আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ভারত এখন এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত

0
471
Dollar - Business,Profit and More
Dollar - Business,Profit and More
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:14 Minute, 3 Second

‘সমৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা বৃদ্ধি’র বিষয় নিয়ে বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখলেন


“ভারতীয় অর্থনীতি নিয়ে প্রত্যেকটি আলোচনায় প্রশ্নবোধক বিষয়গুলিকে বিশ্বাস এবং প্রত্যাশায় রূপান্তরিত করা হয়েছে”

“আন্তর্জাতিক অর্থনীতিতে ভারত এখন এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেবে পরিগণিত”

“ভোকাল ফর লোকাল-এর দৃষ্টিভঙ্গি এবং আত্মনির্ভরতা এক জাতীয় দায়িত্বস্বরূপ”

By PIB Kolkata

নয়াদিল্লি, ৭ মার্চ, ২০২৩

‘সমৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে আর্থিক পরিষেবার দক্ষতা বৃদ্ধি’র বিষয় নিয়ে বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারে বক্তব্য রাখলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী। ২০২৩-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষিত উদ্যোগের সফল রূপায়ণের লক্ষ্যে মতামত এবং পরামর্শ চেয়ে সরকার আয়োজিত ১২টি ওয়েবিনারের এটি দশম।

সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন যে সরকার বাজেট পরবর্তী ওয়েবিনারগুলিতে বাজেটের সফল রূপায়ণের লক্ষ্যে অংশীদারদের মতামত এবং পরামর্শকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে যৌথ মালিকানা এবং সম-অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রকে প্রস্তুত করছে সরকার। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা অতিমারীর সময় ভারতের আর্থিক এবং মুদ্রা নীতির প্রভাব সমগ্র বিশ্ব প্রত্যক্ষ করছে। গত ৯ বছরে ভারতীয় অর্থনীতির মৌলিক আধারগুলিকে শক্তিশালী করতে সরকারি প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। বিশ্ব যখন সন্দিগ্ধ দৃষ্টিতে ভারতকে দেখত, সেই সময়ের উল্লেখ করে শ্রী মোদী বলেন, ভারতীয় অর্থনীতি, বাজেট ও লক্ষ্য – এই সমস্ত কিছু নিয়ে আলোচনা প্রায়শই শুরু এবং শেষই হত প্রশ্ন দিয়ে। আর্থিক শৃঙ্খলার স্বচ্ছতা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির ক্ষেত্রে যে পরিবর্তন এসেছে তার ওপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, এই শুরু এবং শেষের প্রশ্ন এখন বিশ্বাস ও প্রত্যাশায় পরিবর্তিত হয়েছে। সাম্প্রতিক সাফল্যের দিকগুলি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষেত্রে ভারত এখন এক উজ্জ্বল ক্ষেত্র হিসেব পরিগণিত। তিনি বলেন, জি-২০-তে ভারত সভাপতিত্ব করছে এবং ২০২১-২২-এ ভারতে সর্বাধিক প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। শ্রী মোদী বলেন যে এই বিনিয়োগের বৃহৎ অংশ উৎপাদন ক্ষেত্রে হয়েছে। পিএলআই প্রকল্পের সুযোগ নিতে ক্রমাগত আবেদনপত্র জমা পড়ছে যা বিশ্ব সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতকে একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা করে দিয়েছে। প্রত্যেককে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার জন্য প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, আজকের ভারত নতুন সক্ষমতার সঙ্গে প্রত্যেককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছে। ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দায়বদ্ধতা অনেক বেড়ে গেছে। এই দায়িত্বপ্রাপ্তদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৮-১০ বছর পূর্বে যা বস্তুতপক্ষে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়েছিল তা এখন তাঁদের সামনে মুনাফা অর্জনকারী বিশ্বের বৃহৎ আর্থিক এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা হিসেবে দেখা দিয়েছে। মনে রাখতে হবে, দেশে আজ এমন এক সরকার রয়েছে যা সাহস, স্বচ্ছতা এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। এখন সময়ের প্রয়োজন হল ভারতের ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার সুযোগ যাতে বৃহত্তর অংশের মানুষের কাছে পৌঁছতে পারে তা নিশ্চিত করা। ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও অণু শিল্পক্ষেত্রগুলিকে সরকারি সহায়তার দৃষ্টান্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রকে বেশি সংখ্যক শিল্পক্ষেত্রের কাছে পৌঁছনোর আবেদন জানান। ১ কোটি ২০ লক্ষ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও অণু শিল্পক্ষেত্র (এমএসএমই) অতিমারীর সময় সরকারের কাছ থেকে প্রভূত সাহায্য পেয়েছে। এ বছরের বাজেটেও এমএসএমই ক্ষেত্রগুলির জন্য কোনরকম বন্ধক ছাড়াই অতিরিক্ত ২ লক্ষ কোটি টাকার নিশ্চিত ঋণের সংস্থান রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, এখন যা দরকার তা হল আমাদের ব্যাঙ্কগুলির তাদেরকে ঋণ প্রদান করা। 

প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন যে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিগত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সরকারি নীতির ফলে কোটি কোটি মানুষ প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থার অঙ্গীভূত হয়েছেন। কোনরকম ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি ছাড়াই সরকার ২০ লক্ষ কোটি টাকার ‘মুদ্রা’ ঋণ দিয়ে কোটি কোটি যুবার স্বপ্ন পূরণ করেছে। এই প্রথম ৪০ লক্ষেরও বেশি হকার এবং ছোট দোকানদার ‘পিএম স্বনিধি যোজনা’র মাধ্যমে ব্যাঙ্কের সাহায্য পেয়েছে। তিনি অংশীদারদের কাছে আহ্বান জানান, সহজ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে মূল্যসাশ্রয়ী উপায়ে ক্ষুদ্র উদ্যোগপতিদের কাছে সহজে ঋণ পৌঁছে দেওয়ার জন্য।

ভোকাল ফর লোকাল-এর ওপর আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা কেবলমাত্র পছন্দ হিসেবেই নয়, ভোকাল ফর লোকাল এবং আত্মনির্ভরতার দৃষ্টিভঙ্গি এক জাতীয় দায়িত্বস্বরূপ। শ্রী মোদী উল্লেখ করেন, ‘ভোকাল ফর লোকাল’ এবং ‘আত্মনির্ভরতা’য় দেশজুড়ে যে উদ্যমের জোয়ার এসেছে তাতে অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রপ্তানি রেকর্ড বৃদ্ধি পেয়েছে। পণ্য ও পরিষেবা ক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি এখন সর্বকালীন শীর্ষে যা ভারতের বর্ধিত সম্ভাবনার দিকটিকেই আলোকপাত করে শ্রী মোদী অংশীদার সংস্থাগুলিকে এবং বণিকসভাগুলিকে স্থানীয় কারিগর এবং উদ্যোগপতিদের জেলাস্তরে পরিচিত করানোর দায়িত্ব গ্রহণ করতে বলেন।

প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট করে জানান যে ভারতীয় কুটির শিল্পের পণ্য ক্রয়ের থেকেও ভোকাল ফর লোকাল-এর ব্যাপ্তি অনেক বড়। তিনি বলেন, দেশের অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হতে পারে যদি সেই সমস্ত ক্ষেত্রগুলিকে চিহ্নিত করে দেশ যাতে সেসব ক্ষেত্রে নিশ্চিত বিকাশ লাভ করতে পারে আমাদেরকে দেখতে হবে। দৃষ্টান্তস্বরূপ তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা এবং ভোজ্যতেলের ক্ষেত্রে প্রচুর অর্থ বাইরে চলে যাচ্ছে।

বাজেটে মূলধনী ব্যয় ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়ে ১০ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছনোর বিষয়টি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পিএম গতি শক্তি মাস্টার প্ল্যান’-এর মাধ্যমে গতিময়তার সঞ্চার ঘটানো হয়েছে। বিভিন্ন ভৌগোলিক এলাকা ও আর্থিক ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সাহায্য করার প্রয়োজনের ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আজ আমি দেশের বেসরকারি ক্ষেত্রগুলিকেও সরকারি ক্ষেত্রের মতো বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানাচ্ছি যাতে করে দেশ তা থেকে সর্বাধিক উপকৃত হতে পারে।”

বাজেট পরবর্তী কর সংক্রান্ত বিশ্লেষণাত্মক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের সম্পূর্ণ বিপরীত চিত্র প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে জিএসটির কারণে ভারতে কর-এর বোঝা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ায়। আয়কর এবং কর্পোরেট কর-এর ক্ষেত্রেও হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। এর মধ্য দিয়ে কর সংগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৩-১৪-তে কর-বাবদ মোট আয় যেখানে ছিল ১১ লক্ষ কোটি টাকা, ২০২৩-২৪-এ তা প্রায় ২০০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ লক্ষ কোটি টাকা। ব্যক্তিগত কর রিটার্ন ২০১৩-১৪-তে ৩ কোটি ৫০ লক্ষ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০২১-২২-এ ৬ কোটি ৫০ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। শ্রী মোদী বলেন, “কর দেওয়া দায়িত্বস্বরূপ যা প্রত্যক্ষভাবে দেশ গড়ার সঙ্গে সম্পর্কিত। কর প্রদানের সংখ্যায় বৃদ্ধি প্রমাণ করে সরকারের ওপর মানুষের বিশ্বাস রয়েছে এবং কর-এর টাকা জনকল্যাণে ভালোভাবে খরচ হবে।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতীয় প্রতিভা, পরিকাঠামো এবং উদ্ভাবকরা ভারতের আর্থিক ব্যবস্থাকে শীর্ষে নিয়ে যেতে পারেন। ভারতের তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের শিল্প মঞ্চ বিশ্বের কাছে মডেল হয়ে দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে জেম এবং ডিজিটাল লেনদেনের দৃষ্টান্ত দেন তিনি। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে ডিজিটাল মাধ্যমে ৭৫ হাজার কোটি লেনদেন সম্পাদিত হয়েছে যার মধ্য দিয়ে বোঝা যায় যে ইউপিআই ব্যবস্থা কতখানি প্রসার লাভ করে গেছে। “‘রুপে’ এবং ‘ইউপিআই’ কেবলমাত্র মূল্যসাশ্রয়ী এবং উচ্চ সুরক্ষিত প্রযুক্তিই নয়, বিশ্বের কাছে আজ তা ভারতের পরিচিতি। উদ্ভাবনের প্রভূত সুযোগ রয়েছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকরণ এবং সমগ্র বিশ্বের সশক্তিকরণের ক্ষেত্রে ইউপিআই একটি মাধ্যম হয়ে উঠতে পারে। আমাদেরকে যৌথভাবে এই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। আমি আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে প্রস্তাব করব যে তাদের আরও বিস্তার ঘটানোর জন্য আর্থিক প্রযুক্তি ক্ষেত্রগুলির সঙ্গে তারা বেশি করে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলুন” – বলে প্রধানমন্ত্রী জানান।

শ্রী মোদী পুনরায় জোর দিয়ে বলেন, একটি সামান্য পদক্ষেপও বিরাট পরিবর্তনের পদক্ষেপ হয়ে দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি বিল ছাড়া দ্রব্য ক্রয়ের দৃষ্টান্ত দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে এতে কোনও দোষ নেই, আপাতদৃষ্টিতে এটা মনে হলেও দ্রব্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে বিল সংগ্রহ পারতপক্ষে দেশের মঙ্গলসাধন করে এবং এক্ষেত্রে তিনি সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। তিনি বলেন, মানুষকে এ ব্যাপারে আরও বেশি করে সচেতন করে তুলতে হবে।

ভাষণ শেষে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আর্থিক বিকাশের সুবিধা প্রত্যেকটি শ্রেণীর প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছতে হবে এবং সমস্ত অংশীদারদেরকে এই দিশা নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। সুপ্রশিক্ষিত পেশাদারদের এক বৃহৎ ভাণ্ডার গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন তিনি। পরিশেষে শ্রী মোদী বলেন, “আমি চাই এই জাতীয় ভবিষ্যৎদর্শী ধারণা নিয়ে আপনারা প্রত্যেকে বিস্তারিত আলোচনা করুন।”

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here