মলদ্বারে লুকিয়ে রেখে ছিল ৮৬ লাখ টাকা মূল্যের ১২ টি সোনার বিস্কুট, বিএসএফ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারীকে ধরেছে
(জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা)
২৭ মে, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণ বঙ্গ সীমান্তের ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি হাকিমপুরের জওয়ানরা, নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ১২ টি সোনার বিস্কুট সহ এক চোরাকারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে। জব্দ করা সোনার ওজন ১.৩৯৭ কেজি, যার আনুমানিক মূল্য ৮৬,০৪,৬৫৯ টাকা। চোরাকারবারিরাএই সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল ।
উল্লেখ্য যে, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে হাকিমপুর চেকপোস্টের জওয়ানরা হাকিমপুর গ্রাম থেকে স্বরূপধা অভিমুখে যাওয়া এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে থামায়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যক্তি তার সঙ্গে কিছু থাকার কথা অস্বীকার করে। এর পরে জওয়ানরা হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) দিয়ে তাকে তল্লাশি করলে, মেশিনে বিপ শব্দ হয়। তখন পাচারকারী জওয়ানদের কাছে স্বীকার করে যে সে তার মলদ্বারে ১২ টি সোনার বিস্কুট লুকিয়ে রেখেছে। এরপর আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাচারকারীকে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে জওয়ানরা। আটক চোরাকারবারীর নাম মাইনুর খান (৫৬ বছর), গ্রাম হাকিমপুর, মাজারপাড়া, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা।
জিজ্ঞাসাবাদে মাইনূর খান জানায়, ২৬ মে রাত আনুমানিক ১৯০০ ঘটিকায় বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার বাসিন্দা সাহজুল সোনাই নদী পার হয়ে তার বাড়িতে আসে এবং তাকে ০৬ টি প্যাকেটে রাখা ১২ টি সোনার বিস্কুট দেয়। এর পরে, এই সোনার বিস্কুটগুলি উত্তর চব্বিশ পরগনার বসিরহাটের রাজীবের কাছে হস্তান্তর করা হতো। এই কাজের জন্য তার ১৩০০/- টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু হাকিমপুর চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় বিএসএফ জওয়ানরা তাকে ধরে ফেলে।
আসলে চোরাকারবারীরা সীমান্তবর্তী গ্রামের নিরীহ মানুষকে কিছু টাকার প্রলোভন দেখিয়ে চোরাচালানের মতো অপরাধে জড়িয়ে ফেলছে। ২৫ মে তেই বিএসএফ জওয়ানরা সোনার একটি বিশাল চালান বাজেয়াপ্ত করেছিল। যেখানে জওয়ানরা আইসিপি পেট্রাপোলে প্রায় ৩ কোটি টাকার ৩৬ টি সোনার বিস্কুট সহ এক পাচারকারীকেও ধরেছিল।
আটককৃত চোরাকারবারীকে বাজেয়াপ্ত মালামালসহ তেন্তুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করে সোনা চালানের রিপোর্ট জানাতে বলেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করেছে, যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।