কাঠগড়ায় উপাচার্য: অধ্যাপকদের পদত্যাগের ঢল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে বায়োমেট্রিক প্রত্যাহার
নিজস্ব সংবাদদাতা, কল্যাণী:
কাঠগড়ায় উপাচার্য অধ্যাপকদের পদত্যাগের ঢল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবশেষে বায়োমেট্রিক চালুকরার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নিল কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
ইতিমধ্যে সব মিলিয়ে ৩০ জনের কাছাকাছি বিভাগীয় প্রধান ও প্রায় ৬০ দায়িত্বপ্রাপ্ত কমিটি থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা করলেন কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অপারদর্শিতা ও প্রশাসনিক অদক্ষতার ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে এখন এককাট্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, গবেষক ও কর্মচারীরা। অধ্যাপকরা আগেই যথাযথ আলোচনা ছাড়াই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিকাঠামো অবনমন ও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অপারদর্শিতা নিয়ে অধ্যাপকদের পাশাপাশি গবেষকরা আন্দোলনের পথে পা মিলিয়েছেন। পাশাপাশি অশিক্ষক কর্মচারীরাও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্দোলনে পা মিলিয়েছেন। কর্মচারী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মনোজ সিং জানাচ্ছেন, কর্তৃপক্ষ কর্মচারীদের নানান বিষয়ে মৌখিক আশ্বাস দিলেও বর্তমান উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের তিন বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পরও তিনি কর্মচারীদের স্বাভাবিক অবস্থার পরিবর্তন করতে চরম দূর্নীতিতে জড়িয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। চারজন কর্মচারীর বেতন ও রিনুয়াল আটকে রেখেছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে। তিন মাস বেতন বন্ধ করে রেখেছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ দূরবর্তী শিক্ষা দফতরের চারজন বদলি করা কর্মীর।
তার উপর কর্মচারীদের সঙ্গে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই অনৈতিকভাবে বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স চালু করতে চাইছেন। অবশেষে শিক্ষকদের আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে ওই সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরে আসতে বাধ্য হলেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ। আইনকে অমান্য করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ একাধিক আধিকারিক পদে ও শিক্ষক পদে নিয়োগ করেছেন যা নিয়ে উঠছে নানান বির্তক।
সূত্রের খবর গত শুক্রবার যে সমস্ত শিক্ষকেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন না, তাঁরা এখন ইমেইলে পদত্যাগপত্র পাঠাচ্ছেন। প্রায় ৬০ জন অধ্যাপক ১২০ টির ওপর দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং কিছু জন পদত্যাগ করার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন।
কল্যাণী ইউনিভার্সিটি টিচারস্ কাউন্সিল মনে করে, শিক্ষাস্থানে শিক্ষা ও গবেষণার মান সংশ্লিষ্ট ছাত্র, গবেষক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সহযোগিতা, সমমনস্কতা এবং সংহতির উপর নির্ভর করে। তাদের দাবী, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনে উপাচার্য কেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির বিকেন্দ্রীকরণ করে কর্ম পরিচালনা প্রয়োজন; সেই সঙ্গে বিজ্ঞাপনী প্রচার বাদ দিয়ে যথার্থ অর্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসংস্কৃতি ফিরিয়ে আনা উচিত। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় এনআইআরএফ ক্রমতালিকায় ৪৬ থেকে ১০০ ছুঁই ছুঁই। পড়াশোনা ও গবেষণার মান চরম বিপর্যয়ের সম্মুখীন বলে শিক্ষক-ছাত্র-গবেষক মহল উম্মা প্রকাশ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন কে.ইউ.টি.সির দাবী, এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, কোর্ট, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট বোর্ড অফ স্টাডিস, ফিনান্স কমিটির মতো বিভিন্ন স্টাটুটরী কমিটিগুলোকে যথা
নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিদের দিয়ে পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা জরুরি। সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতিমূলক প্রকল্পগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্ধকারে না রেখে, সেগুলির বাস্তব পরিকল্পনা ও ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও বিশেষজ্ঞতাকে মূল্য দিয়ে নীতিনির্ধারণ করা প্রয়োজন। গবেষণার ক্ষেত্রে পিএইচডি নির্ধারিত রেগুলেশনকে, ডিপার্টমেন্টাল রিসার্চ কমিটির সিদ্ধান্তকে মান্যতা না দিয়ে গা জোয়ারীভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে থাকে। গবেষকদের এই ধরণের বেনিয়ম থেকে অতি সত্বর নিস্কৃতি দেওয়া প্রয়োজন। পিএইচডি কোর্সওয়ার্ক ও পরীক্ষা ব্যবস্থার ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ও গবেষকদের ওপর অকারণে চাপ লঘু করে গবেষকদের গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া কর্তৃপক্ষের কর্তব্য। তা না করে বাংলা, লোকসংস্কৃতি বিভাগের মতো কয়েকটি বিভাগে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে ফেলোশিপ কেটে নেওয়া বা বন্ধ করে দেওয়ার চরম অভিযোগ উঠে এসেছে শিক্ষক-গবেষকদের আন্দোলনে। উপাচার্যের নানান অনৈতিক কাজের বিরোধিতা করলেই অধ্যাপকদের চরম প্রতিহিংসার শিকার হতে হয়েছে বলেও গুরুতর অভিযোগ উঠে এসেছে।
শিক্ষকদের পদোন্নতি আটকে দেওয়া, মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে গবেষকদের ফেলোশিপ বন্ধ করে দেওয়া, নিজের স্বার্থ চরিতার্থ করতে উপাচার্য কোর্ট কেসের জন্য সরকারী অর্থের তছরুপ সহ নানান গুরতর অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে।
স্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ না করে চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক নিয়োগ করে পঠন-পাঠন চলছে। নিয়ম মাফিক এঁরা গবেষণা করাতে পারেন না। ফলে শিক্ষক অভাবে গবেষণার সুযোগ সীমিত হয়ে যাচ্ছে গবেষকদের। একই কারণে ভুগতে হচ্ছে ছাত্রদেরও। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গবেষিকা জানিয়েছেন, গবেষক আবাসনে হঠাৎ হঠাৎ সাপের প্রাদুর্ভাব ঘটে। কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও স্থায়ী সমাধান পাওয়া যায়নি। চরম উত্তেজনার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়। সব মিলিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয়েছে অচলাবস্থা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অচলাবস্থার মূখ্য কারণ উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ, ঠরেজিস্টার দেবাংশু রায়, কলা ও বাণিজ্য অনুষদের ডীন তপনকুমার বিশ্বাস, ইন্জিনিয়ারিং টেকনোলজি ও ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডীন উৎপল বিশ্বাস সহ বেশ কয়েকজন আধিকারিকদের অগণতান্ত্রিক উপায়ে প্রশাসন পরিচালনা ও অপারদর্শিতা। ডীন তপনকুমার বিশ্বাসের বিরুদ্ধে ডিলিট জালিয়াতির সহ নানা বিষয়ে গুরুতর অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও উপাচার্য তাকে আড়াল করে রাখছেন।
ইন্জিনিয়ারিং টেকনোলজি ও ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডীন উৎপল বিশ্বাস ভুল তথ্য দিয়ে পদোন্নতি ও সরকারের কাছে থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে অভিযুক্ত এবং সরকারের নির্দেশ তা কার্যকর না করে উপাচার্য তাকে অন্যায়ভাবে রক্ষা করে যাচ্ছেন।
অন্যদিকে চুক্তিভিত্তিক অফিসার ওএসডি নিয়োগের ক্ষেত্রে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। ভর্তির ক্ষেত্রে বেনিয়ম, যথা সময়ে গবেষকদের পরীক্ষা নিতে অপারগতা, নিয়োগপত্র দেবার পর আবার ফিরিয়ে নেওয়া, পিএইচডি গবেষকদের ডিলিটের সংশাপত্র প্রদান নানা বিষয়ে গুরুতর অভিযোগের কথা বর্তমান উপাচার্যের সময়কালেই উঠে এসেছে। কেবলমাত্র বেনিয়ম ও নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করতে হাইকোর্টে লক্ষ লক্ষ টাকা অপচয় করে সরকারি অর্থ অপচয় করে চলেছে বলে বিশেষ সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এক চাকরি প্রার্থী পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। নিয়োগপত্র দিয়ে আবার ফিরিয়ে নেবার জন্য ওই চাকরি প্রার্থী ন্যায়ালয়ের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে এমন দূরাবস্থা এই প্রথম বলে জানিয়েছেন প্রবীণ শিক্ষকরা। এমনকরে যৌথবদ্ধভাবে অধ্যাপকরা কখনোই পদত্যাগ করেননি। সবমিলিয়ে এখন চরম দূরাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন তাদের বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স’ এর মতো কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রণয়ন না করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ ও গবেষণা মানোন্নয়নে কর্তৃপক্ষের বর্তমান চটকদারি ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ রেখে প্রকৃত জ্ঞানার্জ্জনের জন্য পরিবেশকে উন্মুক্ত করা উচিত। এর জন্য প্রয়োজন – বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনে উপাচার্য কেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির বিকেন্দ্রীকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্টাটুটরী কমিটিগুলোকে যথা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, কোর্ট, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট
বোর্ড অফ স্টাডিস, ফিনান্স কমিটি ইত্যাদি নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিদের দিয়ে পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা।
সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি:(?)-র প্রকল্পগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্ধকারে না রেখে, সেগুলির বাস্তব পরিকল্পনা ও
ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও বিশেষজ্ঞতাকে মূল্য দেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
গবেষণার ক্ষেত্রে পিএইচডি নির্ধারিত রেগুলেশনকে, ডিপার্টমেন্টাল রিসার্চ কমিটির সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়া, পিএইচডি কোর্সওয়ার্কের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ও গবেষকদের ওপর অকারণে চাপ লঘু করা।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ৩০৫ টি শিক্ষক পদের ১১৭ সংখ্যক শূন্যপদ অবিলম্বে পূর্ণ করা উচিত বলেও তারা তাদের লিফলেটে দাবী করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রমোশনের পদ্ধতি ত্বরান্বিত করার কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি জারি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের নিচে বিক্ষোভ কর্মসূচির সূচনা হয়। দুপুর নাগাদ সমস্ত শিক্ষক উপাচার্যের মূল দরজায় উপস্থিত হন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। আগামীকাল শিক্ষকরা ‘পেন ডাউন’ অবস্থান-বিক্ষোভ নেবেন। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষকই আজকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দেননি।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি নিয়মে চাকরিতে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে বাংলা সহ বহু বিভাগে অনেক পদেই অধ্যাপক বা শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করেছেন সেখানে মুসলমানদের নেওয়া হয়নি। মুসলিম গবেষকদের কে গবেষণা করতে বাঁধা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ ও পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস আইনকে অমান্য করে।
সুকৌশলে যোগ্য মুসলিম আবেদন কারীদের তিনি বাদ দিয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যাক সম্প্রতি বাংলা বিভাগে ৫ জন সহ অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছেন সেখানে মুসলমানদের নেওয়া হয়নি অবশ্য কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মুসলিম প্রথম শ্রেণির প্রথম বিভাগে পাশ করা যোগ্য প্রার্থী ছিলেন তারা ইন্টারভিউ দিলেন সদিচ্ছার প্রয়োজন না দেখিয়ে উপচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ নিজের কাছের মানুষ বাংলা বিভাগের প্রধান পদে থাকা সুখেন বিশ্বাসের বউ এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদের চাকরি দিলেন।
অথচ মুসলমান যোগ্য প্রার্থী থাকা অবস্থায় সংরক্ষণ কার্যকর না করেই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ তাদের বাদ দিয়ে চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছেন অন্যদের।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে নিয়োগ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যত নিয়োগ করেছেন তা সরকারের উচিত হবে তদন্ত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা।
সম্প্রতি উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় না রেখেই নিজের আত্মীয় তপোব্রত ঘোষকে ট্যাকনিক্যাল এডভাইজার পদে নিয়োগ করেছেন যা সম্পূর্ণ বেয়াইন। এবং আসাম থেকে নিয়ে এসে কিছুজনকে নিয়োগ করেছেন।
আরও অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস আইনকে অমান্য করে টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করে দেওয়ার নামে এবং নম্বর বাড়িয়ে মার্কশিট দিয়ে পরীক্ষা নামক স্বচ্ছ জায়গাকে প্রহসনে পরিনত করেছেন। তিনি সর্বত্র দূর্নীতিবাজ কন্ট্রোলার নামেই বেশি পরিচিত হয়েছেন বিভিন্ন মহলে। উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের অতি ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য এতো অভিযোগ থাকা অবস্থায় বিমলেন্দু বিশ্বাস একটার পর একটা দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তার বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নামে, বিএড কলেজের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার নামে এবং ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে বহু কাট মানি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস।
ইতিপূর্বে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমতির সদস্যরা এবং সৎ ও দক্ষ উপাচার্য রতন লাল হাংলু তদন্ত কমিটি গঠন করে বিমলেন্দু বিশ্বাসকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে দিয়েছিলেন।
পরর্বতীতে কয়েক বছর পর অস্থায়ী উপাচার্য মলয়েন্দু সাহার হাত ধরে পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক হিসেবে বিমলেন্দু বিশ্বাস কাজে যোগ দেন এবং আবারও দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদস্তুর।
এছাড়া উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করে চাকরিরত পুরাতন কর্মীদের অন্যায় ভাবে বেতন ও রিনুয়াল আটকে রেখেছেন।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ
ওবিসি-এ সংরক্ষণ কার্যকর না করেই সমস্ত আধিকারিক পদে তার পছন্দের অমুসলিম নিয়োগ দিয়েছেন।
রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, দুটো সহ রেজিস্ট্রার, এ্যাকাউন্ট অফিসার, কন্ট্রোলার, ডেপুটি কন্ট্রোলার, সহ কন্ট্রোলার, পিজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি, ইউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি, দূরবর্তী শিক্ষা কেন্দ্রের ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিক পদে কোনও মুসলিম আধিকারিক নেই। এবং ৩৩ টি বিভাগের মধ্যে এমন অনেক বিভাগ আছে বাংলা সহ যেখানে একজনও মুসলিম অধ্যাপক নেই। দু’চারটে বিভাগে খুজলে হাতে গোনা ৬ কি ৭ জন মুসলিম অধ্যাপক পাওয়া যাবে হয়তো। ৩৩ টি বিভাগে ২ জন করে সহ অধ্যাপক পদে মুসলিম ওবিসি-এ নিয়োগ হলে এতো দিনে ৬৬ জন মুসলিম অধ্যাপক চাকরি করার সুযোগ পেতেন। তা দূর্নীতি করে হতে দিলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ সহ কতৃপক্ষের একটা বড়ো অংশ।
অভিলম্বে সরকারের উচিত তদন্ত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা।
উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করেছেন তার জন্য একটা সঠিকভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করে নিয়োগের দূর্নীতি বন্ধ করা।
অস্থায়ী পদে কর্মীদের সাধারণ নিয়মে স্থায়ী করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা এবং যোগ্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করে নিয়োগ দিয়ে দূর্নীতি বন্ধ করা।
ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি দুজন মুসলিম প্রথম শ্রেণির প্রথম বিভাগে পাশ একজন ড. আনিসুর রহমান, ওবিসি-এ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন আর একজন নাফিসা পারভিন, ওবিসি-বি আসানসোল মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান পদে কর্মরত। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই এদেরকে বাংলা বিভাগে চাকরি করার সুযোগ করে দিলেন না বরং বঞ্চিত করে নিয়োগে দূর্নীতি করলেন।
এছাড়া তিনি সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করে চাকরিরত পুরাতন কর্মীদের অন্যায় ভাবে বেতন ও রিনুয়াল আটকে রেখেছেন। অভিলম্বে সরকারের উচিত তদন্ত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা।
উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করেছেন তার জন্য একটা সঠিকভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করে নিয়োগের দূর্নীতি বন্ধ করা।
অস্থায়ী পদে কর্মীদের সাধারণ নিয়মে স্থায়ী করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা এবং যোগ্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করে নিয়োগ দিয়ে দূর্নীতি বন্ধ করা।
ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি দুজন মুসলিম প্রথম শ্রেণির প্রথম বিভাগে পাশ একজন ড. আনিসুর রহমান, ওবিসি-এ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন আর একজন নাফিসা পারভিন, ওবিসি-বি আসানসোল মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান পদে কর্মরত। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই এদেরকে বাংলা বিভাগে চাকরি করার সুযোগ করে দিলেন না বরং বঞ্চিত করে নিয়োগে দূর্নীতি করলেন।
Kalyani University Notice Kalyani University Notice