পুজোতে অঙ্কুশ ও বনির নতুন ছবি FIR
ছবি রাজীব মুখার্জী ও নিউজ রামিজ আলি আহমেদ :
বুধবার পার্ক স্ট্রিটের ওয়াও চায়নাতে রেস্টুরেন্টে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ পেল পরিচালক জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের ক্রাইম থ্রিলারধর্মী ছবি ‘এফ আই আর’ (FIR)। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের প্রযোজনায় এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অঙ্কুশ হাজরা, ঋতাভরী চক্রবর্তী, বনি সেনগুপ্ত, ফালাক রশিদ রায়, অনির্বান চক্রবর্তী, শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়, প্রিয়াঙ্কা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
রঘুনাথপুর গ্রাম ক্রাইমের আঁতুর ঘর, অথচ সব জেনেও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নিতে অপারগ। কারণ ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সরাসরি হস্তক্ষেপ। রাজনৈতিক মদতে ঘটে চলে যথেচ্ছাচার। খুনের পর খুন, আবারও খুন। এই অবস্থায় কলকাতার লালবাজারের স্পেশাল ব্রাঞ্চ থেকে রঘুনাথপুর এসে পৌঁছায় সিনিয়র ইন্সপেক্টর অভ্রজিৎ দত্ত (অঙ্কুশ)।
কিন্তু কীভাবে সে রঘুনাথপুরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে? পুলিশের কেউই এখানে কোনও কাজ করতে রাজি নয়। ওদিকে খুনজখম বেড়েই চলেছে। ডাক্তার এষার (ঋতাভরি) ফরেনসিক রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে দুই পুলিশ অফিসার বনি ও অঙ্কুশ খুনের কিনারা করার চেষ্টা করে। তারা কি আদৌ রঘুনাথপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারবে? তা নিয়েই কাহিনি। ছবির কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত ও জয়দীপ মুখোপাধ্যায়ের। প্রযোজক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের, ছবিতে অঙ্কুশের বিপরীতে রয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী।ছবিতে বনি সেনগুপ্তও একজন পুলিশ অফিসার।তার চরিত্রের বেশ শেডস রয়েছে। বনির বিপরীতে দেখা যাবে অভিনেত্রী ফালাক রশিদ রায় কে।ছবিতে তার চরিত্রের নাম শিউলি, যে একজন বার ড্যান্সার। এই চরিত্রটার মধ্যেও বেশ শেডস আছে।জয়দীপ মুখোপাধ্যায় জানালেন, আমরা ছবিটা শুরু করেছিলাম গতবছর, এতদিন অপেক্ষা করে ছিলাম, লকডাউন গেল, দর্শক আবার হলমুখী হচ্ছেন।আমরা আশা করবো আগামী ১০ তারিখে ছবিটা দর্শক হলে গিয়ে দেখবে। যারা থ্রিলার ছবি দেখতে ভালোবাসে তাদের ভালো লাগবেই।আমি প্রচুর কমার্শিয়াল ছবি করেছি। এই ছবিটা একটু অন্য ঘরানার হয়েছে।
বনি সেনগুপ্ত জানালেন, ”কমার্শিয়াল সিনেমার থেকে একদম অন্যরকম একটা সিনেমা। আমি পার্সোনালি থ্রিলার খুব পছন্দ করি। পুজোতে বাকি যে সিনেমাগুলো আসছে তার থেকে এটা অন্যরকম।আমি আর অঙ্কুশ প্রথমবার একসঙ্গে।জয়দীপ দার সঙ্গে খুব ভালো একটা এক্সপেরিয়েন্স।গল্পটা বলতে পারছি না। ছবিটা দেখলে ভালো লাগবেই। অঙ্কুশ জানালেন, ”যখন থেকে আমি অভিনয়ে আসি আমার ইচ্ছে ছিল পুলিশ অফিসারের চরিত্র করার। আগে ভাবছিলাম আমায় মানাবে কিনা! এর আগে যাদের দেখে এসেছি তাদের খুব সুন্দর মানিয়েছে। শেষ পর্যন্ত সুযোগ এল। আমার চরিত্রটা এমন একজন পুলিশ অফিসারের, যে গ্রামের সমগ্র চিত্রটাকে পরিবর্তনের চেষ্টা করছে। একজনকে লাথি মারলে দশজন উড়ে গিয়ে পড়বে, এখানে সেরকম কিছু দেখা যাবে না চরিত্রটিতে।
তবে অভ্রজিতের মধ্যে সেই সাহসটা আছে। এটুকু বলতে পারি দর্শকরা এই চরিত্রের সঙ্গে রিলেট করতে পারবেন। ”তিনি আরো বললেন, ”কমেডি ছবিতে অভিনয় করার সময় খুব বেশী চাপে থাকি। কারণ মানুষকে হাসানো সবচেয়ে কঠিন।সেই জায়গায় কোনও সিরিয়াস চরিত্রে আমি অনেক বেশী স্বাচ্ছন্দ্য।” ঋতাভরী চক্রবর্তী বললেন, ”একটা গ্রামে এতগুলো খুন হচ্ছে, কেন হচ্ছে, কিভাবে হচ্ছে সেটা জানার জন্য শেষ পর্যন্তও সাসপেন্স ধরে রাখবে। টিমের সবাইয়ের সঙ্গে কাজ করে ভালো লেগেছে। চরিত্রটা করার সময় আমি একদম এশা হয়ে উঠেছিলাম।” ফালাক জানালেন এরমকম একটা চরিত্র যেখানে অনেক শেডস ছিল।বনির সঙ্গে কাজের দারুন অভিজ্ঞতা।জয়দীপ দার কাছ থেকেও অনেক কিছু শিখেছি। ছবিতে মোট দুটি গান আছে। ছবিটি এই পুজোয় মুক্তি পেতে চলেছে।