ভাবনায় পঁচিশে বৈশাখ
ড: পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায়
ভেবেছি, তোমায় নিয়ে,
আর কোনোদিন কিছু ভাববো না, কবি।
অবশ কথার জাল,
ভাষার আধার শুধু করে দেয় ফাঁকা।
তার থেকে বিস্ময়ে,
শুধু চেয়ে থেকে যাব আকাশ সুনীলে।
যেখানে রবির তেজে
চাঁদ গ্রহ তারা থাকে অভিমানে ঢাকা।।
ছায়াপথ হতে চেয়ে,
কল্পনা সুখ মাখা হৃদয়ের সুরে।
গাইব না গান কোনো-
অধিকারহীনতাতে, যা গিয়েছে মরে।
আলোর নিশানা ছুঁয়ে,
জানি, সেই ছায়াপথও যবে যাবে ভেঙে,
ঝরবে তেমন ভাবে-
ফুল, ফোটা হওয়া শেষে যে নিয়মে ঝরে।।
তোমার স্মৃতিকে নিয়ে,
কোনোদিন সভাঘরে বলব না কিছু।
বিস্মৃতি হয়না যা,
সে স্মৃতির কথকতা করে পড়ি লাজে।
আমার এই অজ্ঞতা,
হয়তো আমারই বুকে শেল হয়ে বিঁধে।
ফিকে অনুভূতি দুখে,
আমাকে সাজিয়ে দেবে জড়তার সাজে।।
লিখব না কোনোমতে,
তোমাকে আপন করে কোনোকিছু লেখা।
হীনবল যোগ্যতা,
আমার সে স্পর্ধাকে করে গেছে মানা।
তেমন সাহসী বুঝি?
না মেনে সে নিষেধের বেড়াজাল খানি।
সৃষ্টিশীলতা ভুলে,
আজীবন সাথী করি দুবিধা, দোটানা?
তোমার চলার পথে,
চলবার আশা নিয়ে বাঁধব না গতি।
যে পথে বিছানো থাকে,
পারিজাত অনুরিত প্রেয়সীর হাসি।
বরং দুরের থেকে,
পায়ের চিহ্ন চিনে অনাগত ভোরে।
কল্পনা করে নেব,
উৎসমুখের নত ভালোবাসাবাসি।।
তোমাকে নতুন করে,
স্বপ্নে দেখতে,আমি চাইনা ঘুমাতে।
ঘুম! সে তো শিশু করে-
মানুষের চেতনাকে! আলুথালু ধুলো।
বরং দু চোখ ভরে,
মায়া মাখা আবেশেরা রীতিনীতি ভুলে।
চিনে নিক ঈশ্বর-
প্রেরিত, তোমার যত গাঁথা মালাগুলো।।
শুনে যাও শুধু কবি,
সেইদিনই আমি শুধু মুখোমুখি বসে।
চাইব তোমার দিকে,
অস্ফুটে এক দুটো শব্দকে মেলে।
স্বীকৃতি চেয়ে নেব,
যেদিন আমাকে ডেকে বলে যাবে বিধি।
তুমিও আগুন হলে,
তোমাকেও শিখা করে দিয়েছি যে জ্বেলে।।
কত কি ভাবার ছলে,
কত গুণী আঁজলাতে মিথ্যেকে পোষে।
তেমনই আর এক হব-
নির্গুণ ঢেউ বেশে, সাগরের বুকে।
কে কাকে রেখেছে মনে,
আকাশের সীমারেখা ছেড়ে চলে যাওয়া,
শাশ্বত অসীমের
গতিপথগামী কোনো অশনির সুখে!
পলাশ_বন্দ্যোপাধ্যায়
চব্বিশে বৈশাখ::১৪২৮