ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে মাটির প্রদীপ বানাচ্ছেন মৃৎশিল্পীরা
পল মৈত্র ,দক্ষিণ দিনাজপুর : সারা ভারত জুড়েই এখন চিনে ইলেকট্রিক প্রদীপের বাহুল্য মাটির প্রদীপের সাঁঝের বাতি আজ তাই অতীত স্মৃতি ।
ঐতিহ্যের মাটির প্রদীপ হারিয়ে যেতে বসেছে ডিজিটাল যুগে। তবু মনে পরে সেই সব দিন উৎসবের এই কটা দিন সামান্য হলেও জ্বলে সাঁঝের প্রদীপ ।
তাই হাতে বানানো গ্রাম বাংলার মাটির প্রদীপ থেকে মুখ ফিরিয়েছে অনেকে। কিন্তু, চাহিদা কমলেও পূর্বপুরুষের স্মৃতি ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে আজও মাটির প্রদীপ তৈরি করে আসছেন দক্ষিন দিনাজপুর জেলার মৃৎশিল্পীরা।
একসময় দীপাবলিতে প্রদীপের বাজার ছিল রমরমা। এখন একরকম লাভ হয় না বললেই চলে। বছর কয়েক আগে থেকেই বাজারে ছেয়ে গেছে চায়না লাইট। ধীরে ধীরে তা বাজার দখল করতে থাকে। যুগের বিবর্তনের সঙ্গে বর্তমানে এলইডি আলো বাজার দখল করেছে।
তার মধ্যেমধ্যেও মৃৎশিল্পীরা প্রদীপ তৈরি করে চলেছেন । মাটি থেকে সবই কিনতে হয়েছে। একটা প্রদীপ তৈরি করে তা পোড়ানোর পর বাজারজাত করতে খরচ পড়ে ৩০-৪০ পয়সা। আর সেই প্রদীপ বিক্রি হয় ৪০-৫০ পয়সায়। প্রদীপ বিক্রি করে লাভের মুখ খুব কমই দেখেন। তাই লাভের আশায় নয়, এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতেই মাটির প্রদীপ তৈরি করছেন তাঁরা। জয় পাল নামে এক মৃৎশিল্পী বলেন, আগের মত মাটির প্রদীপের আর চাহিদা নেই। বাজার ছেয়ে গেছে চায়নার এলইডি লাইটে। মাটির তৈরি প্রদীপ টেক্কা দিতে পারছে না।
আগে এক একজন ১০০-২০০ করে মাটির প্রদীপ নিত। সেখানে এখন ৪-৫টা বা ১০টা করে নেয়। কালীপুজো বা দীপাবলির জন্য একটু বেশি করে মাটির প্রদীপ তৈরি করেন। তাঁদের ছেলেরা এই সব কাজ করেন না। যতদিন পারবেন তিনি নিজেই কাজ করে যাবেন বলে জানান।