কে জানে কখন,স্বপ্ন দেখে এ মন,
সুমন মুন্সী,কোলকাতা
কে জানে কখন,স্বপ্ন দেখে এ মন,
“কেউ কথা রাখেনি” সুনীলও জানতো তা,
শক্তিও বলে ছিল, “যেতে পারি, কিন্তু কেন যাবো?”
তবু সে চলে গেলো ।
শঙ্খ বাজেনা আর, সেও যে থেমে গেলো।
হেমন্তের গানের স্বরলিপি তাকেই রয়ে গেলো,
কফি হাউসের আড্ডায়, মান্না যে আজও কাঁদায়।
শাওনও রাতে যদি জগন্ময় আসে মনে,
সলিলের গায়েঁর বঁধু,, আজও যেন প্রিয়কেই খোঁজে ।
জীবনানন্দ কিন্তু পেয়েছিলো বনলতাকে,শ্রাবস্তীর পথের ধারে,
নীলাঞ্জনাকে কেও খুঁজে বেড়ায় নচিকেতা গানেরই মাঝে ।
অজানা কথা গুলো গান হয়ে রয়ে গেলো।
কে জানে কখন,স্বপ্ন দেখে এ মন,
কে জানে কখন, দুচোখে বৃষ্টি তখন।
ফেলে আসা পথ ধরে, গিয়েছো যত দূরে,
তাকিয়ে থেকেছে মন, শূন্য এ অন্তরে ।
বাঁধ ভাঙা নদী কেন, ভাসিয়ে দিলে সব,
কিছু কি বাকি ছিল, কথাদেরই মাঝে ছিল।
যন্ত্রনা রেখে গেলে, তাতে কি সব পেলে?
কে জানে কখন, স্বপ্ন দেখে এ মন,
শুধু জাগি রাত একা, চেয়ে থাকে শুকতারা,
বুকের মাঝেতে আগুন যেন বাউলের একতারা ।
ধিকি ধিকি জ্বলে তাঁরা, চাঁদ শুধু রয় একা ।
যত গান গেয়েছিলে, সব সুর নিয়ে গেলে,
যে গান হলোনা গাওয়া, তাই শুধু দিয়ে গেলে ।
নীরবে চেয়ে থাকি, চলে যাওয়া পথ ধরে,
ঢেউ আর ঢেউ গুনি, একা রয় বেলাভূমি ।
কে জানে কখন, স্বপ্ন দেখে এ মন,
ছুঁয়ে থাকে স্মৃতি গুলো, রাত জাগা পাখি যেন,
কান্নারও ভাষা আছে, বুঝিনি সে কথা কেন ।
নীরবতা কথা বলে, মৌন মুখর হলে,
না বলা কথা গুলো, হৃদয়ে ঢেউ তোলে।
ঝড়া পাতা কথা দাও,উড়ে যাবে সেইক্ষণে ফেলে যাওয়া পথ ধরে,
যদি সে নাও মেলে, স্বপ্নে খুঁজো তারে,
ঠিকানা খুঁজোনা তুমি, বারে বারে ধোঁকা দেবে,
স্মৃতির ওই পথের ধারে আমাকেই খুঁজে পাবে ।
কে জানে কখন, স্বপ্ন দেখে এ মন,।