মা একটি অনুভব, শুধু অনুভব করা যায় মাত্র
অভিজিৎ পাল,কলকাতা
প্রার্থনা কি?
যেখানে শান্তির সমুদ্র সফেন জাপ্টে ধরে জীবনের মুহুর্ত কে
আলাপ কি?
যার মধ্যে প্রতিবিম্বিত হয়ে যাপন খরস্রোতা নদীও দু’দন্ডের বনলতা সেন… কালের নিয়মে তিনিও হয়তো আজ মা…
আর মা?
.. সেই জন যার মধ্যে গভীর আলো আর উৎসবের সূচনা নির্মিত..
“তোমাকে পাই আবার পাইনে
তোমাকে খুঁজতে নেমে হারায় নিজে
তোমার স্পর্শে আমার অন্ধকার অস্তমিত আর সূর্যোদয় সম্মুখে
তুমি ছাড়া আমি বিলুপ্তির পথে, মা..”
যেকোনো গানের একটা গল্প থাকে আর থাকে ছবি আঁকার গান..
মা, মাকে নিয়ে, মা’র জন্য পৃথিবীর সব শব্দ ভান্ডার কম পড়ে কম পড়ে তার ব্যাখ্যা বা আখ্যানসূচি..
সময়ের একবিমূর্ত অধ্যায় হলো ‘মা ‘ তার রং কালো হোক বা ফর্সা, সে হিন্দু হোক বা মুসলিম, সে ইটভাটায় কাজ করুক বা কর্পোরেট হাউসে… সে কিন্তু দিনের শেষে সেই মা’ই….
অয়ন কুমার দেবনাথ মা নিয়ে লিখতে গিয়ে তৈরী করেছেন এমন এক চিত্রনাট্য যা হৃদয় ছুঁয়ে যায়… এমন এক কাব্যকথন যার বক্তব্য, ব্যাক্তিগত নয়… সার্বজনীন… দৃশ্যকল্প, সংগীতায়াজন, অনুভূতি, তার প্রশ্বাস, তার নিবেদন সব মিলেমিশে তোমাকে, তোমাদের, আপনাদের “মা “এর কাছে এক পলকে নিয়ে যাবেই… যার “মা ‘ আছে তার সব আছে…. অয়নের লেখা এই গল্প একমাত্র মা কে নিয়েই… শুরুতে যে আলাপ টি গেছে অসম্ভব এক সুন্দর কেমোফ্লেজ তৈরী করেছে .. অন্তরা বিশ্বাস যেহেতু নিজেও একজন কণ্ঠশিল্পী তাই তার এক্সপ্রেশন ও অভিনয়টিও অসম্ভব মনছোঁয়া … এই চিত্রনাট্যের একটা স্ট্যাম্প অবশ্যই অন্তরা বিশ্বাস…. আর উজ্জয়নী শুধুমাত্র এই গানটা গাননি এতটাই অন্তরে ছিলেন তার প্রকাশ ওনার কণ্ঠে ঝর্ণার মত বিম্বিত হয়েছে… শঙ্খচিল মাঝআকাশের যাত্রী. তার যাত্রাপথ অবরুদ্ধ না করাই ভালো…সীমানা বা দ্রাঘিমারেখা না টানাই ভালো.. উড়ুক শঙ্খচিল আমি দূরবীন চোখে দেখবো… সব মিলিয়ে “মা ” তার দর্শন তার রূপ, অয়নের কলম ছুঁলো…
“মা “কে দেখা যায় কিন্তু সত্যিই কি ছোঁয়া যায় !! যায় না বোধহয়..
অনুভব, শুধু অনুভব করা যায় মাত্র…