হিন্দু দেবতার কুরুচিপূর্ণ ছবি এঁকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে অসমিয়া শিল্পী আক্রাম হুসেন
হীরক মুখোপাধ্যায় (১৮ অগস্ট ‘২০):- প্রয়াত মকবুল ফিদা হুসেন-এর পর আবার এক হিন্দু দেবতার কুরুচিপূর্ণ ছবি এঁকে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এলেন অসমিয়া শিল্পী আক্রাম হুসেন।
সম্প্রতি গুয়াহাটি-র রবীন্দ্র ভবনে অবস্থিত ‘অসম স্টেট আর্ট গ্যালারি’-তে একটা চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে আক্রাম হুসেন-এর একটা ছবি স্থান পেয়েছিল।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, একটা নাইট ক্লাবে বিকিনি পরা মহিলাদের সঙ্গসুখ ভোগ করছেন হিন্দুদের আরাধ্য দেবতা শ্রীকৃষ্ণ।
এই ঘটনার কথা প্রকাশ হতেই সামাজিক মাধ্যমে ধিকৃত হতে থাকেন এই মুসলমান শিল্পী। অসম রাজ্য পুলিসের সদর দপ্তরের বয়ান অনুযায়ী, “ইতিমধ্যে শিল্পীর নামে এফআইআর দায়ের হয়েছে।”
প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা ভালো, এর আগেও একবার জাতীয় পতাকা অবমাননার বিষয়ে ধিকৃত হয়েছিলেন এই মুসলমান শিল্পী।
সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে পয়গম্বর-এর উপর ফেসবুকে এক বিতর্কিত পোস্ট করার জন্য সেখানে দাঙ্গা লাগার উপক্রম হয়েছিল। রাজনৈতিক তথ্যাভিজ্ঞ মহলের মতে, “খুব সুচিন্তিত ভাবে ভারতের নানা প্রান্তে বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি সক্রিয় হয়ে উঠছে, এই সকল ঘটনা তারই নমুনা।”
ভারতের মতো দেশে উদারবাদী মানসিকতার প্রাধান্য থাকার জন্য বিভিন্ন সময়ে ভারতের সংখ্যাগুরু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসে একতরফা আঘাত হেনেও কখনো ‘শিল্পীর স্বাধীনতা’ কখনোবা ‘সংখ্যালঘু সম্প্রদায়’-এর তাস খেলে বারবার ছাড়া পেয়ে যায় একটা সম্প্রদায়। এর আগেও দেখা গেছে মকবুল ফিদা হুসেন হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবনায় আঘাত করেও পার পেয়ে গেছেন। তিনিও বিদ্যার দেবী সরস্বতী-কে বিকৃত করে উপস্থাপনা করে ‘শিল্পীর স্বাধীনতা’-র মেকি যুক্তির অবতারণা করেছিলেন। যদিও সেই সময় আর এই সময়ের মধ্যে বিস্তর ফারাক রয়েছে।
সারা ভারতের হিন্দু সমাজ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে দাবী তুলেছে, “হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবনায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত দেওয়া যদি ‘শিল্পীর স্বাধীনতা’ হয়ে থাকে তাহলে মুসলমান সম্প্রদায়ের পয়গম্বর-কে নিয়ে কিছু বললে সেটা কেন ‘বাক স্বাধীনতা’ রূপে গণ্য হবেনা ?”
“সহিষ্ণুতা একতরফা বিষয় হতে পারেনা এবং উচিৎ ও নয় । আজ দেশে নিজেদের অবস্থান দেশের মানুষের মাঝে সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কে হেয় করার জন্য অন্য সম্প্রদায় নয়, তাঁদের এক অংশ যেন সক্রিয় হয়ে উঠেছে । এর ফলে হিংসার আশ্রয় নেয়ার এক ছাড়পত্র প্রতি পক্ষই যেন মুক্ত হস্তে পেয়ে যাচ্ছে ।
সমাজ এক গভীর অসুখে আক্রান্ত , নিজেদের অনৈতিক কাজ কে নৈতিক করে তোলার সুযোগ ,সুযোগসন্ধানী সকলে পেয়ে যাচ্ছে ।সময় ,অসময় এবং দুঃসময় বোধহয় একেই বলে ।” ~ সুমন মুন্সী
*** Requested to follow law and order. Kindly note action or reaction both are harmful to any civilized society. Also, information above was sourced from Special News on Facebook. The authenticity of the same needs to be clarified from official administrative sources.***
#Disrespect_Of_Hindu_God #Malign_Of_Hindu_Sentiment #Artwork #Painter_Akram_Husen #Assam_State_Art_Gallery #Guwahati #Govt_Of_Assam