কলকাতায় ডেঙ্গু নামক যমের হাত থেকে জীবন ফিরে পেলেন রোগী – ডাক্তার ও চারিং ক্রস নার্সিং হোমকে কৃতজ্ঞতা জানালো পরিবার

0
1487
Left to Right Son of Mr. Kandelwal, Charring Cross Nursing Home Owner Mr. Rahul,Doctor Anirban Roy Chowdhury, and RMO Madam of Charring Cross during Press Meet
Left to Right Son of Mr. Kandelwal, Charring Cross Nursing Home Owner Mr. Rahul,Doctor Anirban Roy Chowdhury, and RMO Madam of Charring Cross during Press Meet
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:6 Minute, 39 Second

কলকাতায় ডেঙ্গু নামক যমের হাত থেকে জীবন ফিরে পেলেন রোগী – ডাক্তার ও চারিং ক্রস নার্সিং হোমকে কৃতজ্ঞতা জানালো পরিবার

১২ ইউনিট প্লেটলেট প্যাক পেয়ে প্রাণে বাঁচলেন ডেঙ্গু পীড়িত সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল

হাসপাতাল ও বিগ ব্র্যান্ড প্রাইভেট হেলথ কেয়ার যখন মুখ ফিরিয়ে নিলো কলকাতার চারিং ক্রস নার্সিং হোমকে শেষ আশায় যোগাযোগ করলো পরিবার । আর যমে মানুষে লড়াই করলেন ডাক্তার ও সেবা কর্মীরা রোগীকে বাঁচানোর জন্য । এ এক অন্য লড়াই দেখলো কলকাতার মানুষ ।

হীরক মুখোপাধ্যায় (১৯ অক্টোবর ‘১৯):- ‘চ্যারিং ক্রস নার্সিংহোম প্রাইভেট লিমিটেড’-এর বদান্যতায় মরতে মরতে বেঁচে গেলেন ডেঙ্গু পীড়িত সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল (৪৯)।

রাজ্যের স্বাস্থ্য বিভাগ যখন কোলকাতা তথা রাজ্যে ডেঙ্গু রোগ আছে বা হচ্ছে বলে স্বীকার না করে এই রোগকে অজানা জ্বরের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে, ঠিক তখন ডেঙ্গুর উপসর্গ বেড়ে যাওয়ায় সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়ালকে কোলকাতার ‘মারোয়াড়ি রিলিফ হসপিটাল’ ছেড়ে দেয় বলে এক সাংঘাতিক অভিযোগ কোলকাতার স্বাস্থ্য পরিসরের উপর বিষবাষ্প ছাড়তে শুরু করেছে।

খাণ্ডেলওয়াল পরিবারের বক্তব্য অনুযায়ী, “সন্দীপকুমার-কে যখন মারোয়াড়ি রিলিফ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন ওঁনার অবস্থা গুরুতর। কী করব কিছুই বুঝে পাচ্ছিলাম না, এই অবস্থায় আমরা সন্দীপকে নিয়ে আসি এই হাসপাতালে।”

সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়ালের পরিবারের বক্তব্যকে সমর্থন করে ‘চ্যারিং ক্রস নার্সিংহোম প্রাইভেট লিমিটেড’-এর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, “গত ১৬ অক্টোবর ডাঃ অনির্বান চৌধুরী-র তত্ত্বাবধানে খাণ্ডেলওয়াল-কে যখন ভর্তি করা হয় তখন তাঁর প্লেটলেট কাউন্ট নেমে এসেছে ১৫ হাজারে, টি সি ৩,১০০, বিল ২.৭, সি আর ১.২, ইউ আর ৪৭, এস জি ও টি ৬১, এস জি পি টি ৪২ এবং এলকালাইন ফসফেট ১১৫। অর্থাৎ আমরা বেশ সঙ্গীন অবস্থাতেই সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল-কে চিকিৎসার জন্য পেয়েছিলাম।

Dengue Fever - Symptoms
Dengue Fever – Symptoms

আমাদের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ১২ ইউনিট প্লেটলেট প্যাক পাওয়ার পর এই মুহুর্তে সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল-এর প্লেটলেট পৌঁছে গেছে ২ লাখ ১০ হাজারে, একইভাবে টি সি বেড়ে হয়েছে ৬,৫০০।
সব কিছু ঠিক থাকলে খুব তাড়াতাড়িই আমরা সন্দীপকুমার খাণ্ডেলওয়াল-কে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবো।”

প্রসঙ্গতঃ বলে রাখা ভালো, সন্দীপকুমার অত্যধিক জ্বর, নাক দিয়ে রক্তপাত ও ডেঙ্গু সংক্রান্ত অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নিয়েই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

আজ সাংবাদিকদের সামনে চিকিৎসাকালীন তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানাতে গিয়ে খাণ্ডেলওয়াল পরিবার জানান, “ওই রকম বিপজ্জনক অবস্থায় ই এম বাইপাস লাগোয়া এক নামকরা স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের রোগীকে ভর্তি নেয়নি।”

Mosquito
Mosquito

খাণ্ডেলওয়াল পরিবারের এই দাবী মানতে গেলে বলতেই হবে, মুখ্যমন্ত্রীর কোনো আদেশেই ভ্রুক্ষেপ করছে না ই এম বাইপাস সংলগ্ন ওই স্বাস্থ্য সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন, “কোনো অবস্থাতেই চিকিৎসা না দিয়ে ফেরানো যাবেনা মুমূর্ষু রোগীকে।”

এই মুহুর্তে কোলকাতার সেরা চিকিৎসকদের বক্তব্য অনুযায়ী, “রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ৩০ হাজারের নীচে নেমে এলে তাঁকে অবিলম্বে কোনো হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর প্লেটলেট ১০ হাজারের নীচে নেমে গেলে তখন কালবিলম্ব না করে অবিলম্বে প্লেটলেট দিতে হবে।”

তবে এই মুহুর্তে কোলকাতা তথা রাজ্যের বেশিরভাগ চিকিৎসকেরাই হুট করে আর রোগীদের প্লেটলেট দিতে চাইছেন না।

কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, “প্লেটলেট প্যাক হাতে পাওয়ার আধঘণ্টার ভেতরেই শরীরে প্রবেশ করানো প্রয়োজন নইলে প্লেটলেট শরীরে দেওয়ার কোনো মানেই হয়না, এবং দ্বিতীয়তঃ, প্লেটলেট হাতে পাওয়ার পর রোগীর কাছে আনতে গিয়ে যত ঝাঁকুনি খাবে প্লেটলেট সেলগুলো ততই নষ্ট হবে। বেশকিছু ক্ষেত্রে দেখা গেছে প্লেটলেট রিসিভিং কাউন্টার থেকে প্লেটলেট নিয়ে রোগীর কাছে আসতে গিয়ে একদিকে যেমন আধঘণ্টা পেরিয়ে যাচ্ছে তেমনই গাড়ীর ঝাঁকুনিতে প্লেটলেট সেলও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ছে।”

স্বাভাবিকভাবেই এখন রোগীকে দুমদাম প্লেটলেট প্রেসক্রাইব করা বন্ধ করেছেন চিকিৎসকেরা। তাঁর পরিবর্তে রোগীকে অন্যভাবে তাড়াতাড়ি সুস্থ করার চেষ্টা করছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের বক্তব্য, “রোগী যদি নিজের মুখে খাওয়া শুরু করে সেক্ষেত্রে শারীরবৃত্তীয় কারণেই প্লেটলেট ধীরে ধীরে বাড়বে।”

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here