নারী দিবস তোমাকে
সুমন মুন্সী
আজকে নাকি আন্তর্জাতিক নারী দিবস,
আজকে নাকি নারীরা খুব স্পেশ্যাল সে ।
আমার কিছু প্রশ্ন আছে নারী পুরুষ তোমাদের সবার কাছে,
বলতে পারো কোন সে জন আছে, আসেনি যে মাতৃ গর্ভ হতে?
বলতে পারো কোন সে ছবি শিল্পী আঁকে,
মোনালিসা নেই যাঁর মনের মাঝে ।
জীবন থেকে ফাগুন গেলে, পলাশ কেন আজও কাঁদে,
কেন প্রিয়া আজও, বিনিদ্র রাত জেগে কাঁদে।
সব পুরুষেই রাবণ খুঁজে, মিছেই জীবন ডুকরে কাঁদে।
কোন সে নারী আছে বলো,
পিতা ছাড়া এ জগৎ পেলো,
শাসনের ওই বেড়া জালে,
সমাজ কি কেবল বেঁধেই রাখে?
নারী পুরুষ যখন বাঁধন ভেঙে,
কোন প্লাবনে সে ভেসে যাবে,
সেই প্লাবনের কাদা পাঁকে,
শুধু নারীকেই কেন মরতে হবে ?
সমাজ যখন এগিয়ে চলে,
আধুনিক যত ভাবনা সঙ্গে আনে,
ভালো মন্দ বিচার করে,
তবেই গ্রহণ করো তাকে ।
জীবন যদি থমকে যায়, চোখের কোণের শ্রাবণ ধারায়,
নতুন করে ভিজিয়ে নিয়ে, মনটাকে দাও মুক্ত করে;
বদ্ধ আর বাধ্য হয়ে, বঞ্চিত সে যেন না হয় সমাজে,
সমাজের নিয়ম যত, নারীর হাতেই হয় পোক্ত,
বৌ, শাশুড়ী একজোট হলে, কি এমন ক্ষতি এ সংসারে।
কালিমা আর মলিনতা নয়তো নারীর জন্য একা,
পাপপুণ্য বিবেক মাঝে, বিনা বিবেকে কি সমাজ বাঁচে?
আজকে তাই সবার মাঝে,যে,
নারীকে সাজায় রানীর সাজে,
অন্তরালে লোলুপ চোখে,
শ্বাপদের ন্যায় হিংস্র সে ।
একেই কি বলো পুরুষ তুমি, চাইবে কোনো সম্মানী নারী ?
ইচ্ছে করেই মেনে নেয়, সব অপমান ,
অত্যাচারও সব সয়ে নেয়,
একদিনের তরে নতুন জীবন পেলে,
পারবে কি পুরুষ একই প্রসব ব্যথা মেনে নিতে?
নারীর থেকেই শক্তি পেয়ে,
নারীকেই সাজায় অবলা যে,
জেনো অবলা নয়কো কোনো নারী,
নীরব থেকেই সে হয় প্রতিবাদী,
লক্ষী, কালী একই অঙ্গে,
তফাৎ শুধু বহিরঙ্গে।
প্রেমিকা হোক বা স্ত্রী,খাঁটি ভালোবাসার কাঙাল সে ।
প্রাণভরা ভালোবাসা এক মুঠো এগিয়ে দিলে,
সারা জীবনটা তোমায় দিতে পারে,
এমন সত্যি আর কিছু নেই।
মায়ের কথা নাইবা বলি,মাতৃ স্নেহে নেইকো ফাঁকি।
নারী দিবসে নতুন ডাক,সমাজ থেকে বিভেদ যাক।
সোনার পৃথিবী গড়তে হলে,
নারী পুরুষ এক সাথে চলো এগিয়ে ।
নারী দিবসের, এই প্রার্থনা,দূর হোক সব মলিনতা।