দুয়ারে সাংবাদিক – কলকাতা পুলিশের মানবিক মুখ, টাকা ভর্তি ব্যাগ ফেরত পেলেন এক মহিলা
যখন সমাজে অমানবিক ব্যবহারই মানুষের পরিচয় হয়ে উঠছে আর আমাদের অসহায় মুখগুলো ছবি, ঠিক তখনই অন্য ছবি দেখালেন ক্যালকাটা পুলিশের আধিকারিকরা ।
আসুন ঘটনা বিশদে কলকাতা পুলিশের ফেইসবুক ওয়াল থেকে তুলে ধরা যাক ।
আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ বাঘাযতীন মোড়ে কর্তব্যরত গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের সার্জেন্ট আশুতোষ বিশ্বাস ও কনস্টেবল প্রদীপ বারিকের হাতে একটি ব্যাগ তুলে দেন প্রসেনজিৎ ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি। বলেন, ব্যাগটি রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন তিনি। ব্যাগ খুলে আমাদের সহকর্মীরা দেখেন, তাতে রয়েছে ১৭ হাজার টাকা, একটি ব্যাঙ্কের পাসবই, ও চেকবই। কী করণীয় জানতে গড়িয়া ট্রাফিক গার্ডের ওসি ইনস্পেকটর প্রবীর কুমার ভট্টাচার্যকে ফোন করেন আশুতোষ। তিনি নির্দেশ দেন, গড়িয়া স্টেশন রোডে অবস্থিত ব্যাঙ্কটির শাখায় গিয়ে খোঁজ নিতে, ওই অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত গ্রাহকের ঠিকানা বা ফোন নম্বর পাওয়া যায় কিনা।
সেইমতো ব্যাঙ্কে গিয়ে ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কাছ থেকে ফোন নম্বর যোগাড় করে গ্রাহক শ্রীমতী দীপা রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে আশুতোষ জানান, উপযুক্ত প্রমাণ সমেত ব্যাঙ্কে এসে তিনি যেন তাঁর ব্যাগটি নিয়ে যান। তিনি ব্যাঙ্কে এলে ম্যানেজার তাঁকে ‘অ্যাকাউন্ট হোল্ডার’ হিসেবে শনাক্ত করেন, এবং যথাযথ প্রমাণ পেয়ে আমরা তাঁকে তাঁর ব্যাগ ফিরিয়ে দিই। বলা বাহুল্য, প্রসেনজিৎবাবু, কলকাতা পুলিশ, ও কলকাতা ট্রাফিক পুলিশকে অশেষ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন শ্রীমতী রায়। নিচে রইল সার্জেন্ট আশুতোষ বিশ্বাস ও কনস্টেবল প্রদীপ বারিকের ছবি।
এখনো মানবতা বেঁচে আছে এখনো পুলিশের কাজ প্রশংসার দাবি রাখে। কমিশনার সহ সকল কর্মী ও আধিকারিক কে অনুরোধ এটাই হোক কলকাতা পুলিশের প্রকৃত ব্যবহার ।
দুয়ারে সাংবাদিক কর্মীরা আপনাদের সকল শুভ কাজে পাশে থেকে আপনাদের কথা তুলে ধরবে । যোগরোগ এর জন্য মেইল করুন [email protected]