লকডাউন আর পচাদার বেড়ে পাকা তর্ক
সুনন্দ মিত্র আর সুমন মুন্সী
আজ হটাৎ রথতলার মোড়ে দেখা হয়ে গেলো পচাদার সঙ্গে । আদর করে চায়ের দোকানে ডেকে নিয়ে গেলেন । দুটো চা আর লেড়ো বিস্কুট অর্ডার দিয়ে হাসলেন ।
এবার আমার চিন্তিত হবার পালা, পচাদা যখনই চা বিস্কুট খাইয়েছেন এমন কিছু কথা বলেছেন যে অতিবাম না অতিডান নাকি মধ্যম বাম এই নিয়ে ধন্দে পরেছি।
যথারীতি চা হাতে নিয়ে বললেন, “কি বুঝলেন, বুদ্ধির বিচি, না মানে বুদ্ধিবেচি থুড়ি বুদ্ধিজীবী”।
বেশ অসন্তোষের সাথে বললাম,”কিসের কি বুঝবো, আপনার কথা বেশ গা জ্বালানো”।
মুচকি হেসে বললেন “lockdown না রাজনৈতিক সূক্ষ্ম চাল, বা এক ঢিলে অনেক সমস্যার সমাধান?”
“সে আবার কি কথা”, অবাক হয়ে বললাম।
পচাদা বলা শুরু করলেন। “lockdown করার সহজ ব্যাখ্যা যাতে সংক্রমণ ছড়িয়ে না পরে, আর প্রশ্নটা এইখানেই, তাহলে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে বর্ষবরণ এই সুদীর্ঘ সময় কেন ছাড় দেওয়া হলো?
যাতে কোনো সম্প্রদায়ই অসন্তোষ প্রকাশ করতে না পারে, তার ফলতো ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হতে পারে, তাই নয় কি?
নাকি চাকরি নেই, ভাড়ার শুন্য, আরও অনেক সমস্যা যাতে মাথা চারা দিয়ে না উঠতে পারে, তার জন্যেই উদ্দাম ফুর্তির অনুমতি, নাকের বদলে নরুন এর মতো!
এমনিতেই তো বিগত lockdown এ বহু মানুষই কর্মহীন হয়ে পড়েছে, অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ঋণে জর্জরিত হয়ে ডুবে গেছে, তাতে কি? আমরা তো আমাদের কাধ থেকে সমস্যাগুলো ঝেড়ে ফেলেছি।
আর বিগত lockdown গুলো আমাদের সবারই মনে আছে। যারা সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলে যত দায় তাদেরই, আর বহু মানুষ সরকারি নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে যথেচ্ছাচার চালিয়ে যায়, কিন্তু রাজা নির্বিকার।
তার বদলে সরকারি নির্দেশিকা যাতে কঠোর হস্তে বলবৎ করা যায়, সেটা ভালো নয় কি?
আসলে শত বিরুদ্ধ মতের সোশ্যাল মিডিয়া প্রচারে মানুষ কি করবে অসহায়, তবে ফাউতে ফুর্তি মেরে খেতে অভস্ত হয়ে গেছে জাতি তাই হবুচন্দ্র রাজা, গবুচন্দ্র মন্ত্রী আর আমরা সবাই বোম্বাগড়বাসী।
মাথা চুলকাচ্ছিলাম দেখে বললেন “চায়ের দাম দিয়ে বাড়ি যা ঠান্ডা পরছে, এই যে তোর গেরিয়ে চা খেলাম এটা হলো কনসেপ্ট সেল, গ্লোবালাইজেশন অফ পান্ডেমিক ইজ লাইক দ্যাট, লাইক দ্যাট। ২ টাকার চাল খান আর দাদা দিদির গান গেয়ে যান”|