পদ্ম কি কম পরেছে? নীল পদ্ম চাই বোধনের আকাল পরিয়াছে বাংলায়।
সুনন্দ মিত্র
বঙ্গ বিজেপি কি অবশেষে সাবালক হওয়ার পথে? নাকি ঝা চকচকে মোড়ক ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিষয়বস্তুর ওপর জোর দেওয়ার চেষ্টা করছে? নাকি বজ্র আঁটুনি ফোস্কা গেরো!
প্রসঙ্গ, বিজেপির মালদহ জেলার দুই বিধায়ক শ্রী সঞ্জিত মিশ্র ও শ্রী নিতাই মন্ডল কে দল বিরোধী কার্যকলাপের জন্য দলীয় সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে এবং উক্ত কারণবশতঃ হুগলির শ্রী সুবীর নাগকে সতর্কীকরণ নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
তবে যাইহোক এই পদক্ষেপ অবশ্যই দলীয় কর্মী থেকে বিধায়ক সবার কাছেই আপাতত এই বার্তা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবে বলেই আমার মনে হয় যে, কেউই অপরিহার্য নয়, প্রতিটা দলেরই একটা নির্দিষ্ট নিয়মনীতি শৃংখলা থাকে। প্রতিটা ব্যক্তিরই দলের অনুশাসন মেনে চলা উচিত, সে যে দলেরই হোক না কেন। যদিও রাজনীতি এখন এখন ব্যক্তি তথা পরিবার কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে।
রাজনীতিতে তো এখন নিয়ম শৃঙ্খলা এগুলো উঠেই গেছে, শিষ্টাচারের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম।আগামী দিনই বলবে এই পদক্ষেপ বঙ্গ বিজেপিকে কোন নতুন পথ দেখায় কিনা!
পুনশ্চ :
সুমন মুন্সী
মানুষ যখন নিজের ধর্ম সংস্কৃতি ছেড়ে অন্যের বিশ্বাসকে আঁকড়ে বাঁচতে চেষ্টা করে তখনি ঘটে বিপর্যয়। রাজনীতি জীবন থেকে নেয়া অভিজ্ঞতার নির্যাস তাই অনুশাসনহীন নীতির দল জোয়ার ভাঁটার টানে ভেসে যায় । বিজেপি দখল করতে গিয়ে কম্পাস হীন জাহাজ হয়ে বাংলার বন্দরের বাইরেই থেকে গেলো ,অন্দরে আর এলোনা ।
বাংলার মন পেতে হলে কৈলাসে ভজনা করলে চলবে না, বাংলাতেই উপাসনা করতে হবে, আর কোনও কারইয়করতা দিয়ে সেই কাজ হওয়ার সম্ভবনা খুবই কম। বাংলা সহজ সরল মানুষকেই চায়, তাই দরজা পর্যন্ত এগোতে দিয়েছিল, কিন্তু ভরসার অমর্যাদা হলো বলেই কি দরজা খোলা গেলোনা ?
আবেগ মানুষ কে এগিয়ে দেয় কিন্তু নীতিহীন আবেগ এগিয়ে দেয় বিপর্যয়ের দিকে। সাত দশকের লড়াই শর্টকাটে হয়নি ,তাই বাংলার মাটিতে ভাড়াটে সৈন্য নিয়ে এসে পুরো যুদ্ধটাই মীরজাফর আর বিভীষণের হাতে নিয়ন্ত্রিত হলো। আত্মচিন্তন প্রয়োজন শুধু টিএমসি কে দোষ দিতে থাকলে ২০২৪ এ ১৮ থেকে ০ হতে সময় লাগবে না ।
সঠিক সাংকৃতিবান মুখ কি নেই কেউ? যে বিধান রায় চিত্তরঞ্জন দাস বা নেতাজি নাই হলেন, অন্তত তাঁদের ছায়া তো হবেন। না থাকলে তৈরী করুন, লক্ষ্য করুন ৭ বছর আগের অভিষেক ব্যানার্জী আর আজকের অভিষেক কে যতই গালমন্দ করুন, পরিশীলিত কিন্তু তিনি দিন কে দিন হচ্ছেন । পিকের ট্রেনিং বা জীবনের অভিজ্ঞতা যেটাই হোক অ্যাডভান্টেজ টিএমসি নতুন জেনারেশন ।
৩৪ বছরের কমিউনিস্ট লৌহকপাট যে ভেঙেছে সে মোটা দাগের হলেও, দাগ কাটতে পারেন। তাঁকে হারাতে হলে নতুন কিছু ভাবুন । শুধু বহিস্কার আর অভিযোগে জয় আসবে না।
বঙ্গে পদ্ম ফুটুক নাই ফুটুক, পাঁক কিন্তু ঘাঁটতেই হবে| আগামী দিনে জিততে হলে যুদ্ধের ভাষায়, শত্রুর অস্ত্রে শত্রু মারতে হবে। তাই বাংলায় দিদিই শেষ কথা ছিলেন ও আছেন ।
পদ্ম কম পরেছে। নীল পদ্ম চাই বোধনের আকাল পরিয়াছে বাংলায় । সঠিক নীলপদ্মের অভাবে কার চোখ নেবে বাংলার রাজনীতি সেটা সময় বলবে।