রিভিউ কমিটি করা হয়েছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করতে
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে পিএইচডি’র ভর্তিতে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ দেওয়া হয়নি। এবার রাজ্য সরকারের সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করতে ৯ জনের কমিটি গঠন করল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ওই কমিটিতে রয়েছেন ফ্যাকাল্টি অফ আর্টস অ্যান্ড কমার্স-এর ডিন অমলেন্দু ভুঁইয়া, আইকিউসির ডিরেক্টর অধ্যাপক নন্দকুমার ঘোষ, পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিমলেন্দু বিশ্বাস, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক সেখ মণিরুল ইসলাম, অধ্যাপক বৃন্দাবন রায়, অধ্যাপক কালাচাঁদ মাহালি, উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক জায়েদ হোসেন। এডুকেশন বিভাগের অধ্যাপক বিজন সরকার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার ইন্দ্রানী কর।
উল্লেখ্য, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এডুকেশন বিভাগের পিএইচডিতে ১৯ জনের যে তালিকা প্রকাশ করেন এবং তাঁদের প্রত্যোকেই ভর্তি নেয়। এর মধ্যে ‘আদারব্যাকওয়ার্ড’ (ওবি) প্রার্থী রয়েছেন ৩ জন, ৭ জন এসসি, এসটি ১ জন এবং বাকি জেনারেল। কিন্তু ওবিসি ‘এ’ একজনকেও নেওয়া হয়নি।
ছাত্র ও শিক্ষকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। শিক্ষক ও ছাত্র সংগঠনও সরব হয়। পাশাপাশি বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উচ্চশিক্ষা দফতর, পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি কমিশন, সেন্ট্রাল মাইনরিটি কমিশন এবং রাজ্য ওয়েলফেয়ার ও ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস দফতরের পক্ষ থেকে এই বঞ্চনার কারণ জানতে চায় এবং সংরক্ষণ পুরোপুরি কার্যকর করার নির্দেশ দেয় বলে জানা গিয়েছে।
এর পরই ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণের জন্য এই কমিটি গঠন করা হয়। এ দিকে এই কমিটি গঠন নিয়েও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশনের পিএইচডিতে ভর্তির ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ নিয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়– তার সমস্যা সমাধানের জন্য কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু ওই কমিটিতে এডুকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. দিব্যেন্দু ভট্টাচার্যকে রাখা হয়নি। এই নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে অধ্যাপক মহলে। ইতিপূর্বে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা-সহ একাধিক বিভাগের চাকরির ক্ষেত্রে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ দিকে পিএইচডি’র ভর্তিতে ওবিসি ‘এ’ সংরক্ষণ নিয়ে বিতর্কের মুখে পড়ে বারাসত স্টেট ইউনির্ভাসিটি, বিদ্যাসাগর, কাজী নজরুল, বর্ধমান সহ প্রভৃতি বিশ্ববিদ্যালয়।
ভর্তির পাশাপাশি চাকরির ক্ষেত্রেও যাতে ওবিসি ‘এ’ প্রার্থীরা একশো শতাংশ ‘রোস্টার’ মেনে সুযোগ পায়– তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতর।
সংরক্ষণ নীতি কার্যকর করতে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মানস কুমার সান্যালের দৃঢ় সংকল্প থাকলেও বাস্তবে তাঁর আমলে চরমভাবে বঞ্চিত হচ্ছে সংখ্যালঘু ওবিসি-এ ছাত্র-ছাত্রীরা।