নিখিল ভারত শিশু-সাহিত্য সংসদের ছড়া গড়ার কর্মশালা
সংবাদদাতা, কলকাতা:
এই অস্থির সময়ে আমরা শিশুদের জন্য কী লিখছি, কেন লিখছি, কেমনভাবে লিখছি– এই বিষয়ের উপর রাজ্যস্তরের ছড়া গড়ার ব্যতিক্রমী এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কে পি সি মেমোরিয়াল হল-এ। আয়োজনে নিখিল ভারত শিশু-সাহিত্য সংসদ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কমিটি। সহযোগিতায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান বিভাগ। উদ্বোধক ও প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ড. পবিত্র সরকার। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন লুৎফর রহমান রিটন।
কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশী এই স্বনামধন্য ছড়াকার সুদূর কানাডা থেকে এই কর্মশালার টানে এসে উপস্থিত হয়েছেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন এপার বাংলার জনপ্রিয় ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার ও এই সময়ের বিশিষ্ট শিশুসাহিত্যিক ও ছড়া-সাহিত্যের গবেষক ড. পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, এদিন স্মারক সম্মাননা প্রদান করা হয় উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ সকল শিক্ষার্থী হিসেবে উপস্থিত ছড়াকারদের। শ্রোতা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সারা রাজ্য থেকে আগত প্রায় দুই-শতাধিক ছড়া-প্রেমী ও ছড়াকার।
প্রথম পর্বে লুৎফর রহমান রিটন ছড়াকারদের প্রতি সাহিত্য-সমাজের অবহেলার দিকটি তুলে ধরেন। তিনি এ-প্রসঙ্গে তাঁর নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে ছড়া-বিষয়ে একটি সুন্দর বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তা ও প্রশিক্ষক ড. পবিত্র সরকার ছড়া ও ছন্দের ব্যাকরণ বিষয়ে সুন্দর একটি আলোচনা তুলে ধরেন। ছড়ার ইতিহাস আলোচনা করেন ড. পার্থজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এ-ছাড়া বক্তব্য রাখেন ছড়াকার ভবানীপ্রসাদ মজুমদার।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মশালায় উপস্থিত ছড়াকারদের ছড়া নিয়ে আলোচনা করেন ড. সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, প্রণব চৌধুরী, দীপ মুখোপাধ্যায়, ইভা চক্রবর্তী, আশিস মুখোপাধ্যায়, আনসার উল হক প্রমুখ।
এই কর্মশালায় সকল অতিথিদের উদ্দেশ্যে স্বাগত ও সমাপ্তি ভাষণ দেন নিখিল ভারত শিশু-সাহিত্য সংসদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক আনসার উল হক। তিনি বলেন এমন কর্মশালা সারা ভারতে এই প্রথম।
সুচারু রূপে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন এই সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক ধীশঙ্কর সেনগুপ্ত, স্বপন পাল ও জ্যোতির্ময় সরদার।