সম্মুখ সমরে হায়দ্রাবাদ এফসি ও ঘরের দল এটিকে – চিন্তা বারুণদেবের অঝোরধারা
ব্রিটিশ কোচ ফিল ব্রাউন একগাল হেসে বললেন “কলকাতায় ইংলিশ ওয়েদার” প্রচন্ড গরমে ক্লান্ত হায়দ্রাবাদ দল আর ঘরের দল দুজনেই নতুন শক্তি পাবে আর এতসুন্দর স্টেডিয়ামে খেলার মজাই আলাদা ।
ওদিকে এটিকে কোচ তৈরী প্রথম হারের হতাশা কাটিয়ে নতুন করে যুদ্ধে নামতে । বৃষ্টি বাধ না সাধলে নিশ্চিত এক দারুন ম্যাচ দেখবে কলকাতা ।দুই কোচ আশাবাদী আর কলকাতা তৈরী এই যুদ্ধের জন্য ।
আইএসএল ভারতীয় ফুটবল কে সমবৃদ্ধ করেছে নানা ভাবে কিন্তু গ্রামের থেকে শহর বলি থেকে নতুন প্রতিভা না এলে শুধু বাণিজ্যিক আলোর রোশনাই ফিকে হতে বাধ্য ।
ফুটবলের আধুনিক ট্যাকটিস আর স্কিল ছাড়া ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইউসার বেস না বাড়লে শুধু শহর কেন্দ্রিক ব্যাবস্থায় পতনের বীজ বোনা থাকবে ।
৯-১৬ যার পুষ্টি হয়না সেই শরীর কি করে বিশ্বমনের প্রতিযোগিতায় টিকবে ? আগে ১০০ জনের মধ্যে ৮০-৯০ জন ছেলে মাঠে নামতো কাদা মাখত মায়েরা চিৎকার করে ব্যারন করতো কিন্তু রবিবারের মাংসের পিস্ বা মাছের পেটি টা ছেলে কে এগিয়ে দিয়ে বলতো খা ভালো করে না হলে খেলবি কি করে ?
উত্তম সুচিত্রার সেই কালজয়ী ছবির মা বাবা কে কাগজে ছেলের খেলার ছবি ছাপা হয়েছে বলে গর্বের সাথে বলছেন খেলার সময় খেলছে পড়ার সময় পড়বে । আর আজ চুরি করে নকল করে পেপার সেটার ধরে নম্বর বাড়িয়ে ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার দৌড়ে হাইয়ে যাচ্ছে আগামীর কৃশানু বিকাশ বা চুনী ও পিকে রা ।
আমি গর্বিত নোবেল বাঙালি পেলো বলে কিন্তু তাই বলে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান বা মহামেডান ছাড়া বাঙালীর আড্ডা চলবে এতো নরক গুলজার অবস্থা ।
তাই আইএসএল এগিয়ে চলুক তবে ভারতের গ্রামের মাঠেও এর সুফল ফলুক ।