এই পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের উচ্চ শিক্ষা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সংস্কার সহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির স্ব-শাসন অর্জন ও সেখানে শিক্ষারত ছাত্রছাত্রীদের উন্নত ফলাফলের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হবে।
শ্রীমতী নির্মলা সীতারমন বলেন, খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচিকে আরও বিস্তারিত করে সবরকম আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে এবং খেলোয়াড়দের উন্নতিসাধনের জন্য একটি জাতীয় ক্রীড়া শিক্ষা পর্ষদ স্থাপন করা হবে। খেলো ইন্ডিয়া কর্মসূচির আওতায় এই পর্ষদ বিভিন্ন স্তরে ক্রীড়াকে জনপ্রিয় করে তোলার কাজ করবে।
সাম্প্রতিককালের সাফল্য অর্জনের বিষয়গুলির ওপর আলোকপাত করে শ্রীমতী সীতারমন বলেন, পাঁচ বছর আগেও বিশ্বের সেরা ২০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ভারতের একটি প্রতিষ্ঠানও ছিল না। কিন্তু, এখন সেরা ২০০-র তালিকায় দুটি আইআইটি এবং আইআইএসসি বেঙ্গালুরু স্থান পেয়েছে বলে মন্ত্রী জানান।
অর্থমন্ত্রী আরও বিস্তারিতভাবে বলে, ‘স্বয়ং’ কর্মসূচির মাধ্যমে অনলাইনে ওপেন কোর্সে শিক্ষা গ্রহণের সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে, দুঃস্থ শ্রেণীর পড়ুয়ারা এগিয়ে যেতে পারছেন। শিক্ষকতার মানোন্নয়ন করতে শিক্ষার ক্ষেত্রে গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ ফর ডিসঅ্যাডভান্টেজ সেকশন কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, বিশ্ব সেরা বিজ্ঞানী ও গবেষকদের দেশে আনা বলে মন্ত্রী জানান। গবেষণা, উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে উন্নয়নসাধন কর্মসূচিতে (ইমপ্রিন্ট) একাধিক আইআইটি এবং আইআইএসসি-গুলিকে নিয়ে একটি যৌথ উদ্যোগ চালু করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য, প্রয়োজনীয় কিছু ক্ষেত্রের যান্ত্রিক ও প্রযুক্তিগত সমস্যা সমাধানের জন্য গবেষণাকর্ম বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ। এর ফলে, এখন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি উদ্ভাবনের কেন্দ্র হয়ে উঠছে বলে জানান কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রী।