জুতো পায়ে নয় হাতে নেয়ার সময় – ধান্দাবাজ চোর নেতা দেখলেই জুতো মারুন ।
নিজের জান মাল ইজ্জত রক্ষা করার জন্য প্রত্যাঘাত করা যায় , সংবিধান সে অধিকার দিয়েছেন, সেলফ ডিফেন্স নামে । তাই দেশ আমার ঘর তাকে রক্ষার দায় ও দায়িত্ব আমারই, এ কথা অস্বীকার করলে এলেখা আপনার জন্য সময় নষ্ট ।
সাংবাদিকতার শিক্ষা বলে অশোভন ভাষার প্রয়োগ ক্লাসিকাল সাংবাদিকতার বিরোধী । আমি বলি গুলি মারো ভাষার আঙ্গিক, যে ভাষায় বললে রিকশায়ালা।,ঠেলাঅলা, থেকে নিয়ে সমাজের ফুলবাবুদের গায়ে চিমটি লাগবে আর নড়ে বসবে ,সেটাই এই সময়ের দাবি ।
ভারতে হিন্দির পর বাংলা সবচেয়ে বেশি মানুষের মাতৃ ভাষা । পশ্চিমবঙ্গ ,ত্রিপুরা,অসম সহ উত্তরপূর্ব , ঝাড়খন্ড,ওড়িশা, ছত্তিসগড় , বিহার সহ সারা ভারত জুড়ে ছড়িয়ে প্রায় ২৫ কোটির বেশি বাঙালী । প্রতি পাঁচ জনের একজন ভারতীয় বাঙালী ।
“বেটা বাঙালীর বাচ্ছা” খুশী হবেন না , এটা এখন গালাগালি সর্বত্র । “বং” বললে বেকুব বোঝে সারা ভারত বা হাসির খোরাক ভাবে । এর জন্য কারা দায়ী ? অবাঙালিরা মোটেই না , আমরা এ অপমানের সুযোগ করে দিয়েছি ।
এ লেখার জন্য, কিছু ভাবের ঘরে চুরি করে বেড়ানো আঁতেল মার্কা প্রতিবাদ আসবে । আসবেন রেফারেন্সে রবীন্দ্রনাথ ,আসবেন নজরুল , সত্যজিৎ , জগদীশ ,সত্যেন , মেঘনাথ এমন কি উত্তম ,সুচিত্রা, সৌমিত্র ও । হয়তো বা অমর্ত্য বা বিনায়ক বা রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ ।
রেগে মেগে সুমনের কণ্ঠ খুলে যেতে পারে আবার , নচিকেতা হয়তো নীলাঞ্জনা কে খুঁজবেন নতুন করে ।
হয়তো মমতা আবার অনশনে বসবেন ভিখারী পাসোয়ানের বদলে ভিখারী বাঙালীর নাম করে। বুদ্ধবাবু আবার কলম খুলে সুসময়ের ও দুঃসময়ের ত্বাত্তিক ব্যাখ্যা দেবেন । অনেক কিছুই হবে । রাত আটটার বিশ্লেষণে কেন বাঙালি শ্রেষ্ঠ, তার সুপ্রিম কোর্ট টিভির পর্দায় বসবে, কোন এক ঘন্টাখানের আসরে ।
কিছু বুদ্ধজীবি ,কিছু অনুপ্রাণিত বুদ্ধিজীবী উন্নয়নের একাল সেকাল নিয়ে টারজানের মতো চিৎকার বাধবেন । কিন্তু বাস্তবে বাংলার বাইরে সেই “বং” হয়েই থেকে যাবেন ।
আমরা আমাদের অতীত গৌরবের ছায়া মাত্র । যত মনীষী বাংলা দিয়েছে গত শতাব্দীতে আর কোনো জাতি দেয়নি । আর সেটাই কাল হলো । পিছন ফিরে ঠাকুর দেখতে গিয়ে সামনে দিয়ে সময় নদীর ভাঙ্গনে , আমার ঘরটাই যে তলিয়ে গেলো । কখন যে তলিয়ে গেলো জাতির সম্মান জানতেই পারলো না, চায়ের দোকানের লেলিন বা গান্ধী বা সুভাষ প্রেমীরা ।
আর এই ভাঙ্গনের দায় অসৎ সমাজের শরিক হিসাবে আমার নিজের ও কম নয় । বোতামটা যে আমিও টিপেছি ১৯৯১ সাল থেকে কেন্দ্র বা রাজ্যের জন্য।
“বেটা বং” না এটা গালাগালি নয়। এটা অতীব সম্মানের !! স্বাধীনতার পর থেকে দাম দিয়ে ,এ অপমানের রাস্তা তৈরি আমরাই করেছি।
ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ করেছি একের পর এক । কাজের জন্য অন্য রাজ্যে গেছি । বাস্তবে পেটের দায়ে গালি হজম করেছি তিন প্রজন্ম ধরে । আজ কেন কান্না বাঙ্গালী? পৃথিবী জানে স্বদেশে পূজ্যতে রাজা , বিদ্যান সর্বত্র পূজ্যতে ।
কিন্তু , বাস্তব বলে অর্থহীন পান্ডিত্যের আজকের দিনে কোনো সম্মান নেই। তাই মার্সেডিজ চড়ে রামরহিম বা আশারাম এলও বিবেকানন্দের থেকে বেশি টিআরপি পাবেন । হারামে ম্যানেজ করে খেতে খেতে ,ভুলেই গেছে অর্জনের আনন্দ ।
মানুষ অর্থকে সাফল্যের মানক করে ফেলেছে, তা সে অসৎ পথেই হোক না কেন । তাই চোর হলেও ঘরে ঘরে নানা রঙের হাওয়াই চটির কদর বাড়ছে । একুশে কোন রঙের খেলা দেখা যাবে এ জানার জন্য জ্যোতিষের বাজার খুব ভালো ।
পাঁচ বছর পরে পরে নয় , জুতানো শুরু করুন প্রথম দিন থেকে । জুতিয়ে এই অপদার্থ দাদা, দিদিদের ক্ষমতা থেকে সারান। দল নয়, ব্যাক্তি ভালো কিনা, দেখে ভোট দিন।
তৃণমূল , সিপিএম, কংগ্রেস বা অন্য কেউ গুয়ের এপিঠ আর ওপিঠ । এ দলের চোর ও দলে গিয়ে ওঠে। ঠেলা খেলে আবার অন্য দলে। বাংলার কোনো রাজনৈতিক নেতার জাতীয় স্তরে কোনো গ্রহণ যোগ্যতাই নেই। নতুন যোগ্য মুখ না আনলে কালেকটিভ চোরেদের খিচুড়ি তৈলাক্ত বাঁশের অঙ্ক কষবে রোজ । আর বাংলা দেখবে বন্দর নাচ ।
অথচ সুভাষ চন্দ্র বোস নামের বাঘের বাচ্ছা কে সামলাতে ব্রিটিশ পারলো না, হিটলার সয়ং বাবা বাছা করে জাপানে পাঠিয়ে দিলেন ,সে কিন্তু ১০০ শতাংশ বাঙালীই । আজ আমরা এতোটাই অপদার্থ যে নেতাজির নামটাও চুরি করে চোর(?) মুলয়েমকে এখন নেতাজী বলে ডাকার সাহস পায় তার দলের লোকেরা? পন্ডিত নেহেরু বা মহাত্মা গান্ধী কিংবা লোকমান্য বা ছাত্রপতি নামটা কি আমার নামের সাথে চাইলেই ব্যবহার করতে পারি ?
আদর্শগত ভাবে পছন্দ না হতে পারে, সেটা আমার ব্যক্তি স্বাধীনতা , কিন্তু তা বলে কালিমা লিপ্ত কি করার অধিকার জন্মায় ?
তাই ভাই বং বাচ্চা থেকে বাঘের বাচ্ছা হতে গেলে, আবার কিছু ধামাকা দরকার। একবার লর্ডসের ময়দানে জার্সি ওড়ানো বা একটা দুটো নোবেল বা নোবেল চুরির মাধ্যমে খবর হয়ে নয় ।
কোবিদ-১৯ পরবর্তীতে নতুন ভারত গড়ায় অংশীদার হতে হবে। নেতৃত্ব দিতে হবে সামনে থেকে । কোমরবিডিটির গাণিতিক ধাঁধায় উন্নতি দেখিয়ে লাভ নেই। সংখ্যা , পরিসংখ্যা সবই বাংলার বিরুদ্ধে যাচ্ছে ।
ফাঁকি দেয়া শিক্ষা আর ধাপ্পাবাজ সরকার দূর করো। জুতো হাতে নাও, পায়ে নয়। মারা শুরু কারো একদম ঘরের ভিতর থেকে। পাশের বাড়ির ছেলে চোর হলে এক ঘা জুতো মারুন , আর নিজের ছেলে চোর হলে দুঘা লাগান । স্বচ্ছ সরকার সারা ভারত জুড়ে দরকার আর তার জন্য বাংলা থেকে শুরু হোক ।
চাল চোর তাড়িয়ে ডাল চোর এনে কি লাভ?
আপনার রাজনৈতিক বিশ্বাস পকেটে রেখে দিন , এবার স্বচ্ছ ব্যক্তি কে আনুন , কোনো দল যদি সৎ প্রার্থী না দেয় , নিজেদের এলাকা থেকে নির্দলে যোগ্য ব্যক্তি কে দাঁড় করান।
মমতা দু টাকায় চাল দিয়েছে, কি মোদী দিলো উজ্জ্বলতা গ্যাস ভুলে যান । কেউ কিছু দেয়নি, সবটাই আপনার আমার করের টাকায় দেয়া । ১ টাকার মাল পেতে ১০০০ টাকা চুরি করেছে ৭০ বছর ধরে। নেতাজী ,দেশবন্ধু বা বিধান রায়ের মতো মানুষ পাবেন না , তবু জাগো আর দেখো কাছে কে আছেন পটে দেয়ার মতো ।
এক হাতে ভোট রাখুন অন্য হাতে জুতো । প্রতিশ্রুতির খেলাপ করলেই নারী পুরুষ নির্বিশেষে জুতিয়ে মাথায় টাক ফেলে দিন।
স্কুল কলেজে সেরা টিচার নিয়ে আসুন যোগ্যতা দেখে ডিগ্রী নয়, নম্বর নয় ওসব কেনা যায় । প্রকৃত যোগ্য ব্যক্তি আনা হোক শিক্ষা ক্ষেত্রে । অনেক ডক্টরেট হলো মন্ত্রী,এবার প্রকৃত শিক্ষিত শিক্ষা প্রেমী কাউকে দায়িত্ব দিন । সরকারি চাকরী দূর করে দিন যোগ্যতা না থাকলে ,নিজের ছেলেকেও চাকরি দেবেন না ।
প্রতি বছর টিচারদের পরীক্ষা হোক ছাত্রদের সাথে , বিগ ডাটা এনালাইসিস করে বাংলার সেরা টিচার নির্বাচন হোক তার ক্লাসের অনলাইন রিপোর্টে । জাপানের মতো কঠোর হোক কানবান ইন এডুকেশন ফর টোটাল কোয়ালিটি ।
চিকিৎসা করাতে মাদ্রাজ বেঙ্গালুরু যেতে কেন হয় ? সামান্য ফিজিওথেরাপি করার যোগ্য লোক হেরিকেন দিয়ে খুঁজে বেড়াতে হয় ? ঢেলে সাজান হোক মেডিকেল শিক্ষা । বর্তমানে অনুপ্রেণার ঠেলায় সবই নীল সাদা , মেডিকেল শিক্ষায় কি এনিমিয়া হলো বাংলায় নাকি লিপস্টিকের রঙের ঠেলায় ওষুধের রং ভুল হচ্ছে ?
আর একটি বিপদ টিভি সিরিয়েল ।বাজে সময় নষ্টের বিনোদন বন্ধ করা হোক । সমাজের ভারসাম্য নষ্ট করছে এই টিভি শো । শিক্ষা মূলক বিনোদন আগেও ছিল , আবারো আনা যায় । এক গভীর সামাজিক ষড়যন্ত্রের শিকার বাংলা । আফিং খেয়ে ভুলে থাকার মতো ।
এর জন্য দায়ী গড়পড়তা বাঙালির দাঁত কেলানো স্বভাব। নোংরা পারিবারিক রাজনীতি ,সন্দেহের বারুদ আর পরকীয়ার মুখরোচক আয়োজন কখনো সুস্থ সমাজ দেয়না । শিল্পীর স্বাধীনতা অবশ্যই থাকবে এবং থাকা উচিত কিন্তু তা কখনোই কুশিক্ষা দেয়ার পথ নয় ।
যৌনতাই যদি শেখাতে হয় তবে কামসূত্র বা ওমর খইয়াম বা ক্লাসিকাল সাহিত্য থেকে আসুক , এমনকি আধুনিক অনেকের লেখা নিয়ে নাটক উপণ্যাস নিয়ে কাজ করা যায়।
সানি লিওনি দিয়ে , “গণ উইথ দ্যা উইন্ড” বা “রোমান হলিডে” করতে গেলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে । পথের পাঁচালি করতে গেলে আর একজন রায় বাবু কে দরকার , তবে সব রায় কিন্তু সত্যজিৎ নয় ।
তাই জুতো হোক আমাদের জাতীয় অস্ত্র , পাঞ্জাবির যেমন কৃপান ।
অস্ত্র আইনের আওতায় পরবে না , অথচ অর্জুনের পাখির চোখ করলে , যে কোনো লক্ষ্যে নির্ভুল ছোড়া যাবে। আগামীদিনে নেট প্রাকটিস করার জন্য অনেক রাজনৈতিক দলের মিটিং আসবে । তবে ব্যক্তিগত আক্রোশ নয় , সমাজ পরিষ্কার করার জন্য, যেমন কুকুর তেমন মুগুর নীতি নিন ।
কোনো দুটাকার মোল্লা সংবিধান বিরোধী ফতোয়া দিলে, সকলে মিলে চ্যাংদোলা করে ভারতের মাটির বাইরে পাঠান । হিন্দু ,মুসলিম, শিখ বা খ্রিস্টান বা অন্য সকলের দেশ এটা । উগ্রতা দিয়ে দেশের ওপরে কোনো ধর্মকে রাখলেই জুতিয়ে দূর করুন। বাখতিয়ায় খিলজি নয় নালন্দার শিক্ষা আমাদের আদর্শ ।
ভারতে থাকতে হলে ভারতীয় হয়ে থাকতে হবে , এই কথা বলে ভয় পেলে, যাদের জন্য ভয় লাগবে, তাদের কে ভালো করে জুতিয়ে তাড়ান। এ স্বাধীনতা দেশ ভাগের যন্ত্রণার দাম দিয়ে আনা , কারোর বাবার ভোট ব্যাংককে খুশি করার জন্য নয়। ভারতের সংবিধান , সংস্কৃতি পছন্দ না হলে যে কেউ সাচ্ছন্দে অন্য দেশ দেখতে পারেন , আপনাকে খুশি করতে দেশ ও সমাজ পাল্টানো হবে না । আর যারা তার চেষ্টা করবেন জুতো তাদেরও প্রাপ্য ।
শুধু মোঘল সাম্রাজ্যের ইতিহাসই নয়, চাই হারাপ্পান ,দ্রাবিড় ও অসম সহ সমগ্র জাতির সঠিক ইতিহাস । ৭০ বছরের তাবেদারী আর তোষণের ইতিহাস নয় । বাবা কালো কি ফর্সা তা দিয়ে কি হবে, সত্যি আপনার পিতা কে সেটা জানা বেশী জরুরি । লেলিন শ্রদ্ধার কিন্তু ভারতীয় হিসাবে আগে জানতে হবে লালা লাজপত রায় কে ।
সংখ্যালঘু তোষন কথাটাই ক্ষতিকারক কারোর তোষণ নয় , ভারতে সবার সমান অধিকার কিন্তু তাই বলে, শরীয়াতের নামে সংবিধান কে বুড়ো আঙ্গুল বা রাম রাজ্যের নাম করে মসজিদ ভাঙা দুটোই অন্যায় । মানবিক গুন্ বিকশিত হোক সকল স্তরে । সংখ্যালঘু বা সংখ্যাগুরু কাউকেই অবহেলা নয়।
গন্ডারের চামড়ার নেতা নেত্রীদের জুতো মেরে স্বাগতম জানান , আর প্রকৃত সৎ মানুষদের দিন পাওনা সম্মান । হয়তো দেখবেন আগামী সরকার নির্দলের হলো, কিন্তু বাংলা বেঁচে গেলো ।
পাল বংশের গোপালের নির্বাচন এই ভাবেই হয়েছিল । আর এই লেখা যারা পরে হাসছেন, তাঁদের বলি এই মহান ২১শে আন্দোলন ওপার বাংলার থেকে বাংলা ভাষাকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা বানালো । আর এই ২১শে ভারতের রাজনীতিতে নতুন পথ দেখাক পার্টি ডেমোক্রেসি নয় কোয়ালিটি পিপল ডেমোক্রেসি কে সম্মান দিয়ে ।
আবার বাঙ্গালীর বাচ্ছা বললে গর্ব হবে। ভিখারী বলে মনে হবেনা।
তবে ইচ্ছাকৃত সকল দলের নাম করে লিখলাম । যদি একজন নেতাও প্রমান করতে পারেন তাদের দলে কোনো অসৎ নেতা নেই , দয়া করে আপনার জুতো দেবেন মাথায় করে নিয়ে কলকাতায় ঘুরবো , আর যতদিন না পারেন পাবলিকের জুতোর বারি আশীর্বাদ বলে মনে করুন, প্রতিটি অন্যায়ের পরিবর্তে ।
অনেক দিন আগে কারা যেন বলেছিলেন “চলে যেতে পারি ,কিন্তু কেন যাবো ? এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাবো । বলো বীর বলো চির উন্নত মম শির। চিত্ত যেথা ভয়শূন্য উচ্চ যেথা শির । ভাবো ভাবো ভাবা প্রাকটিস কারো । “
শেষের কথা কি বলা উচিত “তোমরা আমায় রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব” , পারলাম না বলতে ,ওটা যে এক জনের মুখেই মানায়।
জয় হিন্দ ।