সর্বভারতীয় নবচেতনার আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন ড. মীরাতুন নাহার
বিশেষ প্রতিবেদক
ড: হুমায়ুন কবির একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন মানুষের জন্য কিছু করার, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য, শুধু মাত্র ক্ষুদ্র ধর্মীয় বা সামাজিক নির্দিষ্ট একটি গোষ্ঠীর নয় সকলের কল্যাণ এর জন্য কিছু করার । সেই ভাবনা থেকেই রাজনৈতিক রং বর্জিত সংগঠনের সূচনা । পাশে পেলেন যোগ্য তরুণ তুর্কী সমাজসেবী ফারুক আহমেদকে । ফারুক আহমেদ সহ বহু বিশিষ্ট জন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এলেন এই কাজে ।এই মহতী উদ্যোগের সূচনা, নিশ্চিত করে আজ এক নতুন যুগের আহবান করলো কলকাতার আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্ক সার্কাস ক্যাম্পাসে ।
“সর্বভারতীয় নবচেতনা”র আনুষ্ঠানিক আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠানে বহু বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত হয়েছিলেন। এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নারী কল্যাণের অগ্রদূত রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে স্মরণ করা হয়। ৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ রবিবার দুপুরে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় পার্ক সার্কাস ক্যামপাসের অডিটোরিয়ামে সর্বভারতীয় নবচেতনার আনুষ্ঠানিক আত্নপ্রকাশ অনুষ্ঠানে রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনকে নিয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন বাংলার রোকেয়া গবেষক ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. মীরাতুন নাহার।
সর্বভারতীয় নবচেতনার কাজ ও উদ্দেশ্য নিয়ে বক্তব্য রাখেন সর্বভারতীয় নবচেতনার সভাপতি ড. হুমায়ুন কবীর, মোঃ নিজাম শামিম, আইপিএস, নিশাত পারভেজ, আইপিএস, ডিআইজি, সিআইডি, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবন্ধক ড. নুরশেদ আলি, নদীয়া জেলার পিপি নাসির উদ্দিন আহমেদ, আইনজীবি ইনতাজ আলি শাহ, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সমাজকর্মী পতাকা শিল্পগোষ্ঠীর ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম খান, ড. খাজা আলি আহমেদ, জাহাঙ্গীর আলম, আজাদ মহলদার, শামসুল আলম, কাজী সিরাজুল ইসলাম, পীরজাদা সৈয়দ রুহুল আমিন, পীরজাদা খোবায়েব আমিন, অধ্যাপক বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, সুমন মুন্সি, নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন-এর উপর সেমিনারে বললেন ড. মীরাতুন নাহার ও ড. আমজাদ হোসেন।
“উদার আকাশ রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন স্মারক সম্মাননা ২০১৮” প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সাংবাদিক ও অধ্যাপক সুমন মুন্সিকে।
কবিতা পড়লেন কবি আরফিনা।
সংগীত পরিবেশন করলেন সংগীতশিল্পী পলাশ চৌধুরী।
উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মফিকুল ইসলাম, খালেদ ইবাদুল্লাহ, ফারহাদ হোসেন, চৌধুরী হামিম রৌশন, নরুল হক, সাজ্জাদ আলি, গোলাম কিবরিয়া, তাজমত শেখ, সামিউল হক, মাসুদুর রহমান, সাবির আলি, তানবীর ইসলাম খান, সবনম হোসেন, অধ্যাপক সাইফুল্লাহ সহ বহু বিশিষ্ট মানুষ এসেছিলেন।
Nabachetana – Inauguration Ceremony 29 Nabachetana – Inauguration Ceremony 28 Nabachetana – Inauguration Ceremony 27 Nabachetana – Inauguration Ceremony 26 Nabachetana – Inauguration Ceremony 25 Nabachetana – Inauguration Ceremony 24 Nabachetana – Inauguration Ceremony 23 Nabachetana – Inauguration Ceremony 21 Nabachetana – Inauguration Ceremony 20 Nabachetana – Inauguration Ceremony 18 Nabachetana – Inauguration Ceremony 17 Nabachetana – Inauguration Ceremony 16 Nabachetana – Inauguration Ceremony 13 Nabachetana – Inauguration Ceremony 11 Nabachetana – Inauguration Ceremony 10 Nabachetana – Inauguration Ceremony 9 Nabachetana – Inauguration Ceremony 8 Nabachetana – Inauguration Ceremony 7 Nabachetana – Inauguration Ceremony 6 Nabachetana – Inauguration Ceremony 4 Nabachetana – Inauguration Ceremony 3 Nabachetana – Inauguration Ceremony 2 Nabachetana – Inauguration Ceremony 1 Nabachetana – Inauguration Ceremony 29
সকল সচেতন মানুষ সর্বভারতীয় নবচেতনাতে যুক্ত হতে পারেন। ড. হুমায়ুন কবীর আইপিএস সাহেব “সর্বভারতীয় নবচেতনা” প্লাটফর্ম সৃষ্টির উদ্দেশ্যগুলি তুলে ধরেছেন।
১. মুসলিম ও অনগ্রসর যুব সম্প্রদায়ের সার্বিকভাবে মুসলিম ও অনগ্রসর সমাজের মধ্যে শিক্ষার উন্নয়ন ঘটানো। আমরা ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে নই, বরং যুব সমাজের মধ্যে শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এর অপরিহার্যতা আমরা স্বীকার করি। কিন্তু মুসলিমদের সামাজিক ক্ষেত্রে ও ব্যক্তিজীবনে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ব্যাপারে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা। আমাদের এই প্লাটফর্মের উদ্দেশ্য হল মুসলিম ও অনগ্রসর ছাত্র/যুব সম্প্রদায়কে সেই লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা ও উদ্বুদ্ধ করা।
২. লক্ষ্য করা গেছে যে পশ্চিমবঙ্গের মুসলিম সমাজের একাংশ ও অনগ্রসরদের বিভিন্ন ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক অপরাধ, বিভিন্ন বে আইনি কাজের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের এই সব মন্দ ক্ষেত্র থেকে বিরত রাখার আপ্রাণ প্রচেষ্টা করা।
৩. আরো দেখা যাচ্ছে যে, মুসলিমরা ও অনগ্রসরা ভবিষ্যত বিষময় ফলাফলের কথা চিন্তা না করেই ব্যাপকভাবে বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্রিয়াকলাপ, রাজনৈতিক হানাহানি এবং অন্য অনেক অবৈধ কাজে নিজেদের জড়িয়ে ফেলছে। মুসলিম সমাজে এর ফল হচ্ছে মারাত্মক। অনেক মুসলিম ও অনগ্রসরা এতে প্রাণ হারাচ্ছে, অনেকে আহত হচ্ছে, আবার অনেকেই মামলা-মোকদ্দমায় জড়িয়ে যাচ্ছে, যার প্রত্যক্ষ কুফল সেই মুসলিম ও অনগ্রসর পরিবারগুলিকে এবং সার্বিকভাবে মুসলিম সমাজকে ভুগতে হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করবো তাদের এই খারাপ পথ ও পন্থাগুলির কুফল সম্পর্কে বুঝিয়ে সুপথে ফিরিয়ে আনতে।
৪. আমরা আন্তরিকভাবে মুসলিম যুবসমাজের জীবনের মানোন্নয়নের প্রচেষ্টা চালাবো।
৫.আমরা কঠোরভাবে নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে এবং অন্য সমস্ত জাতি,ধর্ম, বর্ণের সব মানুষের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রেখে সহনশীলতার মহান আদর্শ বজায় রাখবো।
৬. আমরা কখনো কারো প্রতি ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক একদেশদর্শীতা দেখাবো না।
৭. এককথায়, আমরা কখনোই সমাজের কারো প্রতি খারাপ মনোভাব পোষণ করবো না।
৮. আমাদের লক্ষ্য হবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাময় সমাজে টিকে থাকার পথ অনুসন্ধান,অনুসরণ এবং সরকারি ক্ষেত্রে যে সব সুযোগ সুবিধা আছে সেগুলি সম্বন্ধে কওমের সকলকে সচেতন করা।
৯. আমরা চেষ্টা করবো ক্রমবর্ধমান অসহিষ্ণুতা ও সাম্প্রদায়িক আগ্রাসন থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখার।
১০. আমাদের এই প্লাটফর্ম আমাদের সম্প্রদায়ের মানুষকে সময় সময় দেশের উন্নয়নের ও অগ্রগতির হালহকিকত সম্পর্কে অবগত করে এবং এ বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে নিজেদের এগিয়ে যাবার পন্থা অনুসন্ধান করবে।
১১. সমস্ত ধরণের মুসলিম সংগঠন, সে শিক্ষা, সমাজ, ধর্মীয় বা ধর্মনিরপেক্ষ যে কোনো ধরণের ই হোক না কেন, তাদের সঙ্গে যোগসুত্র গড়ে তোলা।
আমাদের লক্ষ্য হবে বেশি সংখ্যক মুসলিম ও অনগ্রসর সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছানো।
যদি আমরা সকলে ঐক্যমত হই এবং কাজ করি, তাহলে ভবিষ্যতে সমাজের এই দুর্বল শ্রেণীর কাছে পৌঁছে তাদের তুলে আনতে পারবো।
মুসলিমদের ও অনগ্রসরদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে এবং মুসলিম সমাজের উন্নয়নের জন্য আমরা এমন একটি প্লাটফর্মের প্রয়োজনীতা অনুভব করেছি যাতে আমরা এই সমাজের উন্নয়নের জন্য আমাদের দাবী-দাওয়া সমন্বিত জোরালো আওয়াজ তুলতে পারি।
কিন্তু আমাদের সদস্যদের সদা সতর্ক ও সাবধান থাকতে হবে যে আমরা অন্য সম্প্রদায়ের মানুষের প্রতি যেন কোনোরূপ ঘৃণা বা বিদ্বেষ পোষণ না করে ফেলি।
সকলের প্রতি আমাদের বিনম্র ও শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। আর অন্য যে বিষয়টি আমাদের বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে তা হল, আমরা দেশের আইন কে মর্যাদা ও সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলবো।আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য পূরণে আমরা বিনীত ও বিনম্রভাবে এগিয়ে যাবো। এই বিনীত-বিনম্র কিন্তু দৃঢ় পদক্ষেপই আমাদের সাফল্য লাভের পথ হয়ে উঠবে।
“সর্বভারতীয় নবচেতনা”র আহ্বায়ক ফারুক আহমেদ সংযোজন করে বললেন এই মুহূর্তে বাংলার ২৩ টি জেলায় “সর্বভারতীয় নবচেতনা” মানুষের কল্যাণে যে সব বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
১. ল সেল (আইনি সহায়তা দান)।
২. মেডিক্যাল সেল (চিকিৎসা সহায়তা দান)।
৩. শিক্ষা সেল (আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে সহায়তা)।
৪. কেরিয়ার কাউনসেলিং সেল (চাকরি পাওয়ার জন্য বা জীবিকায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য সুপরামর্শ দিয়ে সহায়তা)।
৫. সোশাল জাস্টিস সেল (সামাজিক ন্যায়বিচার পেতে সহায়তা)।
৬. মিডিয়া সেল (মত ও নীতি প্রচার সেল) ইত্যাদি।
সর্বভারতীয় নবচেতনাতে যুক্ত হতে চাইলে হটস্ অ্যাপ করুন এই নম্বরে 7003821298