কুমুদ সাহিত্য মেলায় ‘নজরুল রত্ন’ পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ফারুক আহমেদ

0
2376
Faruque Ahamed
Faruque Ahamed
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:38 Minute, 24 Second

কুমুদ সাহিত্য মেলায় ‘নজরুল রত্ন’ পুরস্কার পাচ্ছেন কবি ফারুক আহমেদ

বিশেষ প্রতিবেদন

কুমুদ সাহিত্য মেলায় ৩ মার্চ ২০২০ কোগ্রাম, মঙ্গলকোটে ‘নজরুল রত্ন’ পুরস্কার ও সংবর্ধনা প্রদান করা হবে কবি ফারুক আহমেদকে।

কাজী নজরুল ইসলাম-এর জন্ম ২৫ মে ১৮৯৯ সালে তাঁর মৃত্যু হয় ২৯ আগস্ট ১৯৭৬ সালে। কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তিনি ছিলেন বিংশ শতাব্দীর অন্যতম অগ্রণী বাঙালি কবি, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সঙ্গীতজ্ঞ ও দার্শনিক যিনি বাংলা কাব্যে অগ্রগামী ভূমিকা রাখার পাশাপাশি প্রগতিশীল প্রণোদনার জন্য সর্বাধিক পরিচিত। তিনি বাংলা সাহিত্য, সমাজ ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব হিসেবে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি মনীষার এক তুঙ্গীয় নিদর্শন নজরুল।

পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ দুই বাংলাতেই তাঁর কবিতা ও গান সমানভাবে সমাদৃত। তার কবিতায় বিদ্রোহী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে তাকে বিদ্রোহী কবি নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। তাঁর কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর মানুষের অত্যাচার এবং সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।

কবি কাজী নজরুল ইসলাম
পুরস্কার পেয়েছেন স্বাধীনতা পুরস্কার (১৯৭৭), একুশে পদক (১৯৭৬), পদ্মভূষণ।

বিংশ শতাব্দীর বাংলা মননে কাজী নজরুল ইসলামের মর্যাদা ও গুরুত্ব অপরিসীম। একাধারে কবি, সাহিত্যিক, সংগীতজ্ঞ, সাংবাদিক, সম্পাদক, রাজনীতিবিদ এবং সৈনিক হিসেবে অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে নজরুল সর্বদাই ছিলেন সোচ্চার। তাঁর কবিতা ও গানে এই মনোভাবই প্রতিফলিত হয়েছে। অগ্নিবীণা হাতে তাঁর প্রবেশ, ধূমকেতুর মতো তাঁর প্রকাশ। যেমন লেখাতে বিদ্রোহী, তেমনই জীবনে – কাজেই “বিদ্রোহী কবি”, তার জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী বিশেষ মর্যাদার সঙ্গে উভয় বাংলাতে প্রতি বৎসর উদযাপিত হয়ে থাকে।

নজরুল এক দরিদ্র মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা ছিল ধর্মীয়। স্থানীয় এক মসজিদে সম্মানিত মুয়াযযিন হিসেবেও কাজ করেছিলেন। কৈশোরে বিভিন্ন থিয়েটার দলের সাথে কাজ করতে যেয়ে তিনি কবিতা, নাটক এবং সাহিত্য সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান লাভ করেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কিছুদিন কাজ করার পর তিনি সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন। এসময় তিনি কলকাতাতেই থাকতেন। এসময় তিনি ব্রিটিশ রাজের বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ সংগ্রামে অবতীর্ণ হন। প্রকাশ করেন বিদ্রোহী এবং ভাঙার গানের মতো কবিতা; ধূমকেতুর মতো সাময়িকী। জেলে বন্দী হলে পর লিখেন রাজবন্দীর জবানবন্দী, এই সব সাহিত্যকর্মে সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতা ছিল সুস্পষ্ট। ধার্মিক মুসলিম সমাজ এবং অবহেলিত ভারতীয় জনগণের সাথে তার বিশেষ সম্পর্ক ছিল। তার সাহিত্যকর্মে প্রাধান্য পেয়েছে ভালবাসা, মুক্তি এবং বিদ্রোহ। ধর্মীয় লিঙ্গভেদের বিরুদ্ধেও তিনি লিখেছেন। ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক লিখলেও তিনি মূলত কবি হিসেবেই বেশি পরিচিত। বাংলা কাব্যে তিনি এক নতুন ধারার জন্ম দেন। এটি হল ইসলামী সঙ্গীত তথা গজল, এর পাশাপাশি তিনি অনেক উৎকৃষ্ট শ্যামা সংগীত ও হিন্দু ভক্তিগীতিও রচনা করেন। নজরুল প্রায় ৩০০০ গান রচনা এবং অধিকাংশে সুরারোপ করেছেন যেগুলো এখন নজরুল সঙ্গীত বা “নজরুল গীতি” নামে পরিচিত এবং বিশেষ জনপ্রিয়।

মধ্যবয়সে তিনি পিক্‌স ডিজিজে আক্রান্ত হন। এর ফলে আমৃত্যু তাকে সাহিত্যকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে হয়। একই সাথে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। বাংলাদেশ সরকারের আমন্ত্রণে ১৯৭২ সালে তিনি সপরিবারে ঢাকা আসেন। এসময় তাকে বাংলাদেশের জাতীয়তা প্রদান করা হয়। এখানেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিদ্রোহী কাজী নজরুলের বিখ্যাত কবিতাসমূহের একটি। কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯২২ সালের ৬ জানুয়ারি ‘বিজলী’ পত্রিকায়। এরপর কবিতাটি মাসিক প্রবাসী (মাঘ ১৩২৮), মাসিক সাধনা (বৈশাখ ১৩২৯) ও ধূমকেতুতে (২২ আগস্ট ১৯২২) ছাপা হয়। প্রকাশিত হওয়া মাত্রই এটি ব্যাপক জাগরণ সৃষ্টি করে। দৃপ্ত বিদ্রোহী মানসিকতা এবং অসাধারণ শব্দবিন্যাস ও ছন্দের জন্য আজও বাঙালি মানসে কবিতাটি “চির উন্নত শির” বিরাজমান। বিদ্রোহী কবিতা প্রাক শত বর্ষের মুখে কাজী নজরুল ইসলাম-এর নামে “নজরুল রত্ন” সংবর্ধনা প্রদান করা হবে কবি ফারুক আহমেদকে। কাজী নজরুল ইসলাম আর এক নাম দুখু মিয়া।

পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক আর কবি কাজী নজরুল ইসলামের মধুর সম্পর্ক বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় সংবর্ধনা প্রাপকদের মধ্যে অন্যতম হলেন উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ।

কুমুদ সাহিত্য রত্ন (স্নেহাশিস চক্রবর্তী), শান্তিনিকেতন রত্ন (মনিরুল হক), বাদল সরকার রত্ন (নিগমানন্দ মন্ডল), নজরুল রত্ন (ফারুক আহমেদ), সাহিত্য রত্ন (বৈশাখী মিত্র চ্যাটার্জি), মঙ্গলকোট রত্ন (তুহিনা সুলতানা), বাচিক রত্ন (স্মৃতিকণা ভাদুড়ী), লোচনদাস রত্ন (রফিকুল ইসলাম খাঁন), হুগলি রত্ন ( তন্ময় ঘোষ), নুরুল হুদা রত্ন (আব্দুর রব), পূর্বস্থলী রত্ন (দীপঙ্কর চক্রবর্তী), গলসি রত্ন (সেখ নিজাম আলম), সমীরণ রত্ন ( চন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়), যামিনী রায় রত্ন ( দীপঙ্কর সমাদ্দার), অতুল্য ঘোষ রত্ন (অরবিন্দ সিংহ)।
এদিন তিনজন সাংবাদিককে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে উদার আকাশ পত্রিকা ও প্রকাশনের পক্ষ থেকে।

সুদিন মন্ডল (সংবাদ সারাদিন) ভাতার, পূর্ব বর্ধমান।

সুভাষ মজুমদার (তারকেশ্বর নিউজ) তারকেশ্বর, হুগলি।

সুরজ প্রসাদ (নুতন ভোর) সদর বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান।

কুমুদ সাহিত্য মেলায় আসছেন একঝাঁক কবি সাহিত্যিক ও শিল্পী।
আগামী ৩ রা মার্চ মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলা হচ্ছে। গত দশবছর ধরে চলছে এই সাহিত্য মেলা। এবারে আসছেন সাহিত্য একাডেমি থেকে আনন্দ পুরস্কার প্রাপ্ত সাহিত্যিকদের একাংশ।        

ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায় বিশিষ্ট লেখক। বড়দের জন্য তো আমরা অনেকেই লিখি কিন্তু ছোটদের জন্য লিখতে পারি ক’জন ? সাহিত্যের ইশ্বর রবীন্দ্রনাথ স্বয়ং ছেলেভুলানো ছড়া প্রবন্ধে বলছেন। সৃষ্টিতে শিশু চিরপুরাতন অথচ চিরনুতন। ঠিক। শিশুর না আছে কোনো লিঙ্গ না আছে কোনো ধর্ম। তার একটাই পরিচয়, সে শিশু। তাদের জন্য লিখতে পারাটা বড়ই কঠিন কাজ। আর আমাদের বাংলা সাহিত্যে যে কয়েকজন শিশু কিশোর সাহিত্যিক আছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম উজ্জ্বল নামটি হল সাহিত্য একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী শিশু-কিশোর সাহিত্যিক ষষ্ঠীপদ চট্টোপাধ্যায়। 

মন্দাক্রান্তা সেন কবি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। তিনিই সর্বকনিষ্ঠ কবি যিনি ১৯৯৯ সালে মাত্র সাতাশ বছর বয়সে ‘আনন্দ পুরস্কার’ পান ‘হৃদয়ে অবাধ্য মেয়ে’ কাব্য গ্রন্থের জন্য। তার বলিষ্ঠ রচনা দেশের ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যুবসমাজকে আলোড়িত করে। সৃষ্টি ভেঙ্গে কদাকার রুপের পরিবর্তে সুন্দরের জয়গান গেয়ে চলেছেন কবি অবিরত। ভেঙ্গেছেন অনেক বাঁধ– আজও তার গতি সুললিতভাবে এগিয়ে চলেছে আগামী সুন্দরকে আহ্বান করে। 

নলিনী বেরা কথা সাহিত্যিক বাংলার মেদিনীপুর জেলা ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনে একটি ও মধ্যযুগ পরবর্তীতে শিক্ষার অঙ্গনে একটি অনেক বড় নাম। ‘গ্রাম দিয়ে নগরায়নকে আটকিয়ে’ দেওয়ার যে শ্লোগান ষাটের দশক পরবর্তী সময়ে উঠেছিল সেই প্রেক্ষপটে এক ঝাক লেখক উঠে এসেছিলেন এই বাংলায়। গ্রামের প্রকৃতিকে গায়ে মেখে গ্রাম্য সুবাস নিয়েই হাজির হয়েছিলেন প্রচুর লেখক কবি সেই সময়কালে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে যেমন হুমায়ূন আহমেদ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের ভাষায় কথা বলেছেন আর মানুষ অকাতরে তার সাহিত্যকে একেবারে নিজের করে নিয়ে আজও এগিয়ে চলেছে, সেই ঘরানার এক লেখক, ঔপন্যাসিক হলেন নলিনী বেরা। আনন্দ পুরস্কার পেয়েছেন গতবছর ‘সুবর্ণরেণু সুবর্ণরেখা’ উপন্যাসের জন্য। বাংলা কথা সাহিত্যের অনেক সম্পদকে আরও সমৃদ্ধ করেছে এই উপন্যাস। 

জয়দীপ চট্টোপাধ্যায় উজ্জ্বল উপস্থিত থাকবেন।

“তোমাকে দিলাম কবিতার বন্ধুতা

রুদ্র পলাশ ভুবনডাঙ্গার মাঠ

তোমাকে দিলাম নীল এক শামিয়ানা

বান্ধবময় স্নিগ্ধ বাগানঘাট

তোমাকে দিলাম সাত রঙ স্বরলিপি

প্রসাধনহীন বেদুইন ভালোবাসা

তোমাকে দিলাম স্বপ্নেতে লেখা চিঠি

বর্ষার রাত, জ্যোৎস্নার পরিভাষা ।“  

বাংলা আধুনিক সাহিত্যকে কাব্যধারায় সুললিত শব্দের প্রয়োগে গত কয়েকশো বছর ধরে যে সকল বাঙ্গালী সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করে চলেছেন– আজকের প্রজন্মে এসে অবশ্যই তার অনেকখানি দায় নিতে শুরু করেছেন এই প্রজন্মের লেখক কবিরা। অবশ্যই তার মধ্যে উজ্জ্বল একটি নক্ষত্রের নাম জয়দীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি যে শুধুমাত্র নতুন প্রজন্মের নতুন লেখক তা কিন্তু নয়, সাহিত্য সম্রাট বংকিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বংশের পঞ্চম প্রজন্ম তিনি।

ড. বিজলী সরকার রবীন্দ্র ও বঙ্কিম গবেষক অধ্যাপিকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ। বঙ্কিম গবেষণাগারে বর্তমানে কর্মরত আছেন। সাহিত্যবিকাশে ও ‘রবীন্দ্রনাথের রাজনীতি’ এবং ‘রবীন্দ্রনাথের বঙ্কিমচন্দ্র’ ও আরও অনেক অনেক কাজ তিনি করেই চলেছেন আগামী প্রজন্মকে এক সদর্থক বার্তা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই। 

ড. ললিতা পত্রী উপস্থিত থাকবেন। অধ্যাপিকা ললিতা পত্রী যদিও রসায়ন বিজ্ঞানের ছাত্রী এতদসত্ত্বেও তিনি বাংলা সাহিত্যের প্রতি তার অকৃত্রিম টানে তিনি দু-দশখানা পুস্তক রচনা করেছেন। আর কলকাতার বিখ্যাত সাহিত্য পরিবার ‘পত্রী পরিবারের’ ভ্রাতৃবঁধু তিনি, সদ্যপ্রয়াত শিল্পী কবি  পূর্ণেন্দুশেখর পত্রীর স্ত্রী এই পরিচয়কে শুধুমাত্র সীমাবদ্ধতার মধ্যে না রেখে তিনি নিজেকে বিকশিত করেছেন বাংলার সাহিত্য অঙ্গনে।  

কবি আরণ্যক বসু উপস্থিত থাকবেন। তাঁর লেখা মানুষের মনে দাগ কাটে।

পরের জন্মে বয়স যখন ষোলই সঠিক

আমরা তখন প্রেমে পড়বো

মনে থাকবে ? …

হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে …

এই জন্মের দুরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব …

এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন …

প্রেমের অকুণ্ঠ আহ্বান নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলকেই আলোড়িত করেই। প্রেমের সদর্থক বার্তা বুঝিবা প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে কবি সাহিত্যিকের হাত ধরেই এসেছে বারাবারে– সমস্ত সমাজ ভাঙ্গনের চিন্তাকে সরিয়ে দিয়েছে অনেক অনেক দূরে। 

কবি অমিত চক্রবর্তী উপস্থিত থাকবেন। পুরনোকে ভেঙ্গে নয়, পুরনো ডাক দেয় নতুনকে– আর সেই আহ্বানে সাড়া দেন পরবর্তী প্রজন্ম। নতুন প্রজন্মের নতুন এক স্বাক্ষর রাখতে চলেছেন কবি অমিত চক্রবর্তী তাঁর লেখনীকে পাথেয় করে। 

সোনালী কাজী সবার পরিচিত শিল্পী। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি স্বাধীনতা লাভের জন্য আন্দোলন ছড়িয়ে দেওয়ার কারিগর কবি কাজী নজরুল ইসলাম। রবীন্দ্রনাথের মৃত্যুর মুহূর্তে তিনি ছিলেন আকাশবাণীতে কর্মরত– ডিউটি শেষ করার আগেই এসে পৌঁছেছিল চরম দুঃখের খবর পেয়ে। সেই মুহূর্তে কোনো কলম নয়, কবি নিজস্বরে নিজেই তৈরি করলেন ‘রবিহারা’ কবিতা। যেটি বাংলা সাহিত্যের একটি অমুল্য সম্পদ। সেই বিদ্রোহী কবি কাজীবনজরুল ইসলামের তৃতীয় প্রজন্ম হলেন সোনালী কাজী। বাচিক শিল্পজগতে ক্রমে তিনি মেলে ধরার চেষ্টা করছেন নিজেকে। আর কলমও চলছে আজকের সমাজের প্রেক্ষিতে।

দীপঙ্কর সেন আবৃত্তিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। বাচিক শিল্পী জগতে ক্রমশ বিস্তার লাভ করছে একটি নাম আর তিনি হলেন আকাশবাণীতে কর্মরত দীপঙ্কর সেন।

অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন তিনি আসবেন। বর্তমান প্রজন্মের আর এক বলিষ্ঠ লেখক অনিরুদ্ধ রায় চৌধুরী ক্রমশ পাঠক বিস্তার তার লেখাকে ছড়িয়ে দিচ্ছে দিক থেকে দিগন্তে।

সাহিত্যিকরা আসছেন মঙ্গলকোটের কোগ্রামে পল্লিকবি কুমুদরঞ্জন মল্লিক এর জন্মদিন উপলক্ষে কুমুদ সাহিত্য মেলায়।            

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কবি-সাহিত্যিক ফারুক আহমেদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন পক্ষ থেকে। অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপে ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। গৌতম বুদ্ধ-এর স্ট্যাচু, ভারতরত্ন ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর স্ট্যাচু ও ড. বি আর আম্বেদকর পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সুন্দর ভাবে সম্পন্ন হয়।

অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারন সভা সম্পন্ন হয়।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করেন কয়েকটি গ্রুপ। সঙ্গীত পরিবেশন করেন রাজকুমার রাকসেল ও ধীরেন্দ্রনাথ মন্ডল। এদের সঙ্গীত ও নৃত্যকলা সকলকেই মুগ্ধ করে। অতিথিরা তাঁদের বক্তব্য রাখার সময় সমগ্র অনুষ্ঠানের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস নিয়ে আয়োজিত হয় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এদিন কবি-সাহিত্যিক ও ‘উদার আকাশ’ পত্রিকা ও প্রকাশনের স্বনামধন্য সম্পাদক ফারুক আহমেদ-কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। ফারুক আহমেদ-এর গায়ে শাল ও মাথায় পাগড়ী পরিয়ে দিয়ে এবং মেমেন্টো (রেলের ইঞ্জিন) হাতে তুলে দিলেন অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের জোনাল সম্পাদক সমীর কুমার দাস ও জোনাল প্রেসিডেন্ট সি কে রাম। উপস্থিত ছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট, জেনারেল সেক্রেটারি ও ন্যাশনাল সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট যথাক্রমে বি এল বেরোয়া, অশোক কুমার ও আর পেরুমল। এছাড়াও অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের কাঁচড়াপাড়া ওয়ার্কশপের প্রেসিডেন্ট জ্যোতি পাশোয়ান, সেক্রেটারি সঞ্জয় মন্ডল, কার্য়কারী প্রেসিডেন্ট এটোয়া ওরান, এডিশন্যাল সেক্রেটারি জলপা হাসদাঁ, ট্রেজারার গৌতম প্রামাণিক, জোনাল কমিটির কার্যকরী প্রেসিডেন্ট তপন কুমার মজুমদার ও পূর্ব রেলের প্রধান কার্যালয়ের সম্পাদক কঙ্কন কুমার গুঁড়ি, চানশী পাশোয়ান, তরুণ সমাজকর্মী তনুজ কুমার মজুমদার প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুচারুভাবে পরিচালনা করেন পূর্ব রেলের সাধারন সম্পাদক সমীর কুমার দাস।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর (১৪ এপ্রিল ১৮৯১ – ৬ ডিসেম্বর ১৯৫৬) ছিলেন একজন ভারতীয় জ্যুরিস্ট, রাজনৈতিক নেতা, বৌদ্ধ আন্দোলনকারী, দার্শনিক, চিন্তাবিদ, নৃতত্ত্ববিদ , ঐতিহাসিক, বাগ্মী, বিশিষ্ট লেখক, অর্থনীতিবিদ, পণ্ডিত, সম্পাদক, রাষ্ট্রবিপ্লবী ও বৌদ্ধ পুনর্জাগরণবাদী। তিনি বাবাসাহেব নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি ভারতের সংবিধানের খসড়া কার্যনির্বাহক সমিতির সভাপতিও ছিলেন। তিনি ভারতীয় জাতীয়তাবাদী এবং ভারতের দলিত আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা। ইনি ভারতের সংবিধানের মুখ্য স্থাপক।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর স্ট্যাচু উদ্বোধনের পর বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে কবি-সাহিত্যিক ও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের অফিস কোর্ডিনেটর ফারুক আহমেদ-কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে।

ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর মর্যাদার জন্য সর্বদা কাজ করে চলেছে অল ইন্ডিয়া এসসি এণ্ড এসটি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন তাঁদের পক্ষ থেকে ফারুক আহমেদকে পুরস্কৃত করায় তিনি মুগ্ধ হয়েছেন। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর-এর ভাব-আদর্শে অনুপ্রাণিত ফারুক আহমেদ। তাঁর স্বপ্নের উদার ভারত গড়তে ফারুক আহমেদ-রা বদ্ধপরিকর আছেন। ডক্টর ভীমরাও রামজি আম্বেদকর দারিদ্র মুক্তি ও জাতপাতহীন ভারত গড়তে চেয়েছিলেন। ভারতের সংবিধান রচনার সময় তিনি এসসি, এসটি, ওবিসি ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার উপর জোর দিয়েছিলেন। সকল শ্রেণি মানুষকেই তিনি মর্যাদার আসনে তুলে আনতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন।

ফারুক আহমেদ বেশ কয়েটি পুরস্কারও পেয়েছেন ইতিমধ্যে। ২০১১, ২০১২ ও ২০১৮ সালে পশ্চিমবঙ্গ ছোটো পত্রিকা সমন্বয় সমিতি “উদার আকাশ”কে শ্রেষ্ঠ শারদ সংখ্যা নির্বাচিত করে। ২০১২ সালে লিটল ম্যাগাজিন বিভাগে “উদার আকাশ” ‘নতুন গতি’ পুরস্কার পায়। বারাসত রবীন্দ্রভবনে কথামালা আয়োজিত ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব ২০১৭-র অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদকে ‘কথামালা ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্মাননা’ প্রদান করা হয়। অল ইন্ডিয়া এস সি এণ্ড এস টি রেলওয়ে এমপ্লয়িজ এসোসিয়েশন তাঁদের নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় ফারুক আহমেদকে সম্মাননা জ্ঞাপন করে ২০১৬ সালের ৯ সেপ্টেম্বর। নিখিল ভারত শিশুসাহিত্য সংসদ কবি ফারুক আহমেদকে ২০১৭ সালে “চর্যাপদ” পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করে। মুর্শিদাবাদ জেলার ইমাম মুয়াজ্জিন সংগঠনের জেলা কমিটির পক্ষ থেকে ২০১৬ সালে সাহিত্যিক ও সাংবাদিক হিসেবে ফারুক আহমেদকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭ সালে “প্রতিচ্ছবি” সাহিত্য সম্মাননা প্রদান করা হয় ফারুক আহমেদকে।

উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ ভাঙড়ের ভূমিপুত্র। এলাকার গর্ব। সাংস্কৃতিক আন্দোলনের তিনি অগ্রদূত। সাহিত্য সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য তাঁকে ‘কলামন্থন অ্যাকাডেমি অফ ফাইন আর্টসে’র পক্ষ থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০১৭ ‘রোটারি সদনে’ পুরস্কৃত করা হয় “আজীবন কৃতিত্ব সম্মাননা” দিয়ে।

গত ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ পার্ক সার্কাস ময়দানে বৈচিত্রের মাঝে মহামিলন উৎসবে ‘পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন বিত্ত নিগমে’র পক্ষ থেকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় ফারুক আহমেদকে। এছাড়াও তিনি বহু পুরস্কার পেয়েছেন সমাজকল্যাণকর কাজের জন্য।

বাংলার স্বনামধন্য সাহিত্যিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিগণ ফারুক আহমেদকে স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছেন। তাঁর প্রতিটি বিশেষ সংখ্যা সস্নেহে উদ্বোধন করেছেন ও মূল্যবান পরামর্শ দান করেছেন মহাশ্বেতা দেবী, শঙ্খ ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়, সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, আবুল বাশার, জয় গোস্বামী, কল্যাণী কাজী,কবীর সুমন, নজরুল ইসলাম, হুমায়ুন কবীর, সঙ্গীতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নূপুর কাজী, মোস্তাক হোসেন, সুনন্দ সান্যাল প্রমুখ সাহিত্যিক।

স্নেহের বাঁধনে বেঁধেছেন সাহিত্যের আর এক পৃষ্ঠপোষক ও উদ্যোগপতি মোস্তাক হোসেন।

সাহিত্যের পৌরোহিত্য করার সাথে-সাথে একজন সমাজ সচেতন নাগরিক হিসেবে সমকালীন সময়ে ঘটে যাওয়া নানান অন্যায়ের বিরুদ্ধে যেমন জোরালো কলম ধরেছেন তেমনি জোরালো কন্ঠস্বরে প্রতিবাদও করেছেন। এমনকি অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষের মিছিলে পাও মিলিয়েছেন। ২০১৪ সালে আক্রান্ত আমরা-র নেতৃত্বে ও আরও কয়েকটি সংগঠন মিলে ভারতের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের কাছে যে স্মারকলিপি দেওয়া হয় ফারুক আহমেদ তার অন্যতম সদস্য ছিলেন। এই ডেপুটেশনের পর আলাদা সাক্ষাৎ করে ফারুক আহমেদ রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে “উদার আকাশ” পত্রিকার বিশেষ সংখ্যা ও “উদার আকাশ” প্রকাশনের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি গ্রন্থ তুলে দিয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাতে। ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনী এবং দিলীপ বেঙ্গসরকার-এর হাতেও “উদার আকাশ” প্রকাশনের গ্রন্থ তুলে দিয়ে তাঁদেরকে সম্মাননা প্রদান করেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-এর হাতেও “উদার আকাশ”-এর বিশেষ সংখ্যা “উদার ভারত নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ” তুলে দিয়েছিলেন। রাজ্যের অনেক মন্ত্রীগণ তার প্রকাশনার গ্রন্থ ও পত্রিকা প্রকাশ করেছেন এবং কলম ধরেছেন।

সম্প্রতি ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় উদার আকাশ পত্রিকার বইমেলা সংখ্যা আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী ড. পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উদার আকাশ পত্রিকা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায়, সাধারণ সম্পাদক সুদাংশু শেখর দে, বিশিষ্ট লেখক ও অধ্যাপক অভীক মজুমদার, সাংসদ দোলা সেন, বাংলাদেশের কবি পাবলো শাহি ও ফিরোজা বেগম।

২০১৬ সালে বিখ্যাত তাজ হোটেলে একটি অনুষ্ঠানে ফারুক আহমেদ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. অমর্ত্য সেন-এর। এরপর ওই সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি অমর্ত্য সেন প্রকাশ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের উপর গবেষণা মূলক একটি রিপোর্ট। ড. অমর্ত্য সেন-এর প্রতিষ্ঠিত প্রতিচি ট্রাস্ট, গাইডেন্স গিল্ড এবং স্ন্যাপ সংগঠনের উদ্যোগে কলকাতার গোর্কি সদনে বই আকারে ওই রিপোর্ট প্রকাশের অনুষ্ঠানে আয়োজকদের মধ্যে অন্যতম ফারুক আহমেদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ফারুক আহমেদ-এর সবচাইতে বড়ো গুণ তিনি নিজে লেখার চাইতে অপরকে বেশি লেখাতে ভালবাসেন। বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে-গঞ্জে অনেক প্রতিভা কুঁড়ে-ঘরের অন্ধকারে বসে নীরবে সাহিত্য-সাধনায় মগ্ন আছেন। শহরের নামজাদা পত্র-পত্রিকাগুলিতে তাদের স্থান হয় না। বলা ভালো পাত্তা মেলে না। ফারুক আহমেদ তাঁদের লেখাকে “উদার আকাশ”-এর পাতায় মর্যাদার সঙ্গে তুলে ধরছেন নিরন্তর। অন্যদিকে কারও-কারও ভালো লেখার হাত, কিন্তু লিখতে চান না। এঁদের পিছনে লেগে থেকে সুন্দর লেখা বের করে আনার মতো পুণ্যের কাজ ফারুক আহমেদ করে চলেছেন প্রতিনিয়ত।

  এই চিন্তা-ভাবনা থেকেই তার প্রকাশনার জগতে পা-রাখা। এ-বিষয়ে তাঁর ঐকান্তিক ইচ্ছায় জন্ম হয়েছে 'উদার আকাশ" প্রকাশনের'। এখানেও ইতিমধ্যেই মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন তিনি। দুই বাংলার লেখকদের ৮১ টি বই এযাবৎ প্রকাশিত হয়েছে তাঁর 'উদার আকাশ' প্রকাশন় থেকে। প্রতিটি বইয়ের বিষয়, ছাপার মান, কাগজ ইত্যাদি যে-কোনও বড়ো প্রকাশনের সঙ্গে টক্কর দেওয়ার ক্ষমতা রাখে। 'উদার আকাশ' প্রকাশনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো 'পশ্চিমবাঙলার বাঙালি মুসলমান অন্তবিহীন সমস্যা', - খাজিম আহমেদ, 'জীবনশিল্পী রোকেয়া', - ড. মীরাতুন নাহার, 'ইসলামের ভুবন', এবং 'মোদীর ভারত, গান্ধীর ভারত', - গৌতম রায়, 'মানুষ-মাটি-মা' ও 'জন্মভূমিশ্চ', - মোশারফ হোসেন, 'নজরুল সাহিত্যের দিগ্বলয়,' নুরুল আমিন বিশ্বাস,  'জলের কান্না', - পলাশকুমার হালদার, 'সাম্যবাদ : ভারতীয় বিক্ষণ', আর 'নজরুল নানা মাত্রা,'-  শেখ মকবুল ইসলাম, 'পরিবর্তনের সন্ধানে মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলমান', - সৌমেন্দ্রকুমার গুপ্ত' 'মহাশ্বেতা দেবীর গল্পবিশ্ব : লৈঙ্গিক প্রতিরোধ', শিবুকান্ত বর্মন, 'দ্য সেকুলার ভিশন অফ কাজী নজরুল ইসলাম,' আবুল হোসেন বিশ্বাস, 'নজরুল সাহিত্যে দেশকাল,' সা'আদুল ইসলাম, 'গৌরকিশোর ঘোষ মুসলিম জীবন ও অভিমানস', শেখ মুঈদুল ইসলাম প্রমুখ।

ফারুক আহমেদ, তিনি নিজের সম্পাদনা কাজেও তাঁর মুন্সিয়ানার ছাপ রেখেছেন। যা ইতিমধ্যে পরিলক্ষিত হয়েছে। তাঁর সম্পাদিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো ‘রাজনৈতিক ক্ষমতায়নে অনগ্রসর ও সংখ্যালঘু’, ‘কংগ্রেস ও বাম-শাসনে মুসলিম ভোট-ব্যাঙ্ক’, ‘আত্মপরিচয়ের অন্বেষণ’, ‘পশ্চিমে সূর্যোদয় রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের উলটপূরাণ’, ‘প্রতিশ্রুতি ও উন্নয়ন’, ‘মূল্যবোধের অবক্ষয়’ ‘ফুরফুরা শরিফের পয়গম’, সহ বেশ কয়েটি গ্রন্থ।

আগেই বলেছি নিজে লেখার চাইতে অন্যকে লেখাতে বেশি আনন্দ পান ফারুক আহমেদ। তবুও ধীর গতিতে হলেও নিজের মৌলিক লেখালেখি ও গবেষণার কাজ নীরবে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যে গুণগ্রাহীদের চাপে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘বিশ্বপ্রেম’ প্রকাশিত হয়েছে ও তাঁর গল্পগ্রন্থ ‘বিনির্মাণ’ প্রকাশিত হতে চলেছে।

বাংলায় তাঁর জনপ্রিয়তা ক্রমবর্ধমান। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি বৈদ্যুতিন চ্যানেলের টক-শোতে চ্যানেলের আমন্ত্রণে উপস্থিত থেকেছেন তিনি। তাঁর মূল্যবান বক্তব্য সে তুলে ধরেছেন বাংলার ও দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। ২০০৭ সাল থেকে তিনি মুর্শিদাবাদ জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য প্রতিনিয়ত সামাজিক ভাবে জনমত গড়ে তুলতে আন্দোলন করছেন এবং সরকারের কাছে লিখিত ভাবে আবেদনও করেছেন।

একেবারে প্রত্যন্ত গ্রামের মাটি থেকে তাঁর এই যে উড়ান, তা কেবল তাঁর একার প্রবল ইচ্ছাশক্তির জোরেই। বর্তমান সময়-কালে শহরের পৃষ্ঠপোষকতা ও আর্থিক স্বাচ্ছন্দ্য না থাকলে কেউই ওড়ার সাহস দেখাতে পারেনা। খুব কাছ থেকে অনেকেই দেখেছেন তাই অনেকেই বলতে পারেন কেবলই ইচ্ছে-ডানায় ভর করেই তাঁর এই উড়ান। এই মুহূর্তে ফারুক আহমেদ একাধারে জনপ্রিয় সম্পাদক, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, সমাজ-চিন্তাবিদ ও দক্ষ সংগঠক।

গত ১৪ নভেম্বর ২০১৭ তাঁরই উদ্যোগে কলকাতার আইসিসিআর সত্যজিৎ রায় অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় গঙ্গা-পদ্মা সাহিত্য-সৌহার্দ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান “ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী উৎসব-২০১৭।” দুই বাংলার সংস্কৃতি ও সাহিত্যি-জগতের মেলবন্ধনের মাধ্যমে দুই বাংলা একত্রিত থাকবে আজীবন, ফারুক আহমেদ’দের এই কামনা একদিন যথার্থ হয়ে উঠবে, দল-মত-জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে, যেদিন থাকবে না কোনও লুকনো বিদ্বেষ, ভারতবাসী হিসেবে আমরা সেই সুদিনের অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছি। সেই সুদিন, –যা অনিবার্য, এবং একদিন আসবেই।

ফারুক আহমেদের পিতা মোহাম্মদ আবেদ আলি ও মা ফজিলা বেগম, স্ত্রী মৌসুমী বিশ্বাস, কন্যা রাইসা নূর, মূল্যবান দীপ্তিময়ী তারার অনুপ্রেরণাতেই সাহিত্য আকাশে ফারুক আহমেদ বিরল প্রতিভাদের মধ্যে এক অচেনা আকাশ জ্বলজ্বল করছেন এক উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে।

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here