লাইভ টেলিকাস্ট – সত্যঘটনা অবলম্বনে ছোটোগল্প

0
889
Reporter with Police
Reporter with Police
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:16 Minute, 58 Second

অকুতোভয় কর্তব্যরত সকল আরক্ষাকর্মীদের করকমলে:-

(সত্যঘটনা অবলম্বনে ছোটোগল্প)

লাইভ টেলিকাস্ট

হীরক মুখোপাধ্যায়,কলকাতা

আজ উত্তমের বিবাহবার্ষিকী, কিন্তু ওর কী দু’দণ্ড সুস্থ হয়ে ঘরে থাকার জো আছে। মাঝে মাঝে ও ভাবে কী মরতে যে ও পুলিসের চাকরি নিয়েছিল ! উত্তম এখন রাজ্য পুলিসের অপরাধী অন্বেষণ বিভাগ-এ কর্মরত, সাধারণ লোক ওদেরই সিআইডি বলে থাকে।

দিন নেই রাত নেই শুধু ছুটে বেড়াও। ও আজ ভেবেছিল বাড়ি থেকেই বেরবে না, সারাদিন শুধু শীলাকে নিয়েই মাতামাতি করবে। ঘাঁটাঘাঁটি তো এখন আর সবসময় ওর পক্ষে করে ওঠা সম্ভব হয়না। বড়ো হয়ে উঠেছে মেয়ে, দেখলে কী ভাববে…।

উত্তমের মেয়ে শর্মিলা যখন ক্লাস টু-তে পড়ে তখন হঠাৎই একদিন ওকে কোলকাতা থেকে জলপাইগুড়ি-তে বদলি করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সময় থেকে বাড়ি ছাড়া উত্তম। তাও কম দিন তো নয় টানা আট বছর হয়ে গেল।

শর্মিলা এখন এখানকারই এক নামকরা মিশনারি স্কুলে পড়ে। এরই মধ্যে চলনে বলনে অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান স্টাইলটা ও বেশ রপ্ত করে নিয়েছে। ইংরেজি ভাষায় মুখে সবসময় যেন খই ফুটছে, চুড়িদার পরা তো কবেই ছেড়ে দিয়েছে ; ওর এখন ফেবারিট শুধু হটপ্যান্ট আর ঢিলেঢালা ব্যাগি গেঞ্জি নয়তো স্কিন টাইট জিন্স আর টপ। বাংলা গানের দিকে সেরকম ঝোঁক না থাকলেও রক-পপ-জ্যাজ গানের উপর রয়েছে সীমাহীন আসক্তি। মেয়ের দিকে তাকিয়ে মাঝে মধ্যে উত্তম ভাবে কী যে হবে ওর ! কিন্তু বেচারা উত্তম ও কী বা আর করতে পারে।

বাড়িতে থাকলে উত্তম বরাবরই ভোর ভোর ঘুম থেকে উঠে পড়ে, এটা ওর বরাবরের অভ্যাস। আজও সবে ঘুম থেকে উঠে আড়ামোড়া ভাঙতে ভাঙতে ভাবছিল ওর আর শীলার বিয়ের কথা। চোখের সামনে ভেসে আসছিল মালাবদল, বৌভাত আর ফুলশয্যার সুখী মুহুর্তের কোলাজগুলো। হঠাৎই বালিশের পাশে রাখা মোবাইলটা সশব্দে বেজে উঠল।

সাতসকালে বেজে চলা এই ফোনটাই ওর সুখ স্মৃতিগুলোকে এক মুহুর্তে লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল। উত্তম আগেই ওর উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে রেখেছিল আজ যেন ওকে নিশ্চিন্তে ছুটি উপভোগ করতে দেওয়া হয়, উত্তমের আহ্বানে সাড়াও দিয়েছিলেন উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তারপরেও এই অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে ফোনটা কানে তুলল বছর আটচল্লিশের উত্তম।

“হ্যালো”।
“ইউনিটে এসে এখনই রিপোর্ট করুন।”
ও প্রান্ত থেকে আদেশ ভেসে আসতেই উত্তম বলল, “আজ আমার ছুটি আছে স্যার।”

“সরি ইয়োর লিভ ইজ অ্যানাউন্সড ক্যানসেল।”
“কী আবোলতাবোল বলছেন, মিলিটারিরাও বছরে দু’মাস ছুটি পায়, আর আমি একদিনও ছুটি পাব না !”

উত্তমের আচরণে বিরক্ত সাহেবের গলা ভেসে এল, “ভুলে যাবেননা জরুরী প্রয়োজনে মিলিটারিদেরও ফুলশয্যা ফেলে যুদ্ধক্ষেত্রে ছুটে আসতে হয়।”

উত্তমের সাথে উপরওয়ালার যখন তপ্ত বাক্য বিনিময় হচ্ছে তখন শীলা অবশ্য জমিয়ে নাক ডেকে ঘুমচ্ছে।
জলপাইগুড়ির শালবাড়িতে এসে বেশ খুশিতেই আছে শীলা। এখন আর ওর সংসারে অবাঞ্ছিতভাবে নাক গলাবার জন্য নেই উত্তমের মা, উত্তম তো থেকেও নেই। তাই দেরি করে ঘুম থেকে উঠলেই বা কী না উঠলেই বা কী , কে ওকে চোখ পাকাবে ! এই সুখেই এরমধ্যে আড়ে বহরে ভালো রকম বেড়ে উঠেছে শীলা।

উত্তমের বাড়ির লোক একান্নবর্তি পরিবার ভাঙার মতো স্পর্শকাতর ঘটনার জন্য শীলাকে ভুল বুঝলেও, মেয়েটা কিন্তু খুব একটা খারাপ নয়। শীলা বরাবরই একটু বেশি রকমের বর ন্যাওটা। দোষ ওর এটুকুই যে উত্তমকে শুধু নিজের চোখের সামনেই ও দেখতে চায়।

সাহেবের সাথে কথা শেষ হতেই উত্তম তাকায় ওর ঘুমন্ত বউয়ের দিকে।
গতকাল রাতে শোয়ার আগে উত্তম শীলাকে বলেছিল, “কাল ছুটি নিয়েছি, কাল শুধু তোমার চোখের সামনে ঘুরব।”
উত্তমের মুখ থেকে কথাটা শুনে অবিশ্বাসীর মতো ঠোঁট বেঁকিয়ে শীলা বলেছিল, “হুঁ।”

উত্তমের পোড়া কপাল, নইলে রাত শেষ হওয়া মাত্র ওকেই আবার শীলাকে বলতে হয়, “বেরচ্ছি ডার্লিং, দরজাটা দিয়ে দাও।”
ঘুম ভাঙার পরেই উত্তমের মুখ থেকে উল্টোপুরান শুনে রাগে গরগর করতে করতে শীলা বলল, “মরোগে যাও।”
বউয়ের মুখ ঝামটা খেয়ে ঘর থেকে অপরাধীর মতো বেরিয়ে যায় উত্তম।

(২)

উত্তম যে কখন আসবে তার কোনও ঠিক নেই। এই হয়েছে পুলিসের কাজ, হয়তো বলল দুপুর দশটা নাগাদ ফিরে ভাত খাবে, অথচ ফিরল পরের দিন ভোর পাঁচটায়। যত সব অনাসৃষ্টি।

শীলা রান্নাঘরে বসে এইসব ভাবতে ভাবতেই আনাজপাতি কাটাকুটি করছিল। শর্মিলা আজ সকালে ম্যাগি খাবার বায়না ধরেছে, তাই একটু হাতনাড়া। নইলে কাজ আর কী, সবই তো করে গুরুংয়ের মা।

হঠাৎ শীলার মোবাইলটা বেজে উঠল। ফোনটা রিসিভ করতেই ওপার থেকে উত্তমের গলা ভেসে এল, “এই কী করছ এখন ?”
এপার থেকে শীলা জবাব দিল, “তোমার পিণ্ডি চটকাচ্ছি, কেনো কী হয়েছে ?”
শীলার রাগত স্বর শুনে উত্তম একটু দমে গিয়ে বলল, “না এমনি।”

শীলা বেশ সমঝদার মহিলা, ও ভালোই জানে উত্তম এখন আর আগের মতো নেই যে ঘন্টায় ঘন্টায় ওকে ফোন করে খবরাখবর নেবে। ও যখন ফোন করেছে, তখন নিশ্চয়ই কোনো কারণ আছে।

তাই সুর বদলে শীলা জানতে চাইল, ” কী বলবে, বললে না তো ?”

খিঁচুনি শুনে ফোনটা কেটেই দিচ্ছিল উত্তম, হঠাৎ শীলার গলার স্বর পরিবর্তন হতেই ও যেন কেমন হয়ে গেল। নিজেকে মনে মনে একটু শাসন করে উত্তম বলল, “টিভিটা খুলে ‘রাজ টিভি’ চ্যানেলটা দেখো। এখনি ওখানে আমাকে দেখতে পাবে। আমি কী ভাবে বোমা নিষ্ক্রিয় করি তা ঘরে বসেই তুমি আজ দেখতে পাবে। নাও নাও তাড়াতাড়ি করো, ওদের ও.বি. ভ্যান চ্যানেলের সাথে লিঙ্ক আপ করে ফেলেছে। খোলা তাড়াতাড়ি। বাই বাই ডার্লিং, আমি রাখছি।”

উত্তমের কথা শুনেই শীলা শর্মিলাকে বলল, “চট করে ‘রাজ টিভি’-টা খোল তো।”

শর্মিলা রাজ টিভি খুলতেই দেখা গেল চৌমাথার কাছে একটা সাইকেল পড়ে আছে আর তার পাশে রাখা রয়েছে একটা ব্যাগ। ক্যামেরা বারবার জুম করে দেখাচ্ছে ব্যাগ থেকে বের হয়ে আছে লাল আর হলুদ রংয়ের দুটো আলাদা তার।

ধারাভাষ্যকারের কথা কানে ভেসে এল, “বুধবার ভোর রাতে জলপাইগুড়ি জেলার প্রাণকেন্দ্র চৌপথী-র কাছে কেউ বা কারা এই সাইকেলটা রেখে যায়। সাইকেলের হ্যাণ্ডেলেই ঝোলানো ছিল ব্যাগটা। আশঙ্কা করা হচ্ছে ব্যাগের ভেতরে রয়েছে বোমা। এলাকার মানুষদের কাছ থেকে এই খবর প্রথমে জানতে পারে স্থানীয় থানা। থানা থেকে পুলিস এসে বাঁশের সাহায্যে সাইকেলের হ্যাণ্ডেল থেকে ব্যাগ সরিয়ে এনে পাশে রেখেছে।
আপনারা দেখতে পাচ্ছেন স্থানীয় পুলিস এখন দূর থেকে জায়গাটা ঘিরে রেখেছে। আজ সকাল ৮ টায় ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছেছেন জেলার আরক্ষা অধীক্ষক। এস পি সাহেব নিজেই এখন ঘটনার তদারকি করছেন।

খবর দেওয়া হয়েছিল সিআইডি-র বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড-কে। উত্তম বাগল-এর নেতৃত্বে চলে এসেছে বিস্ফোরক নিরোধক সেই দল। এবার অবিলম্বে বোমাকে নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া শুরু হবে।

ওই দেখুন এগিয়ে চলেছেন উত্তম বাগল। উত্তমবাবু এর আগেও অনেক বোমা এভাবে নিষ্ক্রিয় করেছেন বলে পুলিস সূত্রে আগেই জানান হয়েছে। এইসব ঘটনা তাঁর কাছে অতি মামুলি বিষয়, নেহাতই জলভাত এমনই জানিয়েছেন সিআইডি-র আধিকারিকগণ। তবে একটা জিনিস অবশ্যই বলতে হবে, তিনি নিজের জন্য কোনো প্রকার সুরক্ষা বন্দোবস্ত না নিয়েই চলেছেন বোমা নিষ্ক্রিয় করতে। উনি কেনো এভাবে যাচ্ছেন আমরা সেটাই বুঝতে পারছিনা।”

টিভিতে যখন ধারাভাষ্যকার জীবন্ত ধারাপ্রদর্শনীর বিবরণ শোনাচ্ছে, তখন বাবার কথা ভেবে শর্মিলার বুক গর্বে দশহাত হয়ে যাচ্ছিল। ও এরই মধ্যে ওর গোটা কয়েক বন্ধু বান্ধবীকে ফোন করে টিভি দেখতেও বলে দিয়েছে। ওরাও দেখছে। শর্মিলা মনে মনে সুখ অনুভব করছে। ও ভাবছে বাবা বম্ব ডিসপোজ করলেই সবাই ওকে ফোনে থ্যাঙ্কস জানাবে। স্কুলে ওর কত সুনাম হবে।

শর্মিলা যখন এসব ভাবছিল তখন কানে ভেসে এল ধারা ভাষ্যকারের গলা, “কাউন্ট ডাউন স্টার্ট। আপনারা দেখতে পাচ্ছেন উত্তমবাবু ব্যাগের কাছে পৌঁছে গেছেন, উনি এবার ওঁনার আসল কাজ শুরু করবেন। সমস্ত জলপাইগুড়িবাসী এখন দুরু দুরু বুকে অপেক্ষা করছেন, কী জানি কী হয়।

আপনাদের বলে রাখা ভাল, এস পি সাহেবের নির্দেশে সমস্ত বাহিনী এখন দুশো ফুট দূর থেকে ব্যাগটাকে ঘিরে রেখেছে। আমরাও তার বাইরে দাঁড়িয়ে আপনাদের দেখাচ্ছি এই লাইভ কভারেজ। রাজ টিভি-র সৌজন্যে আপনারা ঘরে বসে দেখছেন এই দৃশ্য।

দেখুন …. পৌঁছে গেছে উত্তমবাবু। আমরা চারটে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় বসানো চারটে ক্যামেরার মাধ্যমে এক্সক্লুসিভ এই দৃশ্য আপনাদের দেখাচ্ছি।

এবার ধীরে ধীরে ব্যাগে ঢোকাচ্ছে উত্তমবাবু…।”

বাবা ব্যাগে হাত দিতে যাচ্ছে দেখে টেনশনে সোফার উপর রাখা মা’র হাতটা অজান্তেই চেপে ধরল শর্মিলা।
শীলা শর্মিলার দিকে গর্বের চোখে তাকাল। শীলার চোখদুটো চকচক করছে।

শর্মিলা আর শীলা ঘরে বসে টিভিতে দেখছে ওদের অত্যন্ত আপনজন কীভাবে বিনা সঙ্কোচে নির্ভয়ে বোমার ব্যাগের ভেতরে হাত ঢোকাচ্ছে।

ধারাভাষ্যকার বলে চলেছে, “এস পি সাহেবের নির্দেশে সমস্ত ফোর্স এখন দুশো ফুট দূরে মাটির উপর শুয়ে জায়গাটা ঘিরে রেখেছে। শুধু একা উত্তমবাবু অভিমন্যু-র মতো চক্রব্যূহে প্রবেশ করেছে।

এবার বীর বিক্রমে ব্যাগের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিচ্ছে উত্তমবাবু। বোধহয় হাতে ধরেও ফেলেছে বোমাটাকে। আমরা দেখতে পাচ্ছি উনি ঝুঁকে পড়েছেন ব্যাগটার দিকে। মনে হয় উনি এখন ফিউজ কেটে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছেন।”

ভাষ্যকারের কথা এই পর্যন্ত কানে আসার মধ্যেই সোফায় বসে শীলা আর শর্মিলা টিভির ভেতর থেকে একটা একটা জোরালো শব্দ শুনতে পেল। শব্দটা কানে আসতেই ওরা মা মেয়ে দুজনেই উৎসুক হয়ে টিভির দিকে তাকাতেই দেখতে পেল টিভি ক্যামেরার মুখগুলো যেন নিমেষে তাদের অভিমুখ ঘুরিয়ে দিল। তারপর টিভির স্ক্রিন জুড়ে শুধুই ঝিলমিল।

শীলা কিছুই বুঝতে পারেনা, ও ভাবল বোধহয় চ্যানেলের লিঙ্ক ফেল হয়েছে বা সার্ভার পয়েন্টে পাওয়ার কাট হয়েছে ; তাই রাগে গরগর করতে করতে আপন মনেই বলল, “যত্তসব।”

শর্মিলাও মার কাছে জানতে চাইল, “আসল সময়ে কী হলো বলো তো ?”

ঘরে টিভির সামনে সোফার উপর বসে মা মেয়ে যখন অবুঝের মতো বিশ্রম্ভালাপ করছে, ঠিক তখনই কিছু সময় পর বেজে উঠল শীলার মোবাইল ফোনটা।
এমনিতেই শীলার মাথাটা এখন গরম হয়ে রয়েছে তাই শর্মিলাকে বলল, “দ্যাখ এখন আবার কে জ্বালাচ্ছে।”
ফোনটা ধরতেই ওপাশ থেকে গমগমে গলায় কেউ জানতে চাইল, “মিসেস বাগল বলছেন ?”
শর্মিলা বলল, “না ওঁনার মেয়ে বলছি।”

শর্মিলার গলা পেয়ে ও প্রান্ত থেকে যিনি কথা বলছিলেন তিনি একটু থমকে গেলেন তারপর ধীর গলায় বললেন, ” সরি মিস বাগল, উইথ গ্রেট রিগ্রেট আ’য়াম টেলিং ইউ দ্যাট ইয়োর ফাদার ইজ নো মোর।”

ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ে পাঠরতা কোনো মেয়ের কাছে এই কথার মানে বোঝাটা কোনো সমস্যার বিষয় নয়। ও তাই চেঁচিয়ে উঠল, “হোয়াট !”
ও প্রান্ত থেকে ধরা গলায় অচেনা ব্যক্তি তখনও বলছেন, “মাই ফ্রেণ্ড কন্ট্রোল ইয়োরসেল্ফ। জাস্ট আ ফিউ মোমেন্টস এগো হি ইজ ট্রায়িং টু ডিসপোজ আ বম্ব। বাট ডিউ টু হিজ ব্যাড লাক সাডনলি এক্সিডেন্ট টুক প্লেস এণ্ড ইয়োর ফাদার…।”

কথাটা শেষ হবার আগেই শর্মিলা কান্নায় ভেঙে পড়ল, “বাপি আর বেঁচে নেই মাম্মি।”

The Bomb Squad Mistake Reporting Live
The Bomb Squad Mistake Reporting Live

ডিজিটাল আর্ট :সুমন মুন্সী

Hirak Mukherjee
Hirak Mukherjee

***প্রসঙ্গত লালবাহাদুর লোহার এভাবেই মারা যান ২৯ অগস্ট ২০১৩। সমস্ত কাগজেই পরের দিন বেরিয়েছিল এই খবর।

হীরক মূখোপাধ্যায় শুধু একজন অভিজ্ঞ সাংবাদিক শুধু নন, নানা বিষয়ে বুৎপত্তি ও প্রতুৎপন্নমতির অধিকারী। তার কলম বহুবার বহু জীবন কে নতুন করে ভাবতে সাহায্য করে এমন বিষয় কে তুলে ধরেছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে সাংবাদিকতার চলন্ত অভিধান এমনই তাঁর কলমের জাদু। আইবিজি নিউজ এর প্রথম দিন থেকে পৃষ্ঠপোষক ও প্রয়োজনে অভিভাবক রূপে দিশা নির্দেশ করতে সব সময় রাজি ।

Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here