মহালয়ার মাহাত্ম্য শ্রবণে নয় ………তর্পণে।
ডাঃ রঘুপতি সারেঙ্গী।
‘মহালয়া’ শব্দটি একটি সমাষ -বদ্ধ পদ যা”র মানে হয় ‘মহৎ যে আলয়’। ‘মহৎ’ বলতে স্বর্গ-লোক, পিতৃ-লোক, গন্ধর্ব-লোক এরকম কোনো না কোনো পরলোক কে বুঝানো হচ্ছে…. যেটা কর্ম অনুসারে কোনো বিদেহী-আত্মা’র নিত্য বাসস্থল। মনুজী তাঁর সংহিতা তে উল্লেখ করেছেনঃ
” সোমপা নাম বিপ্রাণাং ক্ষত্রিয়াণাং হবির্ভুজঃ।
বৈশ্যানাম্ আজপ্যা নাম শূদ্রাণাস্তু সুকালিনঃ।।”
সনাতন ধর্মের অভিমত, বছরের এই নির্দিষ্ট মুহূর্তে পূর্ব-পূর্ব পিতৃ-পুরুষেরা পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন পরবর্তী পুরুষ দের হাতে জল ও পিণ্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে পরিতৃপ্ত হওয়ার আশায়।
এমন কথাও স্পষ্ট করা আছে….. “দেবকার্য্যাদ্দ্বিজাতীনাং পিতৃকার্য্যং বিশিষ্যতে।”….দেব-কার্য্য অপেক্ষাও পিতৃ-কার্য্য কে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
গঙ্গার ঘাটে-ঘাটে সাদা-ধুতি পরে তিল ও কুশ হাতে “…………স্বধা নমস্তর্পয়ামি ” মন্ত্র বলতে বলতে গন্ডুষ ভরে জল নিয়ে শ্রদ্ধাভরে পিতৃপুরুষদের উদ্দেশ্যে অর্পণ করা তো কোনো বিরল দৃশ্য নয়।
মহাভারত এ আছে, মৃত্যুর পর কর্ণের আত্মা পরলোকে গমন করলে তাঁকে খাদ্য হিসেবে স্বর্ণ ও রত্ন দেওয়া হয়েছিলো। কর্ণ এর কারণ জিজ্ঞাসা করলে তাঁকে বলা হয়, তিনি সারা জীবন স্বর্ণ ও রত্ন দান করেছেন, কিন্তু প্রয়াত পিতৃ গণের উদ্দেশ্যে কখনও খাদ্য বা পানীয় দান করেননি। তাই স্বর্গে খাদ্য হিসেবে তাঁকে সোনাই দেওয়া হয়েছে। বিমর্ষ কর্ণ বলেন, তাঁর পিতৃপুরুষ কারা সেটা তো তিনি মৃত্যুর মাত্র একদিন আগেই জানতে পেরেছেন। তার দোষ কোথায়! ধর্মরাজ, যম তখন বুঝতে পারেন, সত্যিই , এতে কর্ণের কোনো দোষ নেই। এই কারণে কর্ণকে পক্ষকালের জন্য ফের মর্ত্যে ফিরে পিতৃলোকের উদ্দেশ্যে অন্ন ও জল প্রদান করার অনুমতি দেওয়া হয়! এই পক্ষই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয়। আর সেই থেকে সনাতন ধর্মের মানুষের মধ্যে তর্পণ করার প্রথা চালু হয়।
পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের তিথি ও প্রকার নির্দিষ্ট। জাতি ও স্ত্রী-পুরুষ নির্বিশেষে তর্পণ করার অধিকার সবারই আছে। এ এক অবশ্য করণীয়।
কারণ হিসাবে বলা হয়েছে ………..
” নাস্তিক্য-ভাবাৎ যশ্চাপি ন তর্পয়তি বৈ সুতঃ।
পিবন্তি দেহরুধিরং পিতরো বৈ জলার্থিনঃ।। “
……….. নাস্তিক্যে দেখিয়ে যে সব পুত্র পূর্বতন দের উদ্দেশ্যে সামান্য তিল-জল দান করে তৃপ্ত করে না তাদের আয়ু, বল, ধর্ম ও স্বাস্থ্য- হানি অবশ্যম্ভাবী।
পরিশেষে যে কথাটি স্মরণ না করালেই নয় তা হোল মহালয়ার সাথে দেবী-পূজার সরাসরি কোথাও কোনো সম্পর্ক নেই। যদিও কথিত আছে, মহালয়া’র দিনেই শ্রী শ্রী চণ্ডী’র আবির্ভাব হয়েছিল। তাই “মহিষ-মর্দিণী” পাঠে বা অনুষ্ঠানে দোষের ও কিছু নেই। আবার, মহালয়া কে শারদীয়া দুর্গোৎসব এর অবিচ্ছেদ্য-অঙ্গ ভাবা টাও যুক্তিযুক্ত নয়। এই একই যুক্তিতে পিতৃ-পুরুষদের স্বাগত না জানিয়ে মহালয়াতে বন্ধুদের শুভেচ্ছা জানানো টাও ঠিক কতটা জরুরী জানা নেই।
Coochbehar is known for many historic places like the Raj Bari (King’s Palace) , Madan Mohan Temple, Rashikbill, and many more but if someone wants to know about healthcare and humanity many people are there among them one prominent personality is Doctor Raghupati Sharengi a Homeopath by education and profession.

He is better known as a people’s doctor around Coochbehar. His followers believe him like doctors with Midas Touch.
He is originally from a remote village in the erstwhile Midnapore district. He loved homeopathy from his childhood and took his passion in order to the profession. He got a degree in Homeopathic Medicine from the University of Calcutta with the highest marks in the exam. After service with a homeopathy college in Kolkata, he took the government service in north Bengal and started his crusade with the pain and agony of disease through Homeopathy.
At present, he is associated with a health center under Coochbehar District with West Bengal Government Health Unit.
We are proud to welcome him as our Homeopathic Medicine Honorary Editor.
IBG NEWS will try to help people with Doctor’s Question & Answer kindly send your questions to [email protected] and Doctor will reply through his columns.