লক্ষ্ সুভাষ ,লক্ষ্য আজ
সুমন মুন্সী
জানুয়ারিতে ডাক দিয়ে যায়, বাঘের বাচ্চা এক,
লাখো সুভাষ তৈরী আছে ,ডাক দিয়ে তো দেখ।
রক্তে লেখা স্বাধীনতা, অনেক কষ্টে পাওয়া,
বীর সুভাষের বলিদানে আজাদ হিন্দ পাওয়া।
স্বপ্নে যদি স্বপ্ন দেখি, সে তো বাস্তবে নেই মানা,
স্বাধীনতার বিকি কিনি ছিলোনা, সুভাষের জানা।
রক্ত যদি নাই দিবি , তবে কিসের দামে কিনবি সে স্বাধীনতা ?
ডাক দিয়েছে দেশমাতৃকা, তাই ঘর ছেড়েছেন নেতার নেতা।
আজাদ হিন্দের স্বপ্ন দেখে, ব্রিটিশকে দেশ ছাড়ালেন,
ভাগ করে দেশ, দূর হলো লুটেরা,তাতেও কি এলো নয়া সাভেরা ?
আধা স্বপ্নও কি পূরণ হলো? নেতাজী কে কি দেশ ভুলে গেলো ?
চারিদিকে আজ চিল, শকুন ওড়ে,স্বাধীনতার শব যেন কেঁদে মরে।
বীর সুভাষের আজাদ সেনা,
আবার তোরা ঘুরে দাড়া,
ব্রিটিশ যদিও নেইকো আজ,
সমাজে ঘুরছে ধড়িবাজ।
দেশ বেচে কি খাচ্ছে জাতি?
প্রশ্ন করে বীর আজাদ সেনানী।
সূরার পথেই সিদ্ধিলাভ,
শিকেয় তোলা বিদ্যালাভ,
জানুয়ারী লজ্জা পায়,
দেশনায়কের জন্মদিনও,
রাজনীতি থেকে ছাড় না পায়!!
লজ্জা যদি নাই পাবে, বিবেক যদি মরেই থাকে,
কিসের দামে চোকাবে বলো, বীর সুভাষের রক্তঋণ?
দ্রোহকালের বীর শ্রেষ্ঠ,
জাতির নায়ক আজও সে স্পষ্ট ।
সুভাষ তোমায় ভুলতে দেবোনা,
স্বাধীনতা ব্যর্থ হতে দেবোনা,
লক্ষ ভাইয়ের রক্তে লেখা,
স্বাধীনতার এ বীরগাথা,
পারবি নাক কাড়তে তোরা,
মেরুদন্ড আজও সোজা হেথা,
যতই কঠিন হোক না, এ লড়াই,
বীর সুভাষকেই আকঁড়ে এগোই।
হার্মাদ আর ফেরেব্বাজ,
নেতায় হলো কলুষিত সমাজ,
আছে কি কেউ আর আজাদ আজ?
দূর করবে দেশ মায়ের লাজ?
এস নতুন করে শপত, করি,
ভালোবাসায় আবার এ দেশ গড়ি।
মনে কেন আজ রাখ দীনতা?
রক্তেই দূর করবো এ মলিনতা ।
আবার, স্বপ্নের হোক এ স্বাধীনতা।
জানুয়ারী দিচ্ছে ডাক,
দেশের শত্রু নিপাত যাক,
সুভাষ আপনি দেশনায়ক হেথা,
হবে না নেতাজী, আর কোনো নেতা ।