মাছে ভাতে বাঙালী
সুমন মুন্সী
এটা জ্ঞানের প্রশ্ন নয় এটা সামাজিক প্রশ্ন আমি আর আমার বন্ধুরা মাছেদের মধ্যে বিভেদ করিনা, তাই সবাই সমান আমাদের কাছে। যদিও আমি মৎসজীবি নই, ফিশ ফ্রাই বা চিংড়ী পর্যন্ত্য দৌড়। তবে রসিক জন আমার বন্ধুদের মধ্যে প্রচুর । তাদের জন্য এই কবিতা ।
ওরা একই জলে দুইটি প্রাণী,
ইলিশ কিংবা কাতলা,
শুনলে পরে ফ্রাই হয়েছে পাবদা কিংবা তোপসে,
জিবে জল আসেছে বলে বাবু ডাকেন জোরসে ,
সরপুঁটি কি কাচকি মাছ, কিংবা গুলে, ভেটকী,
সবার সাধের জিনিস হলো চিতল মাছের পেট কি।
আর একজনও বেজায় রসিক গলদা জেনো নাম,
বনেদি আনায় মাছ না হলেও, পায় সেরার মান,
ডাবচিংড়ি, মালাইকারি কিংবা কুচো চিংড়ি লাউ,
সাধ করে মান ভাঙাতে পাতে দেয় সোনার বউ ।
আঁর, বোয়াল বা পাঙ্গাশ কেন ভাই বাদ রেখে দাও পাতে,
শুঁটকি মাছেরও জুড়ি নেই ভাই ওপার বাংলার দাওয়াতে।
রুই কাতলা রোজই চলে, এমন রসিক বাঙালী,
বাদ সেধেছে আগুন বাজার, তাই রান্না করেন বৈষ্ণবী।
ডিএ, টিএ না হলে আর মাছ থাকবে শুধুই চোখের জলে,
সেকালে মাছে ভাতে বাঙালি ছিল বেজায় স্বর্গ সুখে ।
আজকে বাজার আগুন বলে, জুটছে আলুভাতে,
তাই খেয়েই বাঙালি বিরিয়ানির ঢেকুর তোলে ।
মাছের টক, মাছের ঝাল, ফিশ ওরলি কি ফ্রী,
এসব পেলে বাঙালি বলে, এর বেশি কি চাই ।