জনসচেতনতা বৃদ্ধিই আনমাস্ক ক্যানসারের প্রধান উদ্দেশ্য : ডাঃ সুরিন্দর ভাটিয়া
হীরক মুখোপাধ্যায়
কোলকাতা (২ ফেব্রুয়ারী ‘২৪):- ‘বিশ্ব ক্যানসার দিবস’ (World Caner Day)-এর প্রেক্ষাপটে ক্যানসার বিজেতা ব্যক্তিদের নিয়ে আজ ‘আনমাস্ক ক্যানসার’ (Unmask Cancer) শীর্ষক এক সচেতনতা অনুষ্ঠান (Awerness Programme) উদযাপন করল কোলকাতার ‘অ্যাপোলো ক্যানসার সেন্টার’ (Apollo Cancer Center, Kolkata)।
অ্যাপোলো গ্রুপের তরফে ডাঃ সুরিন্দর ভাটিয়া (Dr. Surinder Bhatia) জানান, “ক্যানসার রোগের ক্ষেত্রে জনসচেতনতা সব থেকে বেশি প্রয়োজনীয়। অন্যান্য রোগের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র রোগটাকে চিকিৎসা করলেই চলে কিন্তু ‘ক্যানসার’-এর ক্ষেত্রে রোগীর রোগের পাশাপাশি রোগীর পরিবারকেও অজ্ঞতা, লোকলজ্জা, সামাজিক বিড়ম্বনা তথা অর্থনৈতিক সহায়তা প্রাপ্তির ক্ষেত্র সহ নানান বিষয়ে বোঝাতে হয়। এই জন্য ক্যানসারের মারণ ছোবল থেকে বেঁচে আসা ব্যক্তিদের সামনে রেখেই ‘আনমাস্ক ক্যানসার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।”
ডাঃ ভাটিয়া ছাড়াও আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ তানবীর শাহিন, ডাঃ ইন্দ্রনীল ঘোষ, ডাঃ বিভাস বিশ্বাস সহ কোলকাতার ‘অ্যাপোলো ক্যানসার সেন্টার’-এর সাথে জড়িত একাধিক চিকিৎসক।
‘আনমাস্ক ক্যানসার’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে উপস্থিত ৬২ বছরের জনৈকা ক্যানসার বিজয়ী গায়ত্রী চ্যাটার্জী জানান, “সমাজে টিবি রোগ নিয়ে ছুঁৎমার্গ থাকলেও ক্যানসার নিয়ে রোগীর সামনে এসে কেউ কিছু না বললেও রোগীর পিছনে যে চর্চা হয় তা আজও যথেষ্ট বেদনাদায়ক। এই ধরণের অনভিপ্রেত চর্চা না হওয়াটাই সবথেকে ভালো।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে ‘ইণ্ডিয়ান ক্যানসার সোসাইটি’-র তরফে ডাঃ অরুন্ধতী দে (Dr. Arundhati De, Indian Cancer Society) জানান, “যেই মুহূর্তে একজন রোগী জানতে পারছেন তিনি ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই সময়ে তাঁকে মানসিকভাবে শক্তি যোগানো এবং রোগ শনাক্তকরণের পর চিকিৎসার বিভিন্ন ধাপে তাঁকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে আশ্বস্ত করাটাই ‘আনমাস্ক ক্যানসার’-এর অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য।”