১ জুলাই ডক্টরস ডে – বিধির বিধান বাংলার আসল রূপকার ড: বিধান চন্দ্র রায়ের কিছু জানা অজানা কথা
প্রশান্ত দাস, কলকাতা,১জুলাই ২০২১
শ্রদ্ধার্ঘ্য, আজ বিধান রায়ের ১৩৯-তম জন্ম ও ৬৫-তম মৃত্যু দিবস। পড়ুন, ‘ভজন ‘থেকে ‘বিধান’ হওয়ার অজানা কাব্য।
কে, কি করছেন? বারবার সে সবদিকে নজর গেলে নিজে কি করছি, সেটা আর দেখে ওটা হয় না। কাজটাও অসম্পুর্ন থেকে যায়| এই উক্তির বক্তা যে অবশ্যই একজন উন্নয়ণের রূপকার ও সৃজনশীল ব্যাক্তি হবেন, এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। হ্যাঁ, ইনি আমাদের শতসূর্য্য-প্রভা, যোগি-মনোলোভা, তারুণ্যের প্রতীক, চির কুমার ডঃ বিধান চন্দ্র রায়।
ওনার সম্পর্কে জানা-অজানা কিছু আলোচনা নিবেদন করলাম।
গান্ধীজি এক বার বিধানচন্দ্র রায়কে বলেছিলেন, “আহা আপনি যুক্ত প্রদেশের (অধুনা উত্তরপ্রদেশ) গভর্নরের পদগ্রহণ করতে রাজি হলেন না। আমি ভেবেছিলাম, আপনাকে ‘ইওর এক্সেলেন্সি’ বলে ডাকার সুযোগ পাব। তা হতে দিলেন না!” বিধানবাবু হেসে জবাব দেন, ‘‘আমি আপনাকে আরও ভাল বিকল্প দিতে পারি। আমি পদবীতে রয়, তাই আপনি আমাকে রয়্যাল বলতে পারেন। আর যে হেতু অনেকের চেয়ে লম্বা, সে হেতু আপনি আমাকে রয়্যাল হাইনেস বলতে পারেন! সেটা কিন্তু যথার্থই হবে।’’ সে দিন বিধান রায় গভর্নর হতে রাজি হননি। পরবর্তী কালে তিনিই হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।
শোনা যায়, দিল্লির এক পার্টিতে নিমন্ত্রিত হয়ে গভর্নর জেনারেল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন বিধানচন্দ্র সম্বন্ধে এতই মুগ্ধ হন যে তিনি জওহরলালকে বলেন, লাট সাহেবের পদে না বসিয়ে এঁকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিন।১৯৪৮ সালে প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষকে সরিয়ে তাঁকেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করা হয়।
বিধান রায় যদি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী না হতেন! কোনও সন্দেহ নেই ইতিহাস অন্য পথে হাঁটত। বিধানবাবু এক জন বহুমুখী সক্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। ভারী শিল্প এবং সমস্ত নতুন নতুন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর, সবই তো ব্যক্তিগত ভাবে তাঁর নিজের হাতে করা।
আজ যে আধুনিক বাংলায় বসবাস করি সেটা কিন্তু বিধানচন্দ্র রায়ের নিজের তৈরি। তা কলকাতা বন্দর হোক, লবণহ্রদ বা কল্যাণীর মতো উপনগরী হোক, দুর্গাপুর-আসানসোলের মতো শিল্পাঞ্চল হোক, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে কলকাতার বিমান সংযোগ হোক, সব কিছুরই স্থপতি বিধান রায়।
১৯১২ সাল থেকে ১৯১৯ পর্যন্ত NRS হাসপাতালে অ্যানাটমি (শরীরবিদ্যা) বিভাগে শিক্ষকতা করেছিলেন বিধানচন্দ্র রায়। তাঁর ব্যবহৃত একাধিক জিনিস ছিল হাসপাতালে। এখন আর সেসব নেই। তবে তাঁর ব্যবহৃত চেয়ারটির খোঁজ পাওয়া গেছে।তাই এটিকে নিয়ে হাসপাতালে তৈরি হচ্ছে মিউজ়িয়াম। শুধু তাই নয়, এই প্রথম রাজ্যের কোনও হাসপাতাল মিউজ়িয়াম তৈরি করতে চলেছে। যেখানে কাঁচের ঘরের ভেতর রাখা হবে চেয়ারটি। এছাড়া তাঁর নামে একটি লেকচার হলও তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে NRS হাসপাতাল।
প্র্যাকটিস জমাবার প্রথম পর্বে বিধানচন্দ্র রায় যে কলকাতায় পার্ট টাইম ট্যাক্সি ড্রাইভার ছিলেন । চালক ও মালিক হিসেবে মোটর গাড়ি সম্বন্ধে তাঁর যে আজীবন আগ্রহ ছিল ।
বিধান রায়ের মেধা ও চিকিৎসাখ্যাতি কিংবদন্তি পর্যায়ে চলে গেলেও, তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের এমবি পরীক্ষায় ফেল করেছিলেন। আবার তিনিই, মাত্র ১২০০ টাকা সম্বল করে বিলেত গিয়ে দু’বছরে মেডিসিন ও সার্জারির চূড়ান্ত সম্মান এম আর সি পি এবং এফ আর সি এস প্রায় একই সঙ্গে অর্জন করেছিলেন। ভাবুন, একই অঙ্গে কত রূপ।
■■ দিল্লির এক পার্টিতে নিমন্ত্রিত হয়ে গভর্নর জেনারেল লর্ড লুই মাউন্টব্যাটেন বিধানচন্দ্র সম্বন্ধে এতই মুগ্ধ হন যে তিনি জওহরলালকে বলেন, লাট সাহেবের পদে না বসিয়ে এঁকে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্ব দিন।
প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষের পর, ১৯৪৮, ২৩ জানুয়ারি অর্থাৎ নেতাজীর জন্মদিনে, বিধানচন্দ্র বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছিলেন।
বিলেত যাবার আগে কলকাতায় বিধানবাবুর ফি ছিল দু’টাকা। সেই সময়ের ঠিকানা ছিল ৬৭/১ হ্যারিসন রোড।
■■ পরে উপার্জন বৃদ্ধির প্রচেষ্টায় তিনি বাড়ি পরিবর্তন করে আসেন দিলখুশ কেবিনের কাছে, ৮৪ হ্যারিসন রোড। এই বাড়িতেই তিনি রক্ত ইত্যাদি পরীক্ষার জন্য প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরি স্থাপন করেন।
■■ এর পর ১৯১৬ সালে, প্রাকটিসে বিপুল সাফল্যর পর আবার বছরের প্র্যাকটিসে কলকাতায় ওয়েলিংটন স্ট্রিটের প্রাসাদোপম বাড়ির ও শৌখিন গাড়ির মালিক হয়েছিলেন।
■■ যখন বয়স ৬৫ বছর বয়সী বিধানচন্দ্র রায় মুখ্যমন্ত্রী হলেন তার আগের মাসে ডাক্তারি থেকে আয় হয়েছিল ৪২০০০ টাকা । কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী হয়েই নিজেই নিজের মাইনে ঠিক করলেন ১৪০০ টাকা। ভাবতে পারেন, কি অসম্ভব আত্মত্যাগ।
■■ প্রথম দু’বছর তিনি ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ালেন। জমি বিক্রি করলেন, শেয়ার বিক্রি করলেন, এমনকী শৈলশহর শিলং-এর প্রিয় বাড়িটাও বিক্রি করলেন।
■■ মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বাড়িতে বিনা পয়সায় নিয়মিত রোগী দেখতেন সকাল সাতটায়। এবং তার জন্য দু’জন ডাক্তারকে নিজের পয়সায় নিয়োগ করেছিলেন। ব্যক্তিগত স্টাফের মাইনে দিতেন নিজের গ্যাঁট থেকে।
■■ বান্ধবী বেলা সেনের কথায়, সত্যজিৎ রায়ের অসমাপ্ত ছবি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের রচিত ‘পথের পাঁচালী’ তিনি দেখেন এবং সরকারি নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে এই ছবিটির সরকারি প্রযোজনার ব্যবস্থা করেন।
একবার লেখার জন্যে বুদ্ধদেব বসু, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত, প্রবোধ সান্যাল ইত্যাদি পুলিশের বিষনজরে পড়ে গিয়েছিলেন । আতঙ্কিত লেখকরা দলবদ্ধ হয়ে ডাক্তার রায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন। বিধানচন্দ্র আই সি এস রুনু গুহকে বললেন -“ওসব আইনটাইন কী আছে দেখে পাল্টাতে বলো।এঁদের অসম্মান করে এবং চটিয়ে সরকার চালানো যায়?”
ব্যক্তিজীবন ওনার সম্পর্কে নানা রকম, গুজব রটলেও বাস্তবে তিনি ধূমপান বা মদ্যপানে আসক্ত ছিলেন না।
প্রেমিকার বাবার নাম ডঃ নীল রতন সরকার ,প্রেমিকার নাম কল্যাণী আর সেই যুবক ছিলেন – ডঃ বিধান চন্দ্র রায়।…..সবে ডাক্তারি করা শুরু করেছেন, নামডাকও হয়েছে, সেই সময় প্রেমে পরলেন নীল রতন সরকারের মেয়ের সাথে।বুকে সাহস জুগিয়ে বিধান রায় ডঃ নীল রতন সরকারের কাছে গেলেন তার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব নিয়ে। বিয়ের প্রস্তাব শুনে সেই নীল রতন সরকার বিধান রায়কে জিজ্ঞাসা করলে তার মাসিক আয় কত !! আয়ের পরিমান শুনে নীল রতন সরকার বিধান রায়কে জানিয়ে দিলেন তার মেয়ের দৈনিক প্রসাধনী আর আনুসাঙ্গিক খরচার হিসাব এবং সেটা সে কিভাবে সামাল দেবে!! সেই খরচার পরিমান যুবকের আয়ের থেকে বহুগুণ বেশী তাই এই বিয়েতে তাঁর সম্মতি নেই। বিধান রায় ফিরে এলেন, আর সারা জীবন আর বিয়েই করলেন না।
প্রতিদিন, ভোর পাঁচটায় উঠে গীতা ও ব্রহ্মস্তোত্র পড়ে, স্নান সেরে, সাড়ে ৬টায় ব্রেকফাস্ট খেয়ে, দু ঘণ্টা ধরে বিনামূল্যে ১৬ জন রোগী দেখে রাইটার্স বিল্ডিংস-এ আসতেন সবার আগে।
ব্রেকফাস্টে থাকত একটি টোস্ট, একটি ডিম, বেলপানা অথবা পেঁপে ও এক কাপ কফি। ভাল কফির সমঝদার ছিলেন। খুবই মিতাহারী ছিলেন। সাধারণত বাইরে নিমন্ত্রণ খেতে যেতেন না।
দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথাবার্তা চলত বারোটা থেকে সাড়ে বারোটা, তারপর অ্যান্টি চেম্বারে গিয়ে মধ্যাহ্নভোজন ও বিশ্রাম। পরবর্তী সময়ে অসুস্থতার পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ি চলে এসে খাওয়াদাওয়া করে সামান্য বিশ্রামের পরে আবার রাইটার্স। এবং সেখানে রাত ৮টা পর্যন্ত। তাঁর ছিল দুটি দুর্বলতা। কয়েকবার স্নান করে নিতেন এবং সবাইকে বলতেন রাত ন’টায় শুয়ে পড়া ভাল।
তাঁর রোগীদের তালিকায় বিশ্ববিখ্যাতরা দেশবন্ধু, মোতিলাল নেহরু, মহাত্মা গাঁধী, বল্লভ ভাই পটেল, মৌলানা আজাদ, জওহরলাল, তাঁর কন্যা ইন্দিরা। তাঁর গুণগ্রাহীদের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি এবং ব্রিটেনের প্রাইম মিনিস্টার ক্লেমেন্ট এটলি।
ডাঃ বিধানচন্দ্র রায় আশি বছর বেঁচে ছিলেন।১৮৮২, ১ জুলাই তাঁর জন্মদিন। জন্ম ও মৃত্যু একই দিনে হওয়ায় ……১৯৬২ সালের ১ জুলাই ওনার মৃত্যুশয্যায় আত্মীয়স্বজনরা এলেন। পরিচারক কৃত্তিবাসের হাত থেকে এক গ্লাস মুসুম্বির রস খেয়েছিলেন। বন্ধু সার্জেন ললিতমোহনকে দেখে খুশি হয়ে বলেছিলেন, “ললিত তুমি আমার গুরু, তোমার কাছ থেকে কত কিছু শিখেছি, বলো।”
ওই দিন মৃত্যু শয্যায় ঘনিষ্ঠ সহযোগীকে বলেছিলেন, “আমি দীর্ঘ জীবন বেঁচেছি। জীবনের সব কাজ আমি সমাধা করেছি। আমার আর কিছু করার নেই। আমার পা ঠান্ডা হয়ে আসছে। ” এর পরেই নাকে নল পরানো, ইঞ্জেকশন এবং ১১টা ৫৫ মিনিটে অমৃতপথ যাত্রা।
দুঃসংবাদ পেয়ে দেশবন্ধুর স্ত্রী বাসন্তীদেবী বলেছিলেন, বিধান পুণ্যাত্মা, তাই জন্মদিনেই চলে গেল। ভগবান বুদ্ধও তাঁর জন্মদিনে সমাধি লাভ করেছিলেন।
২ জুলাই ১৯৬২ অন্তিম সংস্কার ওনার ইচ্ছাতেই, কেওড়াতলা শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে করাহয়েছিল। মৃত্যুর বছর দুয়েক আগে, বৈদ্যুতিক চুল্লি সূচনা করতে এসে বিধানচন্দ্র বলেছিলেন, “ওহে আমাকে এই ইলেকট্রিক চুল্লিতে পোড়াবে।”
আঘাত পেলেও বিধান রায়কে বিচলিত হতেন না। তিনি মাঝে মাঝে বলতেন, “তোমার সাধ্যমতো চেষ্টা করো, এবং বাকিটা ভগবানের উপর ছেড়ে দাও।” আবার কখনও কখনও মেডিক্যাল কলেজের প্রিয় মাস্টারমশাই কর্নেল লুকিসকে স্মরণ করে বলতেন, “হাত গুটিয়ে বসে থাকার চেয়ে চেষ্টা করে হেরে যাওয়া ভাল।”
আবার কখনও কখনও মা-বাবাকে স্মরণ করতেন। “মা-বাবার কাছ থেকে তিনটে জিনিস শিখেছিলাম স্বার্থহীন সেবা, সাম্যের ভাব এবং কখনও পরাজয় না মেনে নেওয়া।”
ডাকনাম ভজন ভাল নাম বিধান।
ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের জীবনের কিছু স্মরণীয় সাল।
■■ ১৮৮২ সালের ১ জুলাই বর্তমানে বিহার রাজ্যের অন্তর্গত পাটনার বাঁকিপুরে বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম।
■■ ১৮৮৭ পাটনার টি. কে. ঘোষ ইনস্টিটিউশন পাঠ দেন শুরু।
■■ ১৮৯৭ সালে মাতৃ বিয়োগ ও পাটনা কলেজে ভরতি হন।
■■ ১৮৯৭ সালে এফ.এ. এবং
■■ ১৯০১ সালে গণিতে সাম্মানিক সহ বি.এ. পাশ।
■■ ১৯০৬ সালে এল এম এস
■■ ১৯০৮ এম ডি ডিগ্রি লাভ করেন।
■■ ১৯১১ সালে ইংল্যান্ড থেকে এফ.আর.সি.এস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ও কলকাতায় ফিরে প্রাকটিস শুরু।
■■ ১৯২৩ সালে বঙ্গীয় ব্যবস্থাপক সভার নির্বাচনে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেন,
●কলকাতা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক
●কলকাতা পৌরসংস্থার মেয়র নির্বাচিত হন।
■■ ১৯৩১ সালে আইন অমান্য আন্দোলনে কারাবরণ করেন।
■■ ১৯৪২ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (১৯৪৩-৪৪) মনোনীত হন।
■■ ১৯৪৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নির্বাচন কেন্দ্র থেকে কংগ্রেস প্রার্থীরূপে আইনসভায় নির্বাচিত হন।
■■ ১৯৪৮ সালে গ্রহণ করেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
■■ ১৯৬১ সালে তিনি ভারতের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান ভারতরত্নে ভূষিত হন।
আশ্চর্য হলেও সত্যি।১৯৪২ সালের ১০ জুলাই নজরুল প্রথম বাকশক্তি হারান। এরপর থেকে তার যত রকমের চিকিৎসা করা হয়েছে সবই ছিল ভুল ও ব্যর্থ। একমাত্র ডা. বিধান চন্দ্র রায়ই আশঙ্কা করেছিলেন নজরুল ‘স্নায়বিক বৈকল্যে’ আক্রান্ত হয়েছেন যার অনিবার্য পরিণতি হচ্ছে আলঝেইমার্স। কিন্তু নজরুলের জন্য সে সময় গঠিত মেডিকেল বোর্ড বিধান চন্দ্রের সুপারিশ কোনোক্রমেই গ্রহণ করেনি।
হে কর্মবীর লহ প্রনাম।