কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণা বিশ্ব দরবারে
কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬২তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল মঙ্গলবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিদ্যাসাগর সভাগৃহে এই সংক্রান্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মানসকুমার সান্যাল। অনুষ্ঠান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন কৃতি বিজ্ঞানীকে সংবর্ধনা জানানো হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র-ছাত্রী, গবেষক, শিক্ষাকর্মী ও আধিকারিকবৃন্দ।
এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রাক্তন অধ্যাপক ড. কে সি মজুমদার ও অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান খোদাবক্সকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদ হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মনিরুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়কেও সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীরা নৃত্য, আবৃত্তি ও সংগীত পরিবেশন করে। সমাপনী বক্তব্য এবং কবিতা আবৃত্তি করে সকলকেই মুগ্ধ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তর অনুষদ সমূহের সচিব ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়।
বিশ্বের বিজ্ঞান চর্চার দরবারে এবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচজন অধ্যাপকের গবেষণা স্থান করে নিয়েছে। এই কৃতিত্ব স্বাভাবিকভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুকুটে নতুন পালক যোগ করল। সম্প্রতি ক্যালিফোর্নিয়ার স্ট্যান্ডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বিশ্বের সর্বোচ্চ দু’শতাংশ বিজ্ঞানীর নামের তালিকা প্রকাশ করেছে। মূলত গবেষণার মান ও অন্যান্য মাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে এই তালিকা প্রস্তুত হয়। সেখানে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’জন প্রাক্তন অধ্যাপকের নাম রয়েছে, তাঁরা হলেন অধ্যাপক ড. কে সি মজুমদার ও অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান খোদাবক্স। এছাড়াও ওই তালিকায় রয়েছেন তিনজন বর্তমান অধ্যাপক। তাঁরা হলেন উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহিদ হোসেন, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. শেখ মনিরুল ইসলাম এবং কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. অনির্বাণ মুখোপাধ্যায়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মানসকুমার সান্যাল বলেন, এই পাঁচ অধ্যাপক বিশ্ববিদ্যালয়কে গর্বিত করেছে। আমি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আশা করি, আগামী দিনেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অধ্যাপক ও গবেষকের নাম এমন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে। বিশ্ব দরবারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সাফল্যের কথা প্রকাশের পাওয়ায় ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে গবেষক, আধিকারিক, শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা ভীষণ খুশি।