ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করলো উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী।
বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করতে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হচ্ছে। ভারত সবসময়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করে আসছে এবং তা অব্যাহত রাখবে। ভারতের বর্ডার গার্ডিং ফোর্স, বিএসএফ এবং বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডিং ফোর্স, বিজিবির মধ্যে সবসময়ই সৌহার্দ্যপূর্ণ ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সীমান্তে যেকোনো ধরনের চোরাচালান ও অবৈধ কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে বিএসএফ ও বিজিবি উভয়ই একত্রে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। উভয় বাহিনী প্রতিটি মুস্কিল পরিস্থিতিতে একে অপরের সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখে।
স্বাধীনতার অমৃত উৎসব হল এর উপলক্ষ্য
ভারত এ বছর স্বাধীনতার অমৃত মহোৎসব উদযাপন করছে। যার কারণে এই প্রীতি ফুটবল ম্যাচের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। এই উপলক্ষকে স্মরণ করার জন্য, বিএসএফ এর দক্ষিণবঙ্গ ফ্রন্টিয়ার ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ তারিখে ৮৬ ব্যাটালিয়ন, সেক্টর বহরমপুরের সীমা চৌকি শিকারপুরের এলাকায় একটি বন্ধুত্বপূর্ণ ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করে।
সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার (বিএসএফ) এর মহাপরিদর্শক ড. অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস ম্যাচের উদ্বোধন করেন। শ্রী রাজেশ কুমার মিশ্র, ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল, সেক্টর বহরামপুর এবং অন্যান্য উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সহ আশেপাশের গ্রামের বিপুল সংখ্যক মানুষ ম্যাচটি দেখতে উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ থেকে ব্রিগেডিয়ার মহিউদ্দিন মোহাম্মদ জাবেদ, পিএসসি ডিরেক্টর, মোহাম্মদ আরিফুল হক এবং ১৪ জনের একটি প্রতিনিধি দল ম্যাচটি প্রত্যক্ষ করেন।
এছাড়াও শ্রী বিমলেন্দু সিংহ রায়, বিধায়ক করিমপুর, জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দ, আশেপাশের গ্রামের গ্রাম প্রধান, স্থানীয় পুলিশ, শিকারপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক, জাতীয় ও স্থানীয় সংবাদ চ্যানেলের সাংবাদিকরাও উপস্থিত ছিলেন।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের পর প্রায় ১৫০০ টায় ম্যাচটি উদ্বোধন করা হয়। সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ৯০ মিনিটের ম্যাচে, বিএসএফ দল ৫- ০ গোলে জয়লাভ করে এবং শান্তিপূর্ন ভাবে ম্যাচটি শেষ করে।
সবশেষে ডাঃ অতুল ফুলঝেলে, আইপিএস, মহাপরিদর্শক, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত বিএসএফ এবং ব্রিগেডিয়ার মহিউদ্দিন মোহাম্মদ জাবেদ পিএসসি, বিজিবি তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। দুই দেশের জনগণ প্রীতি ফুটবল ম্যাচের প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতেও এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার দাবি জানান।