“দ্য কাশ্মীর ফাইলস” – জারজ রাজনীতির গণহত্যার ইতিহাস ও একটি সিনেমার অসম লড়াই

0
1106
TKF at Basushree Kolkata
TKF at Basushree Kolkata
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:27 Minute, 12 Second

“দ্য কাশ্মীর ফাইলস” গণহত্যার ইতিহাসের জারজ রাজনীতি ও একটি সিনেমা অসহায় অসম লড়াই

অনুলেখন: অনির্বান চক্রবর্তী ও সুমন মুন্সী

যারা সত্য শোনার সাহস রাখেন তাঁরাই পড়বেন, সংযত ভাষা প্রয়োগ সম্ভব হয়নি খুব স্বাভাবিক কারণে, এবং সাদা কে সাদা কালকে কালো বলার মতো বুকের পাটা আছে আমাদের, শোনা বা জানার মতো যদি না থেকে থাকে তবে সুধী, এ লেখা আপনাদের জন্য নয়, ক্ষমা করবেন।

ইতিহাস এবং রাজনীতি বরাবরই একে অপরের সাথে ওতোপ্রোতো ভাবে জড়িত। ইতিহাসের পাঠ ছাড়া যেমন রাজনীতি অসম্পূর্ণ, তেমনি আজকের রাজনীতিই কালকের ইতিহাস। কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পটভূমি ইতিহাসকে ছিড়েখুঁড়ে বিচ্ছিন্ন করতে চাইছে, নিজেদের অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে। খুবই দূর্বিষহ বর্তমান এই লড়াই, ইতিহাস বনাম রাজনীতির।।

বিবেক অগ্নিহোত্রী ও তাঁর প্রোডাকশন টীম রচিত ও নির্দেশিত ২০২২ সালের একটি ভারতীয় হিন্দি ভাষার প্রায় ডকুমেন্টারি মানের বাণিজ্যিক চলচ্চিত্র “দ্যা কাশ্মীর ফাইলস”। ছবিটিতে বিংশ শতকের আশি নব্বই দশকের সবচেয়ে ঘৃণিত জিনোসাইডের বা নরসংহারের মতো হত্যাকান্ডের সত্য প্রকাশিত হয়েছে।

হিন্দু পন্ডিত তথা হিন্দুদের ওপর কাশ্মীরি উগ্রবাদীদের নৃশংস অত্যাচারের এবং তৎকালীন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের ব্যর্থতা ফুটিয়ে তুলেছে মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, পল্লবী জোশি র মতো অসাধারণ অভিনেতারা এবং অবশ্যই চিত্রনাট্য ও নির্দেশনা। সিনেমাটি হরিয়ানা এবং মধ্যপ্রদেশে প্রথমেই করমুক্ত ঘোষণা করা হয় এবং আইবিজি নিউজ প্রথম সিনেমা হলে কেন পোস্টের থাকবে না, এই নিয়ে সরব হয়, পরবর্তীতে উত্তর প্রদেশ, অসম,হরিয়ানা , মধ্যপ্রদেশ সহ আরো অন্যান্য রাজ্যে করমুক্ত করা হয়। তার ফলে দর্শক আরো উৎসাহিত হয়ে সিনেমা হলে ভীড় বাড়ান।কারন সমস্ত রাজ্যের সরকার চেয়েছেন(?) বা ঠেলায় পরে করেছেন, যে মানুষ সত্যিটা জানুক।

কিন্তু ব্যতিক্রম “বিশেষ গরুর দুধ” প্রিয় পশ্চিমবঙ্গ। পশ্চিমবঙ্গ সরকার করমুক্ত করার দিকে তো হাটেইনি, উপরন্তু বিভিন্ন ভাবে সিনেমাটিকে দর্শকের নাগালের বাইরে রাখতে চাইছে।

যেমন ধরুন দমদমের ডায়মন্ড প্লাজা বা কালিঘাট মেট্রোর কাছে বসুশ্রী সিনেমা হলের বাইরে দিয়ে যদি যান বুঝতেই পারবেন না সেখানে দ্যা কাশ্মীর ফাইল চলছে।হয়তো বা গাংগুবাঈ নয়তো পুষ্পার মতো কোনো চমকদার কমার্শিয়াল সিনেমার পোষ্টারে ঢাকা পরে গেছে, দ্যা কাশ্মীর ফাইলস। যেন ভারত সিনেমার মাধ্যমে নগরবধূদের খবর না জানলে সমাজের বিশেষ ক্ষতি হবে ।

ঠিক যেমন সেই সময় যে ভাবে ঢাকা দেওয়া হয়েছিলো নোংরা রাজনীতির চাদরে ২৪৯ জন কাশ্মীরি হিন্দু পন্ডিতের গুলিবিদ্ধ রক্তাক্ত শরীর, আর কিছু মানুষের মনোভাবাপন্ন তাদের সাহায্য করতে চাওয়া মুসলিম বন্ধুদের, যা জংঙ্গিদের নাপসন্দ ছিল ।

বসুশ্রী র পোষ্টার আবার ঢাকা পরে আছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বড় “ব” এ।আবার কখনো বা পরিবর্তন করে দেওয়া হচ্ছে সময়।যেমন গতকাল রবিবার সিনেমার শো ছিলো দুপুর তিনটের সময় অথচ আজ সন্ধ্যে ৬টা। যাতে মানুষ দেখতে এসে ফিরে যায়, এখন প্রশ্ন হলো ইতিহাস বড়, না সুবিধেবাদীদের করে কম্মে খাওয়ার রাজনীতি? আজ রাস্তায় এই কারনে যে নাগরিক বিষোদ্গার সরকার আর তার লোকাল কুশীলবদের নাম করে বেরচ্ছে, তার কিছু নমুনা আপনাদের তুলে ধরবো ।

সম্পূর্ণ ভুল প্রচার করা হচ্ছে সিনেমাটি মুসলিম বিরোধী একটি চলচিত্র। তাই যদি হতো তাহলে স্বনামধন্য অভিনেতা আমির খান সিনেমাটি সবাইকে দেখার জন্যে অনুরোধ করতেন না।তবে ধরে নেওয়া যায় পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে কোনো কিছুই রাজনীতির উর্ধ্বে নয়? তাই যদি হয় তবে আগামীদিন বড়ো ভয়ংকর। মুসলিম বা হিন্দু যেই এই কান্ড করেছে তাঁর অপকীর্তি জানা দেশের প্রয়োজন। কোন প্রজাতির কালসাপ বোরখা না, ঘোমটার আড়ালে আছে না কি বুম আর কলম নিয়ে এই খেলায় একই রকম শরিক তাও জানা প্রয়োজন ।

পরবর্তী প্রজন্মর শিক্ষার সুরক্ষার দায়িত্ব কি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর বর্তায় না? নাকি সরকার শুধুই একটি রাজনৈতিক দল? এই প্রশ্ন সরকার কে জানিয়ে রাখল বাংলার মানুষ।

সোশ্যাল মাধ্যমে প্রাপ্ত কিছু প্রশ্ন আরো তুলে দিলাম এখানে :

দেবশ্রী মিত্র তুলেছেন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন, তাঁর কালাম থেকেই সরাসরি তুলে দিলাম কৃতজ্ঞ চিত্তে কারণ এই বিষয় গুলি মানুষের জানা প্রয়োজন ।

দ্য কাশ্মীর ফাইলস দেখতে যাওয়ার আগে অবধি মনে হচ্ছিল, এত ভায়োলেন্স কিভাবে দেখব! দেখতে গিয়ে দেখলাম, এ তো কিছুই নয়। এর হাজার গুণ বেশি ভায়োলেন্স হয়েছে আদতে। নতুন প্রজন্ম, বা যারা ইতিহাস পড়েনি, তাদের কাছে হয়ত এই সিনেমা একটা শকিং রিভিলেশন। আমার কাছে নয় দেখা গেল। আমি বরং আশা করেছিলাম, দূরদর্শন প্রধান লাসসাজির মৃত্যু দেখাবে। লাসসাজিকে ধরিয়ে দেয় তাঁর নিজের বহুদিনের ড্রাইভার। তিনি তখন তাঁর বৃদ্ধ ন্যুব্জ মায়ের সাথে দেখা করতে এসেছিলেন। দরজার বাইরে পিছন থেকে গুলি করা হয় তাঁকে, মা দরজা খুললে মায়ের কোলের ওপর এসে পড়ে ছেলের লাশ।

বারামুল্লায় সেই তরুণ আইটি ইঞ্জিনিয়ার যে, পায়ের গোড়ালির উপরে ছুঁয়ে যাওয়া AK৪৭ এর গুলির দাগ নিয়ে আজও ধন্যবাদ দেয় বিধাতাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আর মাকে বলা সেই মিথ্যা,যে স্কুটার থেকে পরে গিয়ে পা কেটে গেছিলো। তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে ছিল তাঁর সাথেই পড়া এক কলেজের বন্ধু। তাঁর স্ত্রীকে দিনের পরদিন রেপ করে কনভার্ট করে তারই এক মুসলিম ছাত্র, না একথা কেউ জানে না ১৮ এসএসবির বন্ধুরাও না। তাঁকে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চিনি। আজ সে একজন পরিচিত নাম, অপরিচিত মানুষের স্মরণীতে।

অথবা, গিরিজা টিক্কু। ল্যাব অ্যাসিট্যান্ট ছিলেন স্কুলের। যে ঘটনাটিকে প্রোটাগনিস্ট কৃষ্ণা পণ্ডিতের মায়ের ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়েছে, তা আসলে গিরিজা টিক্কুর ঘটনা। গিরিজারা পালিয়ে গেছিলেন, তাঁর নিজের স্কুলের হেডমাস্টার তাঁকে ডেকে পাঠান যাতে গিরিজাকে মিলিট্যান্টরা তুলে নিয়ে যেতে পারে। গিরিজাকে এক দিনেই রেহাই দেয় নি তারা। দশ দিন ধরে তাকে গ্যাং রেপ করা হয়। তারপর জীবন্ত অবস্থায় তার শরীরকে ইলেকট্রিক করাত দিয়ে দু’টুকরো করে বডি ফেলে দিয়ে যাওয়া হয় বস্তায় ভরে। না এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা, এর সাথে ধর্মের কোনো যোগ নেই, গত ১৪০০ বছর ধরেই সারা পৃথিবী জুড়েই নেই ।

এরপরের কাহিনী?বা ইতিহাস কি মনে রাখবে সেই দিন-দুপুরে জাস্টিস, হ্যাঁ হাইকোর্টের জাস্টিস নীলকন্ঠ গাঞ্জুকে হাইকোর্টের সামনে গুলি করে মারা হয়। ভাবা যায় হাইকোর্টের জাস্টিসকে! এবং তাঁর মৃত শরীর ঘিরে আততায়ীরা বহুক্ষণ ধরে নারকীয় নৃত্যযোগে স্লোগান দেয়া। বাজারের মধ্যে, হাইকোর্টের সামনে। এবং তাঁর আততায়ীরাকে এবং কারা, আজও কেউ জানে না! আব্দুল্লাদের ধন্যবাদ,মুফতিদের সালাম আর দিল্লির রাজা রানীদের পারিষদদের প্রণাম। সত্যিতো হাইকোর্টে কি আর পুলিশ বা জনতা থাকে ভোর দুপুরে কি হাস্যকর না? ঠিক যেমন সাইবাড়ি বা মরিচঝাঁপি বা নোয়াখালীর বাংলা কিংবা আসামের বাঙালি খেদাও আন্দোলন ।

সর্বানন্দ কাউল সাহিত্য প্রেমী, বিখ্যাত কবি, চোখ উপড়ে, মাথায় পেরেক মেরে, তাঁকে এবং তাঁর ছেলেকে জীবন্ত ঝুলিয়ে দেওয়া হয় গাছ থেকে। তিনি বিশ্বস করতেন কাশ্মীরীয়াত নিয়ে তাঁর এতো লেখা তাঁকে বা তাঁর পরিবার কে কেউ কিছু বলবে না । বৃদ্ধ বোঝেনি শান্তির দূত আসলে শ্মশানের নিমন্ত্রণ নিয়ে আসে। এটাই রালিভ, তালিব ইয়া গালিভ এর প্রকৃত অর্থ ।

এ সবই আমার দেখা এবং কারো মুখে শোনা গল্প কথা নয়। জঙ্গীরা মেরে রেখে যেত, কাশ্মীরী পণ্ডিতরা তাদের সেই মৃত আত্মীয়ের পারলৌকিক কাজের জন্যও প্রাণ হাতে নিয়ে দয়া ভিক্ষা করত ইসলামিক মিলিট্যান্টদের বা শান্তির দূতদের। অনুমতি ব্যতীত পারলৌকিক কাজ করলে, আরো লোক মরত সেই পরিবারের। অনেকেই শেষ আগুন না পেয়ে চিল ও শকুনের খাদ্য হয়েছিল, এসব ডকুমেন্টেড ফ্যাক্ট। যারা রাজনীতিবিদ, যারা সামান্য খবরাখবর রাখেন, সবাই জানেন, জানতেন কিন্তু কিছু করেননি, পলিটিক্যাললি কারেক্ট থাকতে হবে যে, না হলে “দুধ পাওয়া যাবে না” ।

এমন কি মিডিয়া আরো বড় দোষী, বিখ্যাত পদ্মশ্রী প্রাপ্ত সাংবাদিক ঝিমাচ্ছিলো তখন, আরেক তার মোল্লা পত্নী যোগ্য সঙ্গতকারিনী সাংবাদিকের সাথে প্ল্যান চলছিল, কিভাবে ম্যাডামদের তুষ্ট করে বিজ্ঞাপন বাড়ানো যায়। নামি দামি সাংবাদিক তো তাই সং – বাদ মতবাদ অনুসারে প্রচার করেন। এই না হলে গণতন্ত্রের রক্ষাকারী চতুর্থস্তম্ভ। আর অচেতন জনতা এদেরই সারাদিন ধরে সঙ্গে থাকেন আলোকপ্রাপ্ত হবার জন্য ।

যা জানেন না, তা হল মুভিতে পুষ্করনাথ কেন হাতে কাশ্মীর থেকে ৩৭০ সরানোর বোর্ড আর গলায় মৃত কাশ্মীরী পণ্ডিতদের ছবি নিয়ে প্রায়-অন্ধ অবস্থায় রোজ ক্যাম্পেইন করতে যেতেন। এক ছবিতে সব দেখানো সম্ভব না, হয়ত সেই কারণেই পরিচালক ৩৭০ এর কথা ডিটেইলে বলেন নি। আমি বলি। একটু কষ্ট করে পড়বেন প্লিজ। জানা প্রয়োজন কেন আর্টিকেল ৩৫A ও ৩৭০ ধারা বিলোপ স্বাধীনতার আর এক নাম ভারতের জন্য ।

এই পর্যন্ত পড়ে যে কেউ বলবেন, কেন পণ্ডিতরা প্রতিবাদ করে নি। কাশ্মীরে সাড়ে ছশো’র ওপর মন্দির ভাঙা হয়েছে৷ এক বাবরি মসজিদে সমগ্র উপমহাদেশে আগুন জ্বলে যায়, পণ্ডিতরা কেন কিছু বলে নি। শুনুন তবে, ৩৭০ হচ্ছে সেই কালা-কানুন যার বলে কাশ্মীর আদতে ভারত রাষ্ট্রের মধ্যে একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের মর্যাদা পেত আর দিল্লীতে কংগ্রেস যুক্তফ্রন্ট, আর মিলিজুলী বিজেপির নপুংশক সহযোগীদের সরকার ছিল তাঁর মধ্যে টিএমসিও ছিল, রেল মমতার , বিদেশ অজিত পাঞ্জার হাতে। তাই এর দায় কেউ এড়াতে পারেন না, না ভামপন্থী বামেরাও না। জ্যোতিবাবুর প্রধানমন্ত্রী না হওয়া যদি ঐতিহাসিক ভুল হয়,তবে কাশ্মীরের পন্ডিতদের হত্যা দেখেও চুপ থাকা আর সহস্র মাইল দূরে মোমবাতি জ্বালান আরো বড় ঐতিহাসিক পাপ । লালচকে গিয়ে পতাকা তুলেই দায় সেরেছিলেন আদবানি ও তার শিষ্য কিন্তু ধন্যবাদ বর্তমানের সরকার সেই কালা কানুন দূর করেছেন। অন্তত কাশ্মীর ভারতের ভিতর আর অন্য দেশ নয় ।

একমাত্র ডিফেন্স, কম্যুনিকেশনস আর ফরেন এফেয়ার ছাড়া আর সমস্ত নিষয়ে কাশ্মীরের ভাগ্য নির্ধারণ করার ক্ষমতা ছিল কাশ্মীরের সরকারের। কেমন সেই ক্ষমতা? আসুন দেখে নিই। কথায় কথায় সাম্যবাদ আর নারীবাদের জয়গান গাওয়া বামপন্থী কেউ আমার বন্ধুতালিকায় ভুলক্রমে থেকে থাকলে তিনিও দেখুন। না থাকলে শেয়ার করে দেখানোর দায়িত্ব বন্ধুদের।

১ অন্য ধর্মে তো দূরস্থান, অন্য রাজ্যের ছেলেকে বিয়ে করলে মহিলারা সম্পত্তির ওপর অধিকার হারাতেন। ইসলামিক শারিয়ার কদর্য ব্যবহার।

২ সিডিউল কাস্ট/ ট্রাইবস প্রোটেকশান আইন ছিল না। অর্থাৎ জনজাতির ওপর যে কেউ অত্যাচার করতে পারে। আলাদা করে শাস্তির কোন ব্যবস্থা নেই। তাই মেথর সম্প্রদায় নববধূ কে রক্ষা করার জন্য শুয়োরের রক্তে পা ধুয়ে ঘরে নিতে নাহলে প্রথম তিন রাত আব্দুল্লাহদের ভোগের পর ঘরে আস্তে পারতো । প্রয়োজনে প্রেস ক্লাবের প্রাক্তন জেনারেল সেক্রেটারি পুষ্পেন্দ্র কুলশ্রেষ্ঠ জি কে জিজ্ঞাসা করে দেখুন বা কোনো কাশ্মীরি হিন্দু মেথর ভাই কে । অথচ মেথর দের কাজে লাগাতে আব্দুল্লাহদের এই গরিব মানুষদের ভুলিয়ে নিয়ে গিয়ে ২ক্লাস সিটিজেন বানিয়ে দিয়েছিলো । আজ তাঁরাও মুক্ত । মার্কসের ফুল মার্ক্স্ পাওয়া বন্ধুরা কিছু বলবেন আশা করি ।

৩ ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আইন ছিল না মহিলাদের জন্য। আজ্ঞে, ঠিকই শুনছেন। কাশ্মীরের মহামান্য সরকার মহিলারা বাড়িতে নির্যাতিত হলে তার জন্য আইন থাকার প্রয়োজন বোধ করেন নি। রেপ করে হিন্দু মেয়েদের বিয়ে করে নেয়া কোনো পাপ ছিলোনা ।

৪ চোদ্দো বছরের নিচে শিশুদের রাইট টু এডুকেশন বা বিয়ে দেওয়া যাবে না, এ আইনও ছিল না একই কারণে। কাশ্মীরের মহামান্য সরকার বাহাদুর প্রয়োজন বোধ করেন নি। মাহবুব মুফতি নিজেও কি একজন নারী ছিলেন না, নাকি শারিয়ার কদর্য ব্যবহার মানতে তিনিও বাধ্য ছিলেন ।

৫. সমকাম অপরাধ ছিল। খুবই স্বাভাবিক কারণে। কিন্তু আব্দুল্লাহ, মোল্লাদের মধ্যে গোপনে এই প্রথা চালু কিনা জানা যায়নি তাই কোনো মন্তব্য নয় ।

এবং তথাকথিত “লিবারাল” মানুষজনের এই অসাধারণ নিয়মকানুন ৩৭০ বজায় থাকায় কোন আপত্তি ছিল না। কারণ লুটিয়ান দিল্লী রোমান হলিডেজ এ ব্যাস্ত ছিল। লাল ঝান্ডায় তখন কারখানা বন্ধের ডাক অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছিল, কারণ জেএনইউ বা অন্যত্র আজাদীর ডাক দিয়ে ভারত টুকরো করা অনেক বেশি জরুরি ছিল বোধহয়।

৬ এবার আসি সবচেয়ে জরুরি কথায়। পুষ্করনাথের ক্যাম্পেইন। ৩৭০ এর বলে বলীয়ান হয়ে কাশ্মীরের মহামান্য সরকার এই বীভৎস অত্যাচারে কাশ্মীর ছেড়ে যাওয়া পণ্ডিতদের সিটিজেনশিপ কেড়ে নেয়। আজ্ঞে হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন। কাশ্মীরী পণ্ডিত, যাদের ছেলেরা মরছে বলে, মেয়ে-বউ রেপড হচ্ছে বলে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে এসেছিল, তারা কেউ এই ৩৭০ এর জোরে কাশ্মীরের “পার্মানেন্ট রেসিডেন্ট” নয়। তাদের পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ছিনিয়ে নেওয়া হয়। ভারত সরকার তাদের পাস ইস্যু করে যে তারা “ইন্টারনালি ডিসপ্লেসড পিপল”! ভাবুন, আপনার দেশে, আপনার রাজ্যে, যেখানে আপনার পঞ্চাশ পুরুষের বাস, সেখানে এই ৩৭০ এর বলে রাজ্য সরকার বলে দিল আপনি এখানের বাসিন্দা নন। আর আপনি পার্মানেন্টলি নিজভূমে পরবাসী হয়ে গেলেন। অসাধারণ না! আব্দুল্লাহ ও আদতে অনুপ্রবেশকারী ১৪০০ বছর ধরে বিশ্বব্যাপী লুঠ ধর্ষণ আর খুনের মাধ্যমে শাসন প্রতিষ্ঠাকারী ঠিক করে দিলো, কে নাগরিক আর কে নয়। জারজ রাজনীতির ধারক ও বাহক প্রথম ১৪ বছরের ভারত শাসনে, লম্পটের রাজত্ব পরিষ্কার হলো, যে নেহেরু ও ফিরোজ খান পরিবার চোখ বন্ধ করে দেখবে আর আব্দুল্লাহ লন্ডনে গল্ফ খেলবে ।

প্রশ্ন করুন। বামপন্থীদের, তথাকথিত লিবারালদের, কংগ্রেসকে, যারা ৩৭০ সরানোর বিরুদ্ধে একটিও কথা বলেছে তাদের কেন কন্ঠ রোধ করা হয়েছে, তাদের এই অস্বস্তিকর প্রশ্নগুলি করুন। তারা নিজেরা জানে তারা কী করেছে, তাই আজ যখন ভারত প্রশ্ন শুরু করেছে , যে যার “পিছওয়াড়া” মানে পশ্চাৎদেশে লাথি খাওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে এর ওর ঘাড়ে দোষ চাপাচ্ছে।

তারা নিজেরাও জানে দোষ চাপানোর অন্য কেউ নেই। সমস্ত পাপ তাদের। তাদের হাতে হাজার হাজার পণ্ডিতের, ডোগরার, শিখের, এমনকি যে কোন মুসলিম তাদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে মারা গিয়েছে, সবার রক্ত এই লিবারালদের হাতে। সব্বার। হিসেব চান। চুপ থাকবেন না। এই মুভি প্রশ্ন করার পরিসর গড়ে দিয়েছে আমাদের। আমরা যারা এতদিন চেঁচিয়ে আসছি যে অন্যায় হচ্ছে, আর এরা, এই “তথাকথিত শিক্ষিত, জ্ঞানী” রা যারা শুধু ভারত রাষ্ট্রকে টুকরো করবে বলে একটা রাজ্যের হাজার হাজার মানুষকে খুন হতে দিয়েছে, সম্পূর্ণ উলটো ন্যারেটিভ বলে বলে। সবার আগে এদের কলার ধরুন। নিজের সত্য গলা তুলে শোনান। এদের অন্ত হতে দেরি নেই। অকারণে মুসলিম বা হিন্দু বা যে কোনো সম্প্রদায় আঘাতপ্রাপ্ত হলেই অন্যায় আর দেশ বিরোধী জঙ্গিদের জন্য এইটাই অনুদান থাকা উচিত,কপালে একটি “বুলেট”।

পাকিস্তান কে পরে শুধরোবেন, আগে ঘরে যে সন্দেহ জনক পিতার ডিএনএ নিয়ে, হাফ হিন্দু, এখনো মেকি সেক্যুলার হবার চেষ্টা করছে, তাদের আয়না দেখানও আগে জরুরী। প্রয়োজনে কাশ্মীর হলোকাস্টের সমর্থকদের বিচার হোক ৩০২ ধারায় এবং লটকে দিন প্রকাশ্যে, ১৪০ কোটির দেশে বেঈমান ১০০ কোটি বিদায় নিলেও দেশের কোনো ক্ষতি নেই, বরং লাভ । “দুষ্ট গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভালো”, এই প্রবাদই প্রযোজ্য হোক ।

মুভি রিভিউ, মুভি সম্পর্কে চার লাইন না বললে অন্যায় হবে। অনুপম খের সম্ভবত সারাংশের পরে, জীবনের সেরা অভিনয় করেছেন। অথবা অভিনয় করেননি, তিনি তাঁর আত্মীয়-স্বজনের, সমস্ত কাশ্মীরী পণ্ডিতের জীবন বেঁচে নিয়েছেন, ওই তিনটি ঘন্টায়। পুরো মুভিতে আমার চোখে একবারও জল আসেনি। কিন্তু তাঁর শেষ দৃশ্যে, মৃত্যুশয্যায়, যখন তিনি বলেন, “আমার ঘরের জানলার কাঠ বরফ পড়ে খারাপ হয়ে যায় কৃষ্ণা। যখন আমার অস্থি আমার বাড়িতে ছড়াতে যাবি, জানলা ঠিক করিয়ে দিস আমার ঘরের। জানলা ঠিক করিয়ে দিস বাপ।”, আমি চোখের জল ধরে রাখতে পারি নি। হ্যাঁ যাদের এখনো দেশ বলতে আসমুদ্র হিমাচল মনে হয়, তাঁরাই কাঁদে আর যাদের রক্তে “হারামী” শব্দটা সমার্থক হয়ে গেছে তারাই বিরোধিতা করছে। শুনেছি কুকুর কে খাওয়ালে কুকুর বেইমানি করেনা, তবে কি এরা কুকুরেরও অধম ।

অর্ধেক পৃথিবীর জ্ঞানের আকর, শান্তিপ্রিয়, দেশপ্রেমিক, শিক্ষিত একটি সম্প্রদায়কে যারা মেরেছে, রেপ করেছে, পঞ্চাশ পুরুষের ভিটে থেকে উৎখাত করেছে, তাদের নাগরিক হওয়ার অধিকার অবধি কেড়ে নিয়েছে, আর যারা এই সমস্ত জেনেও শুধু চুপ থেকেছে তাই নয়, মিথ্যে ন্যারেটিভ সাজিয়ে সারা পৃথিবীকে বোকা বানিয়ে গেছে, শুধু যাতে পাকিস্তান এসে ভারতের থেকে কাশ্মীর কেড়ে নিতে পারে, তাদের যেন পরবর্তী প্রজন্ম ক্ষমা না করে। তাদের যেন আস্তাকুঁড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেয়। ঘৃণা করে।

দ্য টাইম ইজ নাউ, স্যার। দ্য টাইম ইজ নাউ। কারণ, আমরা তো সারাজীবন শুধু নীরব দর্শক হয়ে দেখে যাবো না।

“হাম দেখেঙ্গে। লাজিম হ্যায় কি হাম ভি দেখেঙ্গে। ওর ইস বার ১৯৪৭ কে গালাতি নাহি হোগা”। বললেন, এক দর্শক, চোখে জল। গালাতি কি জিজ্ঞাসা করতে শুধু মুচকি হাসলেন। অশনি সংকেত কে সেই হাসিতেই লুকিয়ে আছে, সময় বলবে।

বাংলার মানুষ “গোপাল পাঁঠা দিবস চালু করুক ১৬ আগস্ট”। এই এক উদ্যোগেই বঙ্গ জারজ রাজনীতির তৃতীয় সন্তানদের বাড়া ভাতে ছাই পরে যাবে। হিন্দু নয়, মুসলিম নয়, ভারতে প্রকৃত ভারতীয় চাই , নারায়ে তাকবীর, গাজবায় হিন্দ, কি নিজামী এ মুস্তাফা দের এবার ঘাড় ধরে বিদায় করুন।

ভারত শুধু ভারতীয়দের জন্য থাকুক । জয় হিন্দ ।

শান্তির দূতেদের দুয়ারে যম প্রকল্প বাস্তবে তৈরী শুধু শুভক্ষনের অপেক্ষা, না কি শুভ বুদ্ধির উদয় ও গণশত্রুদের শাস্তি কি হয়, সেটাই দেখার । কিন্তু দেখার জন্য বেঁচে থাকবো কি?

#দ্যকাশ্মীরফাইলস

#দ্যকাশ্মীরফাইলস

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here