বিএসএফ সোনা চোরাচালান বানচাল করেছে; সীমান্তে ৪৬ লাখ টাকা মূল্যের ০৬ টি সোনার বিস্কুট জব্দ
(জেলা – উত্তর ২৪ পরগণা)
০৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অধীন ১১২ ব্যাটালিয়নের সীমা চৌকি তারালির সতর্ক জওয়ানরা তাদের দায়িত্বের এলাকা থেকে মোট ০৬ টি সোনার বিস্কুট জব্দ করেছে। জব্দ করা সোনার ওজন ৭৪৫ গ্রাম এবং এর আনুমানিক মূল্য ৪৫,৪১,৭৪৩/- টাকা। চোরাকারবারিরা এই সোনা বাংলাদেশ থেকে ভারতে আনার চেষ্টা করছিল ।
প্রকৃতপক্ষে, ০৪ সেপ্টেম্বর, তারালী সীমান্ত চৌকির জওয়ানরা নিশ্চিত খবর পায় যে তাদের এলাকা থেকে সোনা চোরাচালান ঘটতে চলেছে। ০৭৫৫ টার দিকে, জওয়ানরা সীমান্তের কাছে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে পর্যবেক্ষণ করে। জওয়ানরা তাকে ধাওয়া করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যেতে থাকে। পালিয়ে যাওয়ার সময় চোরাকারবারি কিছু জিনিস সেখানেই ফেলে পালিয়ে যায়। জওয়ানরা এলাকাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি করলেও প্রবল বৃষ্টি ও জলাভূমির কারণে ঘটনাস্থল থেকে কিছুই পাওয়া যায়নি। এরপর ওই এলাকা ঘিরে রেখে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।
পরদিন ০৫ সেপ্টেম্বর সকালে, একই এলাকায় নতুন করে অনুসন্ধান চালানো হয়। তল্লাশির সময়, জওয়ানরা কালো টেপ দিয়ে মোড়ানো একটি প্যাকেট খুঁজে পায় যাতে ০৬ টি সোনার বিস্কুট ছিল। জওয়ানরা সোনা বাজেয়াপ্ত করে সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে। আশেপাশে জিজ্ঞাসাবাদ করে পালিয়ে যাওয়া পাচারকারীর পরিচয় আজিজুল ফকির, পিতা নুর ইসলাম ফকির, গ্রামের তারালী, জেলা উত্তর ২৪ পরগনা বলে জানা যায়।
জব্দকৃত স্বর্ণ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তেঁতুলিয়া কাস্টম অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শ্রী এ কে আর্য, ডিআইজি, বিএসএফ, জনসংযোগ আধিকারিক,সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, বিএসএফ চোরাকারবারিদের প্রতিটি ন্যাক্কারজনক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে ফাঁদ লাগিয়েছে। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেলে বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বর ১৪৪১৯ এ যোগাযোগ করার জন্য আবেদন করেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করা হয়েছে যাতে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত তথ্য হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজ করে পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।