২৯.৩৬ লক্ষ টাকার সোনা পাচারকারী এক নারী চোরাকারবারীকে আটক করেছে বিএসএফ, শরীরে লুকিয়ে আনার সময় মহিলা রক্ষীরা তাকে আটক করে
(জেলা-উত্তর ২৪ পরগনা)
১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪-এ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের অন্তর্গত ১৪৫ ব্যাটালিয়নের আইসিপি পেট্রাপোলের মহিলা সৈন্যরা,৪৬৬.৫৬০ গ্রাম স্বর্ণ সহ একজন মহিলা পাচারকারীকে ধরেছিল যা সে তার শরীরের নীচের অংশে একটি ব্যক্তিগত জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল। বাংলাদেশ থেকে ভারতে এই স্বর্ণ আনার চেষ্টা করছিলেন ওই নারী। আটক সোনার আনুমানিক মূল্য ২৯,৩৬,৯৯৫/- টাকা।
আইসিপি পেট্রাপোলের প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ভ্রমণরত যাত্রীদের রুটিন চেকিংয়ের সময়, বিএসএফ মহিলা রক্ষীরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে প্রবেশকারী একজন সন্দেহভাজন মহিলা যাত্রীকে থামায়। মহিলা গার্ড যখন হ্যান্ড হেল্ড মেটাল ডিটেক্টর (এইচএইচএমডি) দিয়ে তাকে তল্লাশি করেন, তখন মেশিনটি মহিলা যাত্রীর শরীরে ধাতব পদার্থের উপস্থিতি নির্দেশ করে। এরপর মহিলা সেন্টিনেল ওই মহিলা যাত্রীকে নিয়ে তল্লাশি সার্কেল নিয়ে যান।পুরোপুরি তল্লাশিকালে মহিলা যাত্রীর লাগেজে ০৪ টি সোনার বিস্কুট পাওয়া যায়। সৈন্যরা মহিলা যাত্রীকে তার সোনাসহ আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সীমান্ত চৌকিতে নিয়ে আসে।
ওই নারীর নাম নাজনীন নাহার, মোহাম্মদ আলতাফ হোসেনের স্ত্রী, গ্রামের বাসিন্দা- উইল-মেরাদিয়া, পোস্ট-ভুঁইয়া পাড়া খিলগাঁও, জেলা- ঢাকা।
জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে তার জীবিকার জন্য ভারত থেকে চকলেট, বিস্কুট ইত্যাদি ছোট ছোট জিনিসপত্র বাংলাদেশে নিয়ে আসতো। তিনি আরও জানান, তিনি বেনাপোল বাজারে (বাংলাদেশ) আবিদুলের কাছ থেকে স্বর্ণ পেয়েছেন, যা কলকাতার নতুন বাজারে আবিদুলের কাছে হস্তান্তর করার কথা ছিল। যদি সোনার চালানটি সফলভাবে আইসিপি পেট্রাপোলের মাধ্যমে ভারতে পাচার করা হয়, তাহলে তিনি বিনিময়ে ৬,০০০/- টাকা পেতেন। আইসিপি পেট্রাপোল হয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার সময় বিএসএফ চেকিংয়ের সময় তাকে সোনার বিস্কুটসহ হাতেনাতে ধরে ফেলে।
আটক নারী পাচারকারীকে জব্দকৃত স্বর্ণসহ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস পেট্রাপোলে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফ দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের জনসংযোগ আধিকারিক, ডিআইজি শ্রী এ কে আর্য বিএসএফ জওয়ানদের এই সাফল্যে আনন্দ প্রকাশ করেছেন।তিনি বলেন যে সোনা চোরাকারবারীরা বারবার সোনা পাচারের চেষ্টা করে কিন্তু বিএসএফ সৈন্যরা ঘটনাস্থলেই তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়। তিনি সীমান্তে বসবাসকারী লোকজনকে সোনা চোরাচালান সংক্রান্ত কোনো তথ্য পেলে বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য আবেদন করেন। এ বিষয়ে ১৪৪১৯ নম্বরে জানাতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের আরও একটি নম্বর রয়েছে। এছাড়াও ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করা হয়েছে যার উপর স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজও পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের পরিমাণ দেওয়া হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।