Read Time:7 Minute, 7 Second
টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরসের প্রতারণার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন ফারুক আহমেদ
সংবাদদাতা, কল্যাণী, নদীয়া:
টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরসের মেন শোরুম আছে কামারহাটিতে ও কল্যাণীর নিমতলাতে– একটি শাখা অফিস ও শোরুম। গত ৯ আগস্ট কল্যাণীর গয়েশপুরের ভূগোলের শিক্ষক হামিম রৌশন চৌধুরী এবং তার বন্ধু ভূগোলের শিক্ষক কল্যাণী ইউনিভার্সিটি এক্সপেরিমেন্টাল হাই স্কুলের কৌশিক ভট্টাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরসের কল্যাণী শাখাতে একটি “টাটা টিগোর এক্স জেড অপশনাল কপার ডাজেল” গাড়ি বুক করেন উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
কৌশিক বাবুর অনুরোধে তিনি “টাটা টিগোর এক্স জেড অপশনাল কপার ডাজেল” পেট্রোলে চলবে গাড়িটি পছন্দ করেন এবং ওই দিন ৫০ হাজার টাকা দিয়ে বুকিং করেন। টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরস কল্যাণী শাখায়।
টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরস্ কল্যাণী শাখার কর্মচারী কল্যাণ ভদ্র ও
অমিত বোস ছিলেন গাড়ি বুকিং এর সময়। তারা ফারুক আহমেদ, হামিম রৌশন চৌধুরী
ও কৌশিক বাবুকে জানিয়ে দেন ১৮ আগস্ট গাড়ি ডেলিভারি দেওয়া হবে। তিনদিন পর
লোনের জন্য কল্যাণ ভদ্র সমস্ত কাগজে সই করিয়ে নেন।
১৬ আগস্ট কল্যাণীর টাটা মোটরসের ডিলার আর ডি মোটরসের শোরুমের কর্মচারী কল্যাণ ভদ্র ফোন করে ফারুক আহমেদকে ডাকেন এবং বলেন আপনার লোন ও গাড়ি রেডি রয়েছে, আপনি আরও ৯০ হাজার টাকা নিয়ে আসুন।
ফারুক আহমেদ ওই দিন আবারও ৬০ হাজার টাকা পেমেন্ট করেন।
১৮ আগস্টও গাড়ি দিতে পারল না টাটা মোটরসের ডিলার আর ডি মোটরসের কল্যাণী শাখা।
কল্যাণ ভদ্র জানান ২৪ আগস্ট গাড়ি ডেলিভারি দেওয়া হবে। ২৪ আগস্ট তারিখ
কল্যাণী শাখাতে ফারুক আহমেদ যান এবং গাড়ি ডেলিভারি না পেয়ে তিনি তার
দেওয়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকার মানি রিসিট বা রশিদ চান। তখন কল্যাণী শাখার
কর্মচারী কল্যাণ ভদ্র ৬০ হাজার টাকার মানি রিসিট দিলেন, সেটা অন্য কারও
নামের মানি রিসিট, ফারুক আহমেদের নামে নয়।
ফারুক আহমেদের নাম লেখা আছে এমন অবৈধ রশিদ দিলেন কল্যাণ ভদ্র এবং ওই রশিদে ফারুক আহমেদকে দিয়ে সইও করিয়ে নিলেন।
এই চরম অন্যায় ও প্রতারণা দেখে ফারুক আহমেদ তার বুকিং বাতিল করতে চেয়ে চিঠি মেল করলেন এবং হার্ড কপি নিয়ে দুবার টাটা মোটরসের ডিলার আর ডি মোটরসের কল্যাণী শাখায় গেলেন।
কিন্তু ফারুক আহমেদের চিঠি তারা রিসিভ করলেন না।
টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরসের কল্যাণী শাখা ও কামারহাটি শাখার
ডিলার বিকাশ মন্ডল What’s App-এ জানালেন আপনার কারেকটেড মানি রিসিট
পাঠিয়ে দিয়েছি, আপনার কল্যাণীর ঠিকানায়। কিন্তু এটা মিথ্যা এখনও ফারুক আহমেদ সঠিক টাকা দেওয়ার মানি রিসিট বা রশিদ হাতে পাননি।
কল্যাণ ভদ্র What’s App-এ যে মানি রিসিট পাঠিয়েছিলেন ছবি তুলে, সেখানেও
গাড়ির মডেল নম্বর ও ঠিকানা ভুল লেখা আছে। বিকাশ মন্ডলকে What’s App-এ তা
ফারুক আহমেদ জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও উত্তর আসেনি।
বারংবার বলার পরও কোনও সুরাহ না হওয়ায় ফারুক আহমেদ প্রশাসনকে এবং রাজ্যে র
পরিবহণ ও পরিবেশ দফতরের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়েছেন।
ফারুক আহমেদ তার বুকিং বাতিল করতে মেল করে দিয়েছেন টাটা মোটরসে এবং টাটা
মোটরসের ডিলার আর ডি মোটরসকে।
ফারুক আহমেদ তার বুকিং বাতিল করেছেন এবং ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত চেয়েছেন।
ফারুক আহমেদ জানালেন, “টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরসের বিকাশ মন্ডল ও
তার কর্মচারীরা এভাবে প্রতারণা করবেন, তা স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি। আশা রাখি, মানুষকে ঠকানো ও চিটিংবাজির খবর দেশবাসী জানবেন এবং টাটা মোটরসের ডিলার আর. ডি. মোটরস থেকে মানুষ সচেতন হবেন এবং দূরে থাকবেন। আমি আমার দেওয়া ১ লাখ ১০ হাজার টাকা ফেরত পেতে চাই।”
সংবাদ পত্রের তরফে যোগাযোগ করা হলে অমিতবাবু ভুল রিসিটের কথা স্বীকার করেন ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন কিন্তু বিষয় টি লঘু করে দেখানোর চেষ্টা করেন | এবিষয়ে ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের কাছে অভিযোগ জানানোর বিষয়ে আইনি পরামর্শ নেয়ার প্রয়োজন | একজনের মানি রিসিট হাতে পরিবর্তন করে অন্য কে দেয়া আইন বিরোধী কাজ এবং টাটা মটরস এর মত আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান এর কাছে কাম্য নয় |
টাটা মটরস এর সুনাম নষ্ট হচ্ছে এই সকল অবৈধ কাজের মাধ্যমে | আশা করি সংস্থা সুবিচার করবেন গ্রাহকের প্রতি এবং দ্রুত টাকা ফেরত করবেন |
Advertisements