· খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে ১০,০০০ অতি দরিদ্র পরিবার কে
· এছাড়াও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার সরবরাহ করা হচ্ছে
করোনা মহামারীর এই সংকটের পরিস্থিতিতে বহু দরিদ্র পরিবার, যারা লকডাউনের কারণে দৈনন্দিন জীবনে সমস্যায় পড়েছেন ও প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মীরা, যারা নিরলস স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রতি নিজের ব্যক্তিগত প্রতিশ্রুতির কথা জানালেন বন্ধন ব্যাংকের কর্ণধার শ্রী চন্দ্রশেখর ঘোষ।
মূলত, দুটি কর্মসূচির কথা তিনি ঘোষণা করলেন। লকডাউনের কারণে যে দরিদ্র পরিবারগুলির দৈনন্দিন জীবন ব্যাহত হয়েছে ও সেই কারণে যাদের ঘরে খাদ্যের অভাব দেখা দিচ্ছে,এই রকম ১০ হাজার পরিবারকে চিহ্নিত করা হয়েছে ও তাদের ন্যূনতম খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া, গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলিতেও স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্যে প্রয়োজনীয় মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
খাদ্য সামগ্রীগুলি মূলত পশ্চিমবঙ্গ ও অসম এর গ্রামগুলির দরিদ্র পরিবারগুলিতে বিতরণ করা শুরু হয়েছে । বন্ধন ব্যাংকের সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষার জন্যে যে শাখা আছে, সেই বন্ধন কোন্নগরের মাধ্যমে এই পরিবারগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। প্রয়োজনীয় খাদ্যগুন ও পুষ্টির কথা মাথায় রেখেই এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। এর মধ্যে থাকছে চাল, ডাল, তেল, নুন ও সোয়াবিন।
বন্ধন কোন্নগরের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি যে যে রাজ্যগুলিতে চলছে সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হচ্ছে। মূলত, অসম, বিহার, ঝাড়খন্ড ও রাজস্থানের গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে চিহ্নিত করে, সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োজনীয় সুরক্ষার জন্যে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।
নিজের এই উদ্যোগ সম্পর্কে শ্রী চন্দ্রশেখর ঘোষ বলেন, “যবে থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে, আমি নিয়মিত আমার কর্মীদের সাথে যোগাযোগে আছি ও জানার চেষ্টা করছি দরিদ্র পরিবারগুলির ব্যাপারে। এদের মধ্যে অনেকেই আমাদের সমাজ-কল্যাণ কর্মসূচিরও অন্তর্ভুক্ত। লকডাউনের ফলে তাদের রোজকার আয়টুকুও বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আমি ন্যূনতম খাদ্যের যোগান দেবার চেষ্টা করছি মাত্র। আর গ্রামীণ স্বাস্থ্যকর্মীরা যারা নিরন্তর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পরিষেবা দিয়ে যাচ্ছেন, তাদের প্রাথমিক সুরক্ষাটুকু পৌঁছে দেবার চেষ্টা করছি। আমাদের কর্মীরা, স্থানীয় অথরিটির অনুমতি নিয়ে ও প্রয়োজনীয় সমস্ত সতর্কতামূলক নিয়ম মেনেই এই বিতরণের কাজটি করছেন।”
শ্রী চন্দ্রশেখর ঘোষ-এর এই অবদান, আর্থিক মূল্যে ১ কোটি টাকার মতো।