ভারত একতার সার্বজনীন অনুভূতির চেতনার প্রসার ঘটাচ্ছে : শ্রী অর্জুন মুন্ডা
By PIB Kolkata
নয়াদিল্লি, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩
কেন্দ্রীয় আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী শ্রী অর্জুন মুন্ডা বলেছেন যে ভারত একতার সার্বজনীন অনুভূতির চেতনার প্রসার ঘটাচ্ছে এবং বিশ্বজনীন মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের এক নতুন বাতাবরণ তৈরির লক্ষ্যে একত্রে কাজ করার উদ্দেশ্যকে তুলে ধরছে যাতে কেউ পিছিয়ে না থাকে। আজ কলকাতার বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ নিয়ে বিশ্ব অংশীদারিত্বের ওপর জি-২০-র কর্মীগোষ্ঠীর প্রথম বৈঠকের প্লেনারি সেশনে ভাষণ তিনি ভাষণ দিচ্ছিলেন। শ্রী মুন্ডা বলেন, সকলের উন্নয়নের স্বার্থেই যথাযথ এবং ন্যায়সঙ্গত উন্নয়ন জরুরি। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ১,৮০০-রও বেশি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে তিনি ভারতের দৃষ্টিভঙ্গিতে ‘বসুধৈব কুটুম্বকম’-এর কথা উল্লেখ করেন বলেন মানব-কেন্দ্রিক উন্নয়নের যে লক্ষ্যে ভারত এগোতে চায় তার উদ্দেশ্যই হল কেউ যাতে বাদ না পড়ে। অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণ মুদ্রা ব্যবস্থাপনার পথকে প্রসারিত করে যার মধ্য দিয়ে সঞ্চয়ের প্রবৃত্তি বৃদ্ধি পায় এবং সামাজিক নিরাপত্তা ও জীবনের মানোন্নয়নের পথ প্রশস্ত হয়। ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্য করে তিনি অর্থনৈতিক সাক্ষরতার বিষয়ে যথাযথভাবে প্রশিক্ষিত হওয়ার কথা বলেন যাতে করে ভবিষ্যতে তাদের কোনরকম বিপদে না পড়তে হয়।
ব্রিটিশ সৈরাচারের শৃঙ্খলমুক্ত হয়ে ভারতের স্বাধীনতা অর্জনে আমাদের পূর্বপুরুষদের আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, তাঁরা দেশের গরিমাকে উজ্জ্বল করতে সচেষ্ট ছিলেন। তিনি বলেন, দেশ যখন স্বাধীনতার ১০০ বছর, অর্থাৎ অমৃতকালে পদার্পণ করবে, তখন যাতে কোথাও কোনও বিভেদ না থাকে। জি-২০ শিখর সম্মেলনের আয়োজন দেশের কাছে এক ঐতিহাসিক সুযোগ বলে শ্রী মুন্ডা জানান। এই জি-২০ ফোরাম আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে এক প্রধান মঞ্চ যা বিশ্বের জিডিপি-র ৮৫ শতাংশকেই উপস্থাপিত করছে।
ইতিপূর্বে জি-২০ সদস্য দেশগুলির অর্থনৈতিক বিষয়ক দপ্তর, কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার পদস্থ প্রতিনিধিবৃন্দের উপস্থিতিতে কর্মীগোষ্ঠীর বৈঠকে ভাষণ দিতে গিয়ে শ্রী মুন্ডা বলেন, ভারতের সমৃদ্ধ প্রাচীন ঐতিহ্য রয়েছে যেখানে ক্রেতারা পরিবেশ-বান্ধব বাজার ব্যবস্থা তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা নিতে পারেন। তিনি বলেন যে বিগত বহু বছর ধরে আমরা আমাদের ধরিত্রী এবং পরিবেশকে বিনষ্ট করেছি। এর একটা বিষম প্রভাব পড়েছে আমাদের পরিবেশ এবং বাস্তুতন্ত্রের ওপর। বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষিত করতে একটা বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজন রয়েছে যা না করলে আমাদের সকলকেই ডুবতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর দৃষ্টিভঙ্গির এবং মহিলা সশক্তিকরণের উজ্জ্বল দিকের ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, বিশ্বজুড়ে সময় এসেছে মহিলাদের উন্নয়নকে মহিলা-চালিত উন্নয়নের পথে নিয়ে যাওয়া।
জনসাধারণের অর্থনৈতিক সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক অন্তর্ভুক্তিকরণের প্রয়োজনকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, আমাদের উন্নয়ন কৌশলের এটাই হল মূল ভিত্তি এবং আর্থিক পরিষেবাকে একেবারে প্রান্তিক সীমায় পৌঁছে দেওয়াই হল এর উদ্দেশ্য। দরিদ্রতম মানুষের কাছে উন্নয়নের সুফল পৌঁছে দেওয়া সরকারের প্রথম থেকেই অগ্রাধিকারের ক্ষেত্র হিসেবে চিহ্নিত হয়ে রয়েছে।