সর্বভারতীয় সাহিত্য সম্মেলনের শেষ দিনে উড়িষ্যার কাটাভাঞ্জির বিধায়ক হাজী মোহাম্মদ আয়ুব খান স্মারক সম্মান তুলে দিলেন সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ-এর হাতে
সংবাদদাতা, কলকাতা:
২৮ অক্টোবর ২০১৮ রবিবার নিখিল ভারত শিশু সাহিত্য সংসদের ৪০-তম উড়িষ্যায় সর্বভারতীয় সাহিত্য সম্মেলনের শেষ দিনে উড়িষ্যার বোলানগির জেলার কাটাভাঞ্জির বিধায়ক হাজী মোহাম্মদ আয়ুব খান স্মারক সম্মান তুলে দিলেন সাহিত্যিক ফারুক আহমেদ-এর হাতে।
উড়িষ্যায় নিখিল ভারত শিশু সাহিত্য সংসদের ৪০-তম সর্বভারতীয় সাহিত্য সম্মেলনে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাহিত্যিক তথা উদার আকাশ পত্রিকার সম্পাদক ফারুক আহমেদ।
নিখিল ভারত শিশু সাহিত্য সংসদের ৪০-তম উড়িষ্যায় সর্বভারতীয় সম্মেলনে সাহিত্যিক ফারুক আহমেদকে মানপত্র ও স্মারক দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
শনিবার নিখিল ভারত শিশু সাহিত্য সংসদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট কবি ও শিশু সাহিত্যিক আনসার উল হক, প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক নরেন্দ্র প্রসাদ দাস, ভাইস প্রেসিডেন্ট ডক্টর যুগলকিশোর সারেঙ্গী ও অর্গানাইজিং সেক্রেটারি বিরিঞ্চি নারায়ন দাস সহ অন্যান্য নেতৃত্ব জাতীয় স্তরের এই মহাসম্মেলনে সাহিত্যিক ফারুক আহমেদকে মানপত্র ও কিটস্ তাঁর হাতে তুলে দিয়ে সম্মানিত করলেন।
উড়িষ্যার কাটাভাঞ্জিতে নিখিল ভারত শিশু-সাহিত্য সংসদের ৪০ তম সম্মেলন সফল করতে পশ্চিমবাংলা থেকে ৩০ জনের বেশি কবি সাহিত্যিক আমন্ত্রিত হয়ে উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন সফল করতে দেশ ও বিদেশ থেকে ১৭৫ জনের বেশি কবি ও শিশু সাহিত্যিক উপস্থিত হয়েছিলেন।
ত্রিপুরা থেকে এসেছিলেন বেশ কিছু কবি ও সাহিত্যিক তাঁদের মধ্যে কবিতা পাঠে ও আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন অমলকান্তি চন্দ, অপাশু দেবনাথ, দেবব্রত দেবরায়, নিয়তী রায় বর্মণ, রীতা শিব, সোনালী রায় বাগচী, শ্যামল কান্তি দে, রতন আচার্য, বীতিকা চৌধুরী।
উড়িষ্যার বোলানগির জেলার কাটাভাঞ্জি শহরে নিখিল ভারত শিশু-সাহিত্য সংসদের ৪০-তম সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয় শনিবার ২৭ অক্টোবর। এই জাতীয় স্তরের সম্মেলন চলবে ২৮ অক্টোবর রবিবার পর্যন্ত।
দু-দিন ধরে শিশু-সাহিত্যের নানান দিক, বর্তমান পরিস্থিতি, শিশু-সাহিত্যের ভবিষ্যৎ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে সেমিনার ও আলোচনা প্রথম দিনেই সকলকে মুগ্ধ করল।
দু-দিন ধরে কবিতা ও ছড়া পাঠ সহ নানান অনুষ্ঠানও চলবে। সারা দেশের শিশু-সাহিত্যিকগণ সহ বাংলাদেশ থেকেও অংশগ্রহণ করছেন বহু কবি ও সাহিত্যিক।
পশ্চিমবাংলা থেকে যে সমস্ত কবি-সাহিত্যিক উপস্থিত হয়েছিলেন এই মহা সম্মেলন সফল করতে তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ফারুক আহমেদ, স্বপন পাল, প্রণবেন্দু বিশ্বাস, সত্যপ্রিয় মুখোপাধ্যায়, কৃষ্ণলাল মাইতি, মোহনলাল কাপড়ী, আমীরুল ইসলাম চৌধুরী,লালমিয়া মোল্লা, জ্যোতির্ময় সরদার, তারাশঙ্কর চক্রবর্তী, প্রদীপকুমার পাল, দেবাশিস মণ্ডল, রমজানবিন মোজাম্মেল (বাংলাদেশ), তাপস সাহা,মুকুল চক্রবর্তী, পলাশ পাঁজা,প্রবীররঞ্জন মন্ডল, তাপস মিত্র, নীহাররঞ্জন সেনগুপ্ত,মিনতি গোস্বামী, ঝর্ণা মুখার্জি, রবীন পার্থ মন্ডল, বেলা চ্যাটার্জি, সুমন বিশ্বাস, জাহাঙ্গীর দেওয়ান, ধীরেন্দ্রনাথ রায়, অমলেন্দু বিকাশ দাস, আবু নাসের আবদুল হাই ছিদ্দেকী, মেঘনাথ বিশ্বাস, শীতল চট্টোপাধ্যায়।
বিশিষ্ট সাহিত্যিক ও সম্পাদক ফারুক আহমেদ জাতীয় স্তরের মহাসম্মেলনে দুর্দান্ত বক্তব্য রাখলেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে জোরের সঙ্গে বললেন “ছোট থেকেই শিশুদেরকে সঠিক শিক্ষা দিতে হবে এবং বিজ্ঞানমনস্ক ছড়ার মাধ্যমে তাদেরকে উচ্চ শিক্ষিত করার ভিত তৈরি করতে হবে।” এছাড়াও তিনি আরও মূল্যবান কথা তুলে ধরেন এদিন।