বিএসএফের আরেকটি সাফল্য ৬২.৮০ লক্ষ টাকা মূল্যের ০৯ টি সোনার বিস্কুট সহ ০২ চোরাকারবারী গ্রেফতার
(জেলা-নদিয়া)
২৩ জুলাই, ২০২৩-এ, দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তের ৮৪ ব্যাটালিয়নের জওয়ানরা, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে কাজ করে, ০৯ টি সোনার বিস্কুট সহ ০২ জন চোরাকারবারীকে ধরেছিল। জব্দ করা সোনার ওজন ১০৪৯.৩৯ গ্রাম এবং এর আনুমানিক মূল্য ৬২,৪০,৫৯৯/- টাকা।
উল্লেখ্য ৮৪ ব্যাটালিয়ন, মহতপুরের জওয়ানরা খবর পেয়েছিলেন যে ০২ জন চোরাকারবারী নজিপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সোনা নিয়ে একটি বাসে (রেজি নং WB A১৩৩৭) উঠেছে এবং তারা এই বাসে কলকাতা যাচ্ছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেতাই বাসস্ট্যান্ড থেকে ০২ জন বিএসএফ জওয়ানও ওই বাসে বসে চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে তাদের নজরদারি শুরু করে। বাসে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জওয়ানরা ব্যাটালিয়ন হেডকোয়াটারে খবর দেয়। বাসটিব্যাটালিয়ন হেডকোয়াটারে সামনে পৌঁছানোর সাথে সাথে সেখানে আগে থেকেই বিএসএফের একটি তল্লাশি দল উপস্থিত ছিল। জওয়ানরা বাস থামিয়ে দুই পাচারকারীকে বাস থেকে নামিয়ে ব্যাটালিয়ন হেডকোয়াটারে নিয়ে যায়। তারপরে, জওয়ানরা চোরাকারবারিদের পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তল্লাশি চালায় এবং তাদের কাছ থেকে ০৯ টি সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত করে। এসব বিস্কুট প্যান্টের নিচে কোমরে বেঁধে রেখেছিল চোরাকারবারীরা। গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারিরা হলেন শাহজাহান মন্ডল, নজিপুর এবং আশিফুর আহমেদ মন্ডল, প্রতাপনগর, জেলা নদীয়া।
জিজ্ঞাসাবাদে চোরাকারবারীরা জানায়, তারা বাপন মন্ডল ও জায়েদুল শেখের কাছ থেকে এসব সোনার বিস্কুট পেয়েছে। তারা দুজনেই নদীয়ার প্রতাপনগরের বাসিন্দা। এরপর তিনি কলকাতায় নেতাই নামে এক ব্যক্তির কাছে এই সোনা তুলে দিতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু বিএসএফ জওয়ানরা তাদের পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।
গ্রেফতারকৃত চোরাকারবারী ও জব্দকৃত স্বর্ণ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম অফিস তেহাট্টায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বি.এস.এফ সীমান্তে বসবাসকারী লোকদের বিএসএফ-এর সীমা সাথী হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করার আহ্বান জানিয়েছে। আপনি ১৪৪১৯ এ রিপোর্ট করতে পারেন। এ ছাড়া দক্ষিণবঙ্গ সীমান্তে আরও একটি নম্বর ৯৯০৩৪৭২২২৭ জারি করা হয়েছে যার উপর স্বর্ণ চোরাচালান সংক্রান্ত হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ বা ভয়েস মেসেজও পাঠানো যাবে। সঠিক তথ্য প্রদানকারী ব্যক্তিকে উপযুক্ত পুরস্কারের অর্থ প্রদান করা হবে এবং তার পরিচয় গোপন রাখা হবে।