কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং সরপঞ্চ এবং গ্রাম প্রধানদের পুনর্গঠিত জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কারে যোগ দেওয়ার জন্য আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন
জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কারের জন্য নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ শুরু হবে ২০২২-এর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে, অনলাইনে নাম নথিভুক্তির শেষ তারিখ ২০২২-এর ৩১ অক্টোবর
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন এবং পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রী শ্রী গিরিরাজ সিং সরপঞ্চ এবং গ্রাম প্রধানদের পুনর্গঠিত জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কারে যোগদানের জন্য আর্জি জানিয়ে চিঠি লিখেছেন। ২০২২-এর ১০ সেপ্টেম্বর থেকে পুনরুজ্জীবিত জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কারের জন্য নাম নথিভুক্তিকরণের কাজ শুরু হবে। অনলাইনে নাম জমা দেওয়ার শেষ দিন ২০২২-এর ৩১ অক্টোবর।
চিঠিতে মন্ত্রী জানিয়েছেন যে জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কারের পদ্ধতি, প্রক্রিয়া এবং শ্রেণীর আমূল পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে যাতে করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাতীয়, রাজ্য, জেলা এবং ব্লকস্তরে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পঞ্চায়েতকে পুনর্গঠিত ও পুরস্কৃত করা যায় এবং তাদেরকে আর্থিক অনুদান দেওয়া যায়। গ্রামীণ এলাকায় স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়ের ভিত্তিতে সাফল্য এবং সুস্থায়ী উন্নয়নের দিশার ওপর নির্ভর করে এই নির্বাচন করা হবে।
তিনি আরও জানান যে এই বছর পঞ্চায়েতে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয়ে গতি সঞ্চার করতে সুস্থায়ী উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় সাফল্য অর্জনের জন্য জাতীয় পঞ্চায়েত পুরস্কারের পদ্ধতি এবং শ্রণীর আমূল পরিবর্তন ঘটানো হয়েছে। যে নয়টি শ্রেণীকে এর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা হল – (১) গ্রামে দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত জীবনজীবিকা, (২) স্বাস্থ্যকর গ্রাম, (৩) শিশু-বান্ধব গ্রাম, (৪) জলের অভাবমুক্ত গ্রাম, (৫) পরিচ্ছন্ন ও সবুজ গ্রাম, (৬) স্বনির্ভর পরিকাঠামো সমৃদ্ধ গ্রাম, (৭) সামাজিকভাবে সুরক্ষিত এবং সামাজিকভাবে ন্যায়পরায়ণ গ্রাম, (৮) উন্নত পরিচালনাধীন গ্রাম এবং (৯) মহিলা-বান্ধব পঞ্চায়েত।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন – www.panchayataward.gov.in
প্রেক্ষাপট
পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থাকে একটি সাংবিধানিক মর্যাদা দেওয়ার বিষয়টিকে উদযাপন করতে প্রতি বছর ২৪ এপ্রিল তারিখটি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস হিসেবে উদযাপন করে থাকে। এর মাধ্যমে সারা দেশের সমস্ত পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তাঁদের সাফল্য এবং তাঁদেরকে অনুপ্রাণিত করা যায় এবং স্বাধিকার প্রদান করা যায় তা নিয়ে আলাপ-আলোচনা হয়। সংবিধান প্রদত্ত গ্রামীণ এলাকার জন্য আঞ্চলিক স্বশাসিত সংস্থা গ্রামসভা এবং পঞ্চায়েত সম্পর্কে আরও বেশি সচেতনতা গড়ে তুলতে পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন করা হয়। ‘জন ভাগিদারি’কে আরও বেশি সর্বোত্তম করে তুলতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস উদযাপন করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
প্রত্যেক বছর এই উপলক্ষে পঞ্চায়েতি রাজ মন্ত্রক জন-পরিষেবা এবং জনকল্যাণে তাদের ভালো কাজের নিরিখে সারা দেশ জুড়ে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের পঞ্চায়েতগুলিকে পুরস্কৃত করে।