
বস্ত্র শিল্পের ১০ লক্ষ কারিগরদের জন্য বিশেষ দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি : স্মৃতি জুবিন ইরানি
By PIB Kolkata
কলকাতা, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনার অধীনে ১০ লক্ষ কারিগরকে প্রশিক্ষিত করার উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রক একটি দক্ষতা বিকাশ কর্মসূচি – ‘সমর্থ’ সূচনা করেছে। কেন্দ্রীয় বস্ত্র এবং নারী ও শিশু বিকাশ মন্ত্রী শ্রীমতী স্মৃতি জুবিন ইরানি বলেছেন, বস্ত্র শিল্পে উন্নত পরিকাঠামো গড়ে তুলতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৮টি রাজ্য ও শিল্প সংস্থার সঙ্গে এই মর্মে একটি সমঝোতাপত্র স্বাক্ষরিত হয়েছে। কলকাতায় আজ পশ্চিমবঙ্গ হোসিয়ারি সংগঠন (ডব্লিউবিএইচএ) আয়োজিত বস্ত্র বয়ন শিল্পের ১২৫তম বর্ষ পূর্তি উপলক্ষে এক দিনের সম্মেলনে শ্রীমতী ইরানি ভাষণ দিচ্ছিলেন।
ডব্লিউবিএইচএ – এর আধিকারিক ও কর্মীদের এই শিল্পে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য কেন্দ্রীয় বস্ত্র মন্ত্রী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বস্ত্র বয়ন শিল্প মূলত অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের আওতায় ছিল। এই শিল্পটি বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল ঠিক-ই, কিন্তু এখান থেকে বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বস্ত্র শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই বয়ন কারখানাগুলি। এখানকার উৎপাদিত সামগ্রী বস্ত্র শিল্পের রপ্তানিতে যথেষ্ট অবদান রাখে। মন্ত্রক বয়ন শিল্পের জন্য পাওয়ার টেক্স ইন্ডিয়া প্রকল্প চালু করেছে, যেখান থেকে শিল্পোদ্যোগীরা সহজেই ঋণ পেতে পারেন। শ্রীমতী ইরানি জানান, আগামী দু’সপ্তাহে রাজ্যের সমস্ত কারখানাগুলির সদস্যদের নতুন প্রযুক্তির বিষয়ে অবগত করা হবে। একটি বস্ত্র বয়ন পার্ক রাজ্যে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ইতমধ্যেই ৫৫ লক্ষ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে।
উপভোক্তাদের সঠিক মানের সামগ্রী নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি প্রতীক তৈরি করার দাবি খতিয়ে দেখার আশ্বাস শ্রীমতী ইরানি দিয়েছেন। তিনি জানান, এই শিল্পের সমস্যাগুলি সমাধানের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে খুব শীঘ্রই একটি বিশেষ বৈঠক করা হবে। মন্ত্রক ইতমধ্যেই পাওয়ার টেক্স ইন্ডিয়া এবং বস্ত্র বয়ন প্রকল্পের আওতায় ৪৮৭ কোটি ৭ লক্ষ টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছে। পাওয়ার টেক্স প্রকল্পের আওতায় ৩১শে মার্চের মধ্যে ৪৩৯ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হবে। বস্ত্র বয়ন শিল্পের জন্য ৪৭ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের মধ্যে অনুমোদিত হয়েছে। মন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে একটি পুস্তিকা উদ্বোধন করেন এবং সংশ্লিষ্ট শিল্পের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য পুরস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে দ্য ক্লোদিং ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’র সভাপতি শ্রী রাকেশ বিয়ানি, অ্যাপারেল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান ডঃ এ শক্তিভেল, ফেডারেশন অফ হোসিয়ারি ম্যানুফ্যাকাচারার্সের সভাপতি শ্রী কুঞ্জবিহারী আগরওয়াল এবং ডব্লিউবিএইচএ – এর সভাপতি শ্রী সন্দীপ সেখসারিয়া উপস্থিত ছিলেন।