বায়োমেট্রিক হাজিরা পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে উপাচার্য ও শিক্ষক কাজিয়া তুঙ্গে: কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়
নিজস্ব সংবাদদাতা, কল্যাণী:
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা নিয়ে আন্দোলন অব্যাহত। কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শিক্ষকরা তাঁদের অভিযোগ উগরে দিচ্ছেন। বেশ কয়েকদিন ধরেই লাগাতার আন্দোলনের পথকে বেছে নিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা। সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয়ের গঠনমূলক আরো অন্যান্য কর্মসূচি থাকা সত্ত্বেও কেবলমাত্র শিক্ষকদের কব্জায় আনার জন্য কর্তৃপক্ষ একচেটিয়াভাবে শিক্ষকদের মতামতকে অমান্য করে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরার ব্যবস্থা করতে চাইছেন। অথচ পশ্চিমবঙ্গের কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের হাজিরার কোন ব্যবস্থা নেই। কিংবা এ বিষয়ে এখন অব্দি কোন ধরনের সরকারি নির্দেশিকাও জারি হয়নি।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে জানা গেছে, এতদিন আন্দোলন চলছিল কোন ধরনের ক্লাস বন্ধ না করে। কর্তৃপক্ষকে আমরা আমাদের দাবি-দাওয়া জানিয়েছিলাম এবং বায়োমেট্রিক বিষয় নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার যথাযথ সময় দিয়েছি। এখনো অব্দি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন ধরনের সদুত্তর আমরা পাইনি। আগামী দিন থেকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথ বেছে নিয়েছেন। কর্তৃপক্ষ শিক্ষক স্বার্থ রক্ষা করতে ব্যর্থ হওয়াই আগামীকাল থেকে শিক্ষকমন্ডলীরা পেন-ডাউন বা সার্বিক বয়কটের পথ বেছে নিয়েছেন।
শিক্ষকদের মধ্যে অধিকাংশের দাবী, শেষ দু-তিন বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নানান ধরনের অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত শিক্ষকদের উপর চাপিয়ে দিয়েছে। শিক্ষকদের মতামতকে অগ্রাহ্য করে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য নিজের খামখেয়ালিপনায় নিজেদের কয়েকজন অত্যন্ত অনুগতদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন। প্রসঙ্গত বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিকাঠামো ও শিক্ষার গুণগত মান শেষ কয়েক বছরে তলানিতে ঠেকেছে। এনআইআরএফ তালিকায় বিশ্ববিদ্যালয় ৪৬ থেকে পৌঁছে গেছে ১০০ কাছাকাছি। গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামগ্রিক পরিকাঠামো নিয়ে বিতর্কের সূচনা এর আগেই হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্ন থেকেই শিক্ষক মহাশয়দের হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর দেওয়ার প্রথা চালু নেই। রাজ্যে কেন্দ্রীয় বা রাজ্যস্তরীয় কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই এই প্রথার প্রচলন নেই।
তাছাড়া শ্রেণিকক্ষে কেবল পঠন-পাঠন ছাড়াও শিক্ষক মহাশয়দের গবেষণা সংক্রান্ত এবং গবেষকদের নিয়ে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরেও নানান ধরনের কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি কর্তৃপক্ষের কাছে দুটি দাবি পেশ করেছিলেন। গত সপ্তাহের সোমবারের মধ্যে শিক্ষকদের বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন খারিজ করার পদ্ধতি চালু করতে হবে এবং শিক্ষকদের হাজিরা বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নথিভুক্ত করা যাবে না। নির্দিষ্ট সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পরও আজ সোমবার অবধি কর্তৃপক্ষ কোন ধরনের সিদ্ধান্ত শিক্ষকমন্ডলী দের জানাইনি। উল্টে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু জন্য চূড়ান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। উপাচার্যের শিক্ষকমন্ডলীর সঙ্গে অসহযোগিতা এবং এই একগুঁয়েমি ভাবের জন্য সমস্ত শিক্ষক ইউনিট এক ছাতার তলে চলে এসেছে। যেখানে উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী কয়েক বছর আগে জানিয়েছিলেন শিক্ষকদের হাজিরার ব্যাপারটি তাদের বিবেকের উপর ছেড়ে দেওয়া হলো, সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অনমনীয় ভাব, শিক্ষকদের বিভিন্ন স্বার্থ ক্ষুন্ন করে বিভিন্ন গঠনমূলক ইস্যুতে শিক্ষকদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করে ডিসিশন নেওয়া এবং শিক্ষকদের প্রতি চরম ধরনের দূরাচার তাদেরকে এই আন্দোলনের পথের দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠন তাদের বক্তব্যে জানিয়েছেন, ‘বায়োমেট্রিক অ্যাটেনডেন্স’ এর মতো কর্পোরেট সংস্কৃতির প্রণয়ন না করে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষণ ও গবেষণা মানোন্নয়নে কর্তৃপক্ষের বর্তমান চটকদারি ক্রিয়া-কলাপ বন্ধ রেখে প্রকৃত জ্ঞানার্জ্জনের জন্য পরিবেশকে উন্মুক্ত করা উচিত। এর জন্য প্রয়োজন – বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশাসনে উপাচার্য কেন্দ্রিক কর্মপদ্ধতির বিকেন্দ্রীকরণ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন স্টাটুটরী কমিটিগুলোকে যথা এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল, কোর্ট, ফ্যাকাল্টি কাউন্সিল, আন্ডারগ্র্যাজুয়েট
বোর্ড অফ স্টাডিস, ফিনান্স কমিটি ইত্যাদি নির্বাচিত শিক্ষক প্রতিনিধিদের দিয়ে পূরণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ে গণতান্ত্রিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনা।
সেইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি:(?)-র প্রকল্পগুলোতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অন্ধকারে না রেখে, সেগুলির বাস্তব পরিকল্পনা ও
ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে তাদের মতামত ও বিশেষজ্ঞতাকে মূল্য দেওয়া উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।
গবেষণার ক্ষেত্রে পিএইচডি নির্ধারিত রেগুলেশনকে, ডিপার্টমেন্টাল রিসার্চ কমিটির সিদ্ধান্তকে মান্যতা দেওয়া, পিএইচডি কোর্সওয়ার্কের ক্ষেত্রে সময়ানুবর্তিতা ফিরিয়ে আনা ও গবেষকদের ওপর অকারণে চাপ লঘু করা।
তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বমোট ৩০৫ টি শিক্ষক পদের ১১৭ সংখ্যক শূন্যপদ অবিলম্বে পূর্ণ করা উচিত বলেও তারা তাদের লিফলেটে দাবী করেছেন। নির্দিষ্ট সময়ের ভিত্তিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রমোশনের পদ্ধতি ত্বরান্বিত করার কথাও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচি জারি ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের নিচে বিক্ষোভ কর্মসূচির সূচনা হয়। দুপুর নাগাদ সমস্ত শিক্ষক উপাচার্যের মূল দরজায় উপস্থিত হন। দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত চলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি। আগামীকাল শিক্ষকরা ‘পেন ডাউন’ অবস্থান-বিক্ষোভ নেবেন। হাতে গোনা মাত্র কয়েকজন ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষকই আজকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দেননি।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি নিয়মে চাকরিতে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে বাংলা সহ বহু বিভাগে অনেক পদেই অধ্যাপক বা শিক্ষাকর্মী নিয়োগ করেছেন সেখানে মুসলমানদের নেওয়া হয়নি। মুসলিম গবেষকদের কে গবেষণা করতে বাঁধা দিয়ে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ ও পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস আইনকে অমান্য করে।
সুকৌশলে যোগ্য মুসলিম আবেদন কারীদের তিনি বাদ দিয়েছেন। উদাহরণ দিয়ে দেখিয়ে দেওয়া যাক সম্প্রতি বাংলা বিভাগে ৫ জন সহ অধ্যাপক পদে নিয়োগ করেছেন সেখানে মুসলমানদের নেওয়া হয়নি অবশ্য কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এবং প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন মুসলিম প্রথম শ্রেণির প্রথম বিভাগে পাশ করা যোগ্য প্রার্থী ছিলেন তারা ইন্টারভিউ দিলেন সদিচ্ছার প্রয়োজন না দেখিয়ে উপচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ নিজের কাছের মানুষ বাংলা বিভাগের প্রধান পদে থাকা সুখেন বিশ্বাসের বউ এবং তাদের আত্মীয় স্বজনদের চাকরি দিলেন।
অথচ মুসলমান যোগ্য প্রার্থী থাকা অবস্থায় সংরক্ষণ কার্যকর না করেই উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ তাদের বাদ দিয়ে চাকরিতে ঢুকিয়ে দিয়েছেন অন্যদের।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে নিয়োগ ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত উদ্যোগে যত নিয়োগ করেছেন তা সরকারের উচিত হবে তদন্ত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা।
সম্প্রতি উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় না রেখেই নিজের আত্মীয় তপোব্রত ঘোষকে ট্যাকনিক্যাল এডভাইজার পদে নিয়োগ করেছেন যা সম্পূর্ণ বেয়াইন। এবং আসাম থেকে নিয়ে এসে কিছুজনকে নিয়োগ করেছেন।
আরও অনেক অভিযোগে অভিযুক্ত পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস আইনকে অমান্য করে টাকা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করে দেওয়ার নামে এবং নম্বর বাড়িয়ে মার্কশিট দিয়ে পরীক্ষা নামক স্বচ্ছ জায়গাকে প্রহসনে পরিনত করেছেন। তিনি সর্বত্র দূর্নীতিবাজ কন্ট্রোলার নামেই বেশি পরিচিত হয়েছেন বিভিন্ন মহলে। উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষের অতি ঘনিষ্ঠ হওয়ার জন্য এতো অভিযোগ থাকা অবস্থায় বিমলেন্দু বিশ্বাস একটার পর একটা দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন।
অথচ উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন না তার বিরুদ্ধে। চাকরি দেওয়ার নামে, বিএড কলেজের অনুমোদন পাইয়ে দেওয়ার নামে এবং ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি করিয়ে দেওয়ার নামে বহু কাট মানি নেওয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস।
ইতিপূর্বে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন সমতির সদস্যরা এবং সৎ ও দক্ষ উপাচার্য রতন লাল হাংলু তদন্ত কমিটি গঠন করে বিমলেন্দু বিশ্বাসকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বার করে দিয়েছিলেন।
পরর্বতীতে কয়েক বছর পর অস্থায়ী উপাচার্য মলয়েন্দু সাহার হাত ধরে পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক হিসেবে বিমলেন্দু বিশ্বাস কাজে যোগ দেন এবং আবারও দূর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন পুরোদস্তুর।
এছাড়া উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করে চাকরিরত পুরাতন কর্মীদের অন্যায় ভাবে বেতন ও রিনুয়াল আটকে রেখেছেন।
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ
ওবিসি-এ সংরক্ষণ কার্যকর না করেই সমস্ত আধিকারিক পদে তার পছন্দের অমুসলিম নিয়োগ দিয়েছেন।
রেজিস্ট্রার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার, দুটো সহ রেজিস্ট্রার, এ্যাকাউন্ট অফিসার, কন্ট্রোলার, ডেপুটি কন্ট্রোলার, সহ কন্ট্রোলার, পিজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি, ইউজি কাউন্সিলের সেক্রেটারি, দূরবর্তী শিক্ষা কেন্দ্রের ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিক পদে কোনও মুসলিম আধিকারিক নেই। এবং ৩৩ টি বিভাগের মধ্যে এমন অনেক বিভাগ আছে বাংলা সহ যেখানে একজনও মুসলিম অধ্যাপক নেই। দু’চারটে বিভাগে খুজলে হাতে গোনা ৬ কি ৭ জন মুসলিম অধ্যাপক পাওয়া যাবে হয়তো। ৩৩ টি বিভাগে ২ জন করে সহ অধ্যাপক পদে মুসলিম ওবিসি-এ নিয়োগ হলে এতো দিনে ৬৬ জন মুসলিম অধ্যাপক চাকরি করার সুযোগ পেতেন। তা দূর্নীতি করে হতে দিলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ সহ কতৃপক্ষের একটা বড়ো অংশ।
অভিলম্বে সরকারের উচিত তদন্ত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা।
উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করেছেন তার জন্য একটা সঠিকভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করে নিয়োগের দূর্নীতি বন্ধ করা।
অস্থায়ী পদে কর্মীদের সাধারণ নিয়মে স্থায়ী করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা এবং যোগ্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করে নিয়োগ দিয়ে দূর্নীতি বন্ধ করা।
ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি দুজন মুসলিম প্রথম শ্রেণির প্রথম বিভাগে পাশ একজন ড. আনিসুর রহমান, ওবিসি-এ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন আর একজন নাফিসা পারভিন, ওবিসি-বি আসানসোল মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান পদে কর্মরত। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই এদেরকে বাংলা বিভাগে চাকরি করার সুযোগ করে দিলেন না বরং বঞ্চিত করে নিয়োগে দূর্নীতি করলেন।
এছাড়া তিনি সাম্প্রদায়িক মনোভাব পোষণ করে চাকরিরত পুরাতন কর্মীদের অন্যায় ভাবে বেতন ও রিনুয়াল আটকে রেখেছেন। অভিলম্বে সরকারের উচিত তদন্ত করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা।
উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করেছেন তার জন্য একটা সঠিকভাবে বিচার ও বিশ্লেষণ করে নিয়োগের দূর্নীতি বন্ধ করা।
অস্থায়ী পদে কর্মীদের সাধারণ নিয়মে স্থায়ী করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর করা এবং যোগ্য প্রার্থী তালিকা তৈরি করে নিয়োগ দিয়ে দূর্নীতি বন্ধ করা।
ওবিসি-এ এবং ওবিসি-বি দুজন মুসলিম প্রথম শ্রেণির প্রথম বিভাগে পাশ একজন ড. আনিসুর রহমান, ওবিসি-এ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করছেন আর একজন নাফিসা পারভিন, ওবিসি-বি আসানসোল মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের প্রধান পদে কর্মরত। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শঙ্কর কুমার ঘোষ আইনকে অমান্য করে নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণ কার্যকর না করেই এদেরকে বাংলা বিভাগে চাকরি করার সুযোগ করে দিলেন না বরং বঞ্চিত করে নিয়োগে দূর্নীতি করলেন।