বাঁকুড়ার সোমসার গ্রামে আর্থ সামাজিক উন্নয়নে রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশন
বাঁকুড়া জেলার দামোদর নদীর তীরে ছোট্ট গ্রাম সোমসার। গ্রামের দেবতা সোমেশ্বর শিবের নাম থেকেই এই গ্রামের নামকরণ। বিশাল উন্মুক্ত দামোদর নদীর চরের মাঝে স্বচ্ছ নির্মল জলের স্রোত। কৃষি কাজে নিযুক্ত মানুষের সরল জীবন যাপন। বিশাল বট অশ্বত্থ গাছের মাঝে শান্ত স্নিগ্ধ নির্মল জীবনের সহায়ক এই গ্রামেই জন্মেছিলেন বেলুড় রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশনের দ্বাদশ অধ্যক্ষ স্বামী ভূতেশানন্দজি মহারাজ। বিরাট পান্ডিত্য ও ব্যক্তিত্বের অধিকারী স্বামিজী ছিলেন একজন উচ্চ স্তরের আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ।
এবার তিন একর জমির উপর অবস্থিত তাঁর জন্মস্থান ও আশ্রম অধিগ্রহণ করল রামকৃষ্ণ মঠ ও রামকৃষ্ণ মিশন। সম্প্রতি অধিগ্রহণের পর এই আশ্রমের দায়িত্বে রয়েছেন স্বামী অমলাত্মানন্দজি মহারাজ। তিনি বলেন, সোমসার খুবই পিছিয়ে পড়া গ্রাম । অনুন্নত শ্রেণীর মানুষের বাস এখানে। এই গ্রামের মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের স্বনির্ভর করে তুলতে এখানে বিনামূল্যে কোচিং সেন্টারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মন্দির, উপাসনা গৃহ, দাতব্য চিকিৎসালয় ছাড়াও প্রায় প্রতি মাসেই মানুষের প্রয়োজনে জামাকাপড়, কম্বল সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়। তিনি বলেন, সোমসার গ্রামের উন্নয়নে তারা নানা কর্মসূচি নিলেও আর্থিক সমস্যা সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা। তাই এই এলাকার পিছিয়ে পড়া মানুষদের উন্নয়নে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে সমাজের বিশিষ্ট মানুষদের এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।