প্রধানমন্ত্রী বারাণসী থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকা বিহার এমভি গঙ্গা বিলাসের যাত্রার সূচনা করলেন

0
762
PM flags off World’s Longest River Cruise - MV Ganga Vilas in Varanasi via video conferencing
PM flags off World’s Longest River Cruise - MV Ganga Vilas in Varanasi via video conferencing
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:21 Minute, 53 Second

প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসী থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকা বিহার এমভি গঙ্গা বিলাসের যাত্রার সূচনা করলেন

তিনি টেন্ট সিটি’র উদ্বোধন করেছেন

এই অনুষ্ঠানে ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি অভ্যন্তরীণ জলপথের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করা হয়েছে

“এমভি গঙ্গা বিলাস নৌ বিহারে পূর্ব ভারতের অনেক পর্যটন কেন্দ্র উপকৃত হবে”

“আজ ভারতের যে সম্পদ সম্ভার আছে, তা অকল্পনীয়”

“গঙ্গাজীকে শুধু নদী হিসাবেই বিবেচনা করা নয়, আমরা এই পবিত্র নদীকে সেবা করার জন্য নমামি গঙ্গে এবং অর্থ গঙ্গা প্রকল্পের সূচনা করেছি”

“আজ বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি ক্রমশ বাড়তে থাকায় ভারতে সফর করার এবং এদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে”

“একবিংশ শতাব্দীর এই দশক ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সংস্কারের দশক”

“নদী জলপথ ভারতের নতুন এক শক্তি”

নয়াদিল্লি, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বারাণসী থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম নৌকা বিহার এমভি গঙ্গা বিলাসের যাত্রার সূচনা করলেন। তিনি ঐ অনুষ্ঠানে টেন্ট সিটি বা তাবু শহরের উদ্বোধনও করেছেন। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী ১ হাজার কোটি টাকারও বেশি অভ্যন্তরীণ জলপথের একগুচ্ছ প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন। নদী-ভিত্তিক নৌ বিহার সংক্রান্ত পর্যটনের প্রসার ঘটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগের সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই পরিষেবার সূচনা করা হয়েছে। এর ফলে, ভারতে নৌ বিহার সংক্রান্ত পর্যটনের নতুন যুগের সূচনা হবে, যার মধ্য দিয়ে নতুন নতুন সুযোগকে কাজে লাগানো যাবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রথমেই ভগবান মহাদেবের বন্দনা করেন এবং লোহরি উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানান। শ্রী মোদী বলেন, সমাজসেবা, বিশ্বাস, তপস্যা এবং আস্থা আমাদের উৎসবগুলির অঙ্গ, যেখানে নদীর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আজ নদী জলপথের যে প্রকল্পগুলির উদ্বোধন বা শিলান্যাস হ’ল, তার মধ্য দিয়ে নদীর তাৎপর্য প্রতিফলিত। তিনি বলেন, কাশী থেকে ডিব্রুগড় পর্যন্ত নদীপথের দীর্ঘতম এই নৌ বিহার উত্তর ভারতের বহু পর্যটন কেন্দ্রকে বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে স্থান করে নিতে সহায়তা করবে। এছাড়াও, আজ যে ১ হাজার কোটি টাকার বিভিন্ন প্রকল্প পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং বারাণসী সহ উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন স্থানে উদ্বোধন বা শিলান্যাস হয়েছে, তা আগামী দিনে পূর্ব ভারতে পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটাবে এবং এই অঞ্চলে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে।

প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনে গঙ্গার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার পর গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চলে যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। এর ফলে, সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে বহু মানুষ অন্যত্র চলে গেছেন। পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য সরকার দুটি উদ্যোগ নিয়েছে। গঙ্গাজীকে শুধু নদী হিসাবেই বিবেচনা করা নয়, আমরা এই পবিত্র নদীকে সেবা করার জন্য নমামি গঙ্গে এবং অর্থ গঙ্গা প্রকল্পের সূচনা করেছি। নমামি গঙ্গে প্রকল্পের মাধ্যমে গঙ্গানদীকে দূষণমুক্ত করা হচ্ছে। এই নদী যেসব রাজ্যের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, সেখানকার অর্থনীতির মানোন্নয়নে প্রয়োজনীয় পরিবেশ গড়ে তুলতে ‘অর্থ গঙ্গা’ প্রকল্পের সূচনা করা হয়েছে।

আজ প্রথম নৌকা বিহারে যেসব বিদেশি পর্যটকরা সামিল হয়েছেন, তাঁদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ ভারতের যে সম্পদ সম্ভার আছে, তা অকল্পনীয়”। তিনি আরও বলেন, ধর্ম বা আঞ্চলিকতার উর্ধ্বে উঠে ভারত সকলকে খোলা মনে স্বাগত জানায়। বিশ্বের যে কোনও অঞ্চলের পর্যটকদের স্বাগত।

এই নৌ বিহারের অভিজ্ঞতার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি সবদিক থেকেই আলাদা। কাশী, বুদ্ধগয়া, বিক্রমশীলা, পাটনাশাহী এবং মাজুলির মতো ধর্মীয় স্থান দর্শনের পাশাপাশি পর্যটকরা বাংলাদেশের ঢাকা সফরেরও সুযোগ পাচ্ছেন। যাঁরা ভারতের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে চান, তাঁদের সুন্দরবন এবং আসামের জঙ্গলে যেতে হবে। এমভি গঙ্গা বিলাস ২৫টি নদী অববাহিকার মধ্য দিয়ে যাত্রা করবে। এর ফলে, ভারতে নদীর প্রয়োজনীয়তা সংক্রান্ত তথ্যের বিষয়ে পর্যটকদের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টি হবে। যাঁরা ভারতের খাদ্যের প্রতি আগ্রহী, তাঁরা বিভিন্ন অঞ্চলের খাবারের স্বাদও উপভোগ করতে পারবেন। “ভারতের ঐতিহ্য ও এই নৌ যাত্রার আধুনিকতার এক অনন্য মেলবন্ধন উপভোগ করা যাবে”। নৌ বিহারের নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর ফলে দেশের যুবসম্প্রদায়ের কাছে নতুন নতুন কাজের সুযোগ তৈরি হবে। “শুধু বিদেশি পর্যটকরাই নন, ভারতের যেসব পর্যটক বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন, তাঁরাও উত্তর ভারতে নতুন এক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারবেন”। প্রধানমন্ত্রী জানান, দেশ জুড়ে নৌকা বিহার পর্যটনকে উৎসাহিত করতে অন্যান্য জলপথগুলিকেও সংস্কার করা হচ্ছে। বিলাসবহুল পর্যটনের অভিজ্ঞতার কথা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

শ্রী মোদী বলেন, আজ ভারতের পর্যটন শিল্প নতুন এক যুগের সূচনা করেছে। বিশ্ব জুড়ে পরিচিতি ক্রমশ বাড়তে থাকায় ভারতে সফর করার এবং এদেশ সম্পর্কে জানার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই এদেশে পর্যটন শিল্পের প্রসারে গত ৮ বছরে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ধর্মীয় স্থানগুলির মানোন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। কাশী তার একটি আদর্শ উদাহরণ। কাশী বিশ্বনাথ ধামের সংস্কার করার পর, এখানে পর্যটকের সংখ্যা বেড়েছে। এর ফলে, স্থানীয় অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। নতুন টেন্ট সিটি আধুনিকতার সঙ্গে আধ্যাত্মিকতার মেলবন্ধন ঘটাবে। এর মাধ্যমে পর্যটকরা পর্যটনের ভিন্ন এক স্বাদ পাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে দেশে সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। “একবিংশ শতাব্দীর এই দশক ভারতের পরিকাঠামো ক্ষেত্রের সংস্কারের দশক। ভারতে আজ পরিকাঠামো সংস্কারের ক্ষেত্রে যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তা আগে কল্পনাও করা যেত না”। আবাসন, শৌচাগার, হাসপাতাল, বিদ্যুৎ, জল, রান্নার গ্যাস ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সামাজিক পরিকাঠামোর মানোন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। পাশাপাশি, রেল, জলপথ, বিমান পথ ও সড়ক পথের উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি, ডিজিটাল পরিকাঠামোর উন্নতিও ঘটেছে। এর মাধ্যমে ভারতে দ্রুত উন্নয়ন প্রতিফলিত। সবক্ষেত্রে ভারত জগৎসেরা হয়ে উঠছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালের আগে দেশে জলপথের ব্যবহার কম হ’ত। অথচ, ভারতের ইতিহাসে জলপথকে গুরুত্ব দেওয়ার নজির রয়েছে। ২০১৪ সালের পর থেকে প্রাচীন ইতিহাসের সেই শক্তির সঙ্গে আধুনিক ভারতের মেলবন্ধন ঘটানো হচ্ছে। দেশের বড় বড় নদীগুলির জলপথ সংস্কারের জন্য নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়েছে এবং বিভিন্ন পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হচ্ছে। ২০১৪ সালে দেশ জুড়ে মাত্র ৫টি জাতীয় জলপথ ছিল। আজ সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১১১ হয়েছে। এর মধ্যে দু’ডজন জলপথ দিয়ে পরিবহণ শুরু হয়েছে। আট বছরের আগের তুলনায় বর্তমানে নদীপথ ব্যবহার করে তিন গুণ বেশি পণ্য পরিবহণ হচ্ছে।

পূর্ব ভারতের উন্নয়নের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকের এই প্রকল্পের মধ্য দিয়ে উন্নত ভারতের জন্য পূর্ব ভারতকে চালিকাশক্তি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে সাহায্য করবে। হলদিয়ায় মাল্টি-মডেল টার্মিনাল বারাণসীর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটাবে। এছাড়াও, ভারত – বাংলাদেশ প্রোটোকল রুটের মাধ্যমে উত্তর-পূর্বের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে উঠবে। কলকাতা বন্দরের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ তৈরি হবে। ফলস্বরূপ, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড এবং পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধা হবে।

দক্ষ মানবসম্পদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, গুয়াহাটিতে একটি দক্ষতা বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা হয়েছে। সেখানে জাহাজ মেরামতির জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। “নৌ বিহার ও পণ্য পরিবহণের জন্য ব্যবহৃত জাহাজ পরিবহণ ক্ষেত্র পর্যটনের প্রসার ঘটাবে। সংশ্লিষ্ট শিল্পের মাধ্যমে নতুন নতুন সুযোগও গড়ে তুলবে।

সাম্প্রতিক কালের একটি সমীক্ষার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ওই সমীক্ষা থেকে এটা স্পষ্ট যে জলপরিবহণে পরিবেশ দূষণের সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি এই ব্যবস্থা অত্যন্ত অর্থকরী। সড়ক পরিবহণের থেকে জলপথে পরিবহণের ব্যয় আড়াই গুণ কম আর রেল পরিবহণের হিসেবে জলপরিবহণ দেড়গুণ সস্তা। এই প্রসঙ্গে তিনি জাতীয় পণ্য পরিবহণনীতির প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন দেশে হাজার হাজার কিলোমিটার জলপথের সংস্কার করতে হবে। দেশ জুড়ে ১২৫টির বেশী নদী এবং নদী অববাহিকার সংস্কার করতে হবে যাতে এইসব জলপথে সহজেই পণ্য পরিবহণ করা যায়। এর মাধ্যমে বন্দর ভিত্তিক উন্নয়নে গতি আসবে। অত্যাধুনিক বহুস্তরীয় জলপথ গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উত্তরপূর্বাঞ্চলের সঙ্গে জলপথ যোগাযোগ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য বাংলাদেশ সহ অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে।

তাঁর ভাষণের শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের জলপথগুলির নিরবিচ্ছিন্ন উন্নয়ন ঘটানো হচ্ছে। ” উন্নত ভারত গঠনের জন্য শক্তিশালী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরী। নদী জলপথ ভারতের নতুন এক শক্তি। দেশের ব্যবসা বাণিজ্য ও পর্যটনের প্রসারে যা সহায়তা করবে। তিনি প্রথম নৌকা বিহারের যাত্রীদের আরামপ্রদ সফর কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, আসামের মুখ্যমন্ত্রী শ্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা, বন্দর, জলপথ ও জাহাজ চলাচল মন্ত্রী শ্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল সহ বিশিষ্ট জনেরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রেক্ষাপট:

এমভি গঙ্গা বিলাস

এমভি গঙ্গা বিলাস উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থেকে যাত্রা শুরু করে ভারত এবং বাংলাদেশের ২৭টি নদী পেরিয়ে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করে অসমের ডিব্রুগড়ে পৌঁছাবে। এমভি গঙ্গা বিলাসের তিনটি ডেক এবং ১৮টি স্যুট রয়েছে। ৩৬ জন পর্যটক বিলাসবহুল সুবিধা সহ ভ্রমণ করতে পারবেন। প্রথম দিনে যাত্রার জন্য সুইজারল্যান্ডের ৩২ জন পর্যটক তাদের নাম নথিভুক্ত করেছেন।

এমভি গঙ্গা বিলাসকে বিশ্বের দরবারে প্রদর্শনের জন্য দারুণভাবে সাজানো হয়েছে। ৫১ দিনের এই যাত্রায় বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন স্থান, জাতীয় উদ্যান, নদী ঘাট এবং বিহারের পাটনা, ঝাড়খন্ডের সাহেবগঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা, বাংলাদেশের ঢাকা এবং আসামের গুয়াহাটির মতো বড় শহরগুলি ঘুরিয়ে দেখানো হবে। এই সফর পর্যটকদের ভারত ও বাংলাদেশের শিল্প, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও অধ্যাত্মিকতার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার সুযোগ করে দেবে।

নৌকা বিহার পর্যটনে উৎসাহ দিতে প্রধানমন্ত্রী যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন, তার সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই এই পরিষেবার সূচনা করা হচ্ছে। এর ফলে ভারতে নৌকা বিহার পর্যটন ক্ষেত্রে এক নতুন যুগের সূচনা হল।

বারাণসী টেন্ট সিটি

সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের পর্যটনের মানোন্নয়নে গঙ্গা নদীর তীরে এই টেন্ট সিটি তৈরি করা হয়েছে। বিশেষ করে কাশী বিশ্বনাথ ধামে পর্যটকদের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে গঙ্গার ঘাটে ঠিক বিপরীতে তৈরি করা এই টেন্ট সিটিটি পর্যটকদের জন্য আকর্ষণীয় হবে। বারাণসী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ পিপিপি মডেলে এটি তৈরি করেছে। বিভিন্ন ঘাট থেকে পর্যটকরা নৌকায় করে টেন্ট সিটিতে পৌঁছবেন। প্রতি বছর অক্টোবর থেকে জুন মাস পর্যন্ত চালু থাকবে এই টেন্ট সিটি। বর্ষাকালে নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ার দিকটি বিবেচনা করে তিন মাস এটি বন্ধ থাকবে।

অভ্যন্তরীণ জলপথ প্রকল্প

প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়ার মাল্টি-মডেল টার্মিনালের উদ্বোধন করেন। জলমার্গ বিকাশ প্রকল্পের আওতায় তৈরি করা এই হলদিয়া মাল্টি-মডেল টার্মিনালের পণ্য ওঠা-নামার ক্ষমতা প্রতি বছরে প্রায় ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন হবে। এছাড়াও, বার্থগুলি ৩ হাজার ডেড ওয়েট (ডিডাব্লুটি) টন পর্যন্ত জাহাজ থেকে পণ্য ওঠা-নামা করতে পারবে।

প্রধানমন্ত্রী সৈয়দপুর, চোচাকপুর, জামানিয়া এবং উত্তর প্রদেশের বালিয়া জেলার কাঁশপুরে চারটি ভাসমান জেটির উদ্বোধন করেন। এছাড়া তিনি দীঘা, নাগতাদিয়ারা, বাঢ়, পানাপুর এবং হাসানপুরে ৫টি জেটির শিলান্যাস করেছেন। পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, বিহার ও উত্তর প্রদেশে গঙ্গা তীরবর্তী এলাকায় ৬০টি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে, এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জীবনযাত্রার মানোন্নয়নও ঘটবে। ক্ষুদ্র কৃষক, মৎস্য ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তি এবং অসংগঠিত ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকরা ও ফুল চাষীরা বিশেষভাবে উপকৃত হবেন।

প্রধানমন্ত্রী গুয়াহাটিতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সমুদ্র দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দক্ষ কর্মশক্তির বিকাশ ঘটাতে এই কেন্দ্র সাহায্য করবে। পণ্য পরিবহণ শিল্পের নতুন কর্মসংস্থানের চাহিদাও এই কেন্দ্রের মাধ্যমে পূরণ হবে।

শ্রী মোদী অনুষ্ঠানে গুয়াহাটির পান্ডু টার্মিনালে একটি জাহাজ মেরামতি সুবিধা কেন্দ্র এবং পান্ডু টার্মিনালের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলতে একটি উড়ালপুলের শিলান্যাস করেন। জাহাজ মেরামতির সুবিধা কেন্দ্রটি গড়ে উঠলে কোনও জাহাজ মেরামতির জন্য আর কলকাতার উপর নির্ভর করতে হবে না। এর ফলে, প্রচুর পরিমাণ অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে। উড়ালপুলটি পান্ডু টার্মিনালের সঙ্গে ২৭ নম্বর জাতীয় সড়কের সরাসরি যোগাযোগ গড়ে তুলবে।

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here