জয় শ্রীরাম নিয়ে মমতা ও অমিত শায়ের সৌজন্য বিনিময় খুবই তাৎপর্যপূর্ণ সঙ্গে যাদবপুরের তরজা – জীতে রাহো বাচ্চা সব ঝুটা ম্যায় সাচ্চা
রাজনীতি বড় দায় ঠ্যাকায় পড়লে রাম নামই ভরসা সে সকলেই মানে । রাম আর বাম একটা বিন্দুর তফাৎ কিন্তু যাদবপুর বোঝালো সময় আর সৌজন্য কোনো সীমায় বাঁধা নয় । শিক্ষা ক্ষেত্রে শুধু পুঁথিগত শিক্ষা যে কতটা রাষ্ট্র বিরোধী করে তুলতে পারে যাদবপুর ,জে এন ইউ তার সেরা উদাহরণ ।
বাবুল সুপ্রিয় কে মারা ব্যক্তি আক্রোশ নয় পরিকল্পিত খুনের পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপশাসন কত নিম্ন রুচির হতে পারে তার শ্রেষ্ঠ নমুনা ভারত দেখলো ।
বিজেপি কে খোলা মাঠে ওয়াক ওভার দেয়ার এর থেকে ভালো প্ল্যান আর কিছু হতে পারেনা । দিদি ও দাদারা দয়া করে ছাত্র রাজনীতির নাম করে শিক্ষা কেন্দ্রের আর অপমান হতে দেবেন না ।
একেই বাংলায় কর্ম শূন্যের নিচে (চপ মুড়ি সিন্ডিকেট ছাড়া) যে কটা ছেলে মেয়ে বেঙ্গালুরু বোম্বাইতে চাকরি পেতো এই নমুনার পর সেটাও যাবে । মাস ডিস্ ওবিডিয়ান্স কেউ চায় না তার অফিসে ।
ছাত্র ভাই বোনেরা এই চোখ ফাটা গণেশ বা ল্যাংড়া পাঁচু মার্কা নেতারা তোমাদের রোল মডেল নয় আগামী ভারত তোমাদের দিকে তাকিয়ে , দেশ কে কিছু দিতে না পারো ,দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা কে কলুষিত করোনা । যারা বিদেশে গবেষণার সুযোগ পাবে বা কাজ পাবে তাদের আগামী দিনে যাদবপুর একটা কালো দাগ না হয়ে যায় । যাঁরা ইউনিভার্সিটি পৌঁছেছেন তাঁদের বলে দিতে হবে না লাল নীল হলুদ সবুজ সব দল তাঁদের নিজের স্বার্থে কাজে লাগবে আর স্বততার প্রতীক বা আচ্ছে দিন কোনোটাই বাস্তবে দেখা যাবে না । শিক্ষা আনে চেতনা আর চেতনা আনে বিপ্লব কিন্তু চেতনা হীন বিপ্লব কি ভয়াবহ পরিস্থিতি আনে তা সকলে জানে না এমন নয় ।
যে ক্যান্সার আক্রান্ত মা ছেলের জন্য মন্ত্রীর কাছে ভিক্ষা চাইছেন জীবন সায়াহ্নে ভেবে দেখুন কোথায় ভুল হয়ে গেলো , মা হিসাবে মানুষ হওয়ার শিক্ষায় । আপনার চিন্তা ছেলের জন্য খুবই মানবিক, কিন্তু আপনার ছেলের আচরণ সমাজের জন্য হতাশার । প্রতিবাদের ভাষা যদি কুশিক্ষিতদের মতো হয় আর আচরণ সমাজ বিরোধীদের মতো , তবে, কোন মা তার মাতৃত্বের জন্য গর্ব করবে ?
আজ চায়ের আসরে সমাজের যে ছবিটা দেখলাম তা চরম বেদনার । একদল উল্লসিত পদ্ম দলিত করা গেছে আর অন্য দল ২০২১ এ ঘাসফুল কিভাবে সাফ হবে তার দিন গুনছে কিন্তু কেউ এটা ভাবছেনা গণতন্ত্র বিপন্ন লড়াই মস্তিষ্কের নয় ,পেশী শক্তির, আর সেটাই চিন্তার ।
সকল মায়েদের উদ্দেশে বলছি জন্ম দিয়ে ক্ষমা চাওয়া যদি কাম্য না হয়, তবে হাতের বেত তা শক্ত করুন । দেশ আপনার কাছে সুনাগরিকের প্রত্যাশা করে দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো ।