৩০শে এপ্রিল ১৯৮২ লালসন্ত্রাস ও আনন্দমার্গী হত্যার করুন ইতিহাস
সুনন্দ মিত্র, কলকাতা, ৩০শে এপ্রিল ২০২১:
পুরাণে রাক্ষসদের কথা আমরা সবাই শুনেছি তাহলে কি রাক্ষসরা শেষ হয়ে গেছে? না তারা এখন বিদ্যমান মানুষের রূপ ধরে। যদি তা নাই হত তাহলে বারংবার নিরস্ত্র সাধুসন্তদের আক্রমণ হত না। আজ ৩০শে এপ্রিল আজকের দিনেই সংগঠিত হয়েছিল্ সেই নৃশংস হত্যালীলা, ১৯৮২ সালে ১৬জন সন্যাসী ও একজন সন্যাসিনিকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছিল। কেন? তার কারণ নিচে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।
এই হত্যাকাণ্ডে কান্তি গাঙ্গুলি, সোমনাথ চ্যাটার্জিসহ অনেক বড় নামও জড়িয়ে গেছিলো। “মার্গিদের কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে ট্যাক্সি থেকে বের করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
জাস্টিস অমিতাভা লালা জুডিশিয়াল কমিশনের সামনে কিছু জবানবন্দি এবং নতুন প্রমাণ সংগ্রহের ফলে সিপিএমের কিছু গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের নাম উঠে আসে কমিশন সূত্র অনুসারে, কিছু দলিল প্রমাণিত হয়েছে যে কসবা-যাদবপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ সিপিএম নেতারা ১৯৮২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৬তারিখে পিকনিক গার্ডেনের কলোনী বাজারে মার্গিদের সাথে আলোচনা করতে মিলিত হন, যার সদর দফতর তখন সেই সময়ে তিলজালায় ছিল।
বৈঠকে গত বামফ্রন্টর সরকারের মন্ত্রী কান্তি গাঙ্গুলি উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে; সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক শচীন সেন এখন মারা গেছেন; নির্মল হালদার, স্থানীয় সিপিএম নেতা; অমল মজুমদার, ১০৮ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর (তিলজালা-কসবা); এবং যাদবপুরের ততকালীন সাংসদ এবং পরবর্তীকালে লোকসভার স্পিকার সোমনাথ চ্যাটার্জী।
মার্গীদের বিরুদ্ধে কেন ছিল সিপিএমের? তাদের অসুবিধেটাই বা কি ছিল?আসলে আনন্দ মার্গিরা আদর্শগতভাবে কমিউনিস্টদের বিরোধী ছিলেন এবং আশির দশকের গোড়ার দিকে সিপিএম তাদের কর্মকাণ্ড নিয়ে গভীর সন্দেহ করেছিল। মার্গীদের ওপর প্রথম আক্রমণটি ১৯৬৭ সালে তাদের পুরুলিয়া গ্লোবাল সদর দফতরে হয়েছিল, যেখানে সিপিএম ক্যাডারদের দ্বারা পাঁচজন মার্গিকে হত্যা করা হয়েছিল।
এর দু’বছর পরে, কোচবিহারে মার্গীদের এক সম্মেলনে আক্রমণ করা হয়েছিল। সিপিএম সর্বদা বিশ্বাস করেছিল যে রাজনৈতিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা এবং এজেন্ডা মার্গার আধ্যাত্মিক-ধর্মীয় আচ্ছাদনটির নীচে থাকে (অর্থাৎ তারা তাদের রাজনৈতিক জমি হারানোর ভয় পেয়েছিল)। ১৯৮২ সালের হামলার পরেও, ১৯৯০ সালের এপ্রিলে পুরুলিয়ায় পাঁচ আনন্দ মার্গিকে হত্যা করা হয়েছিল, এক্ষেত্রেও অভিযোগের তীর সেই সিপিএম ক্যাডারদের দিকেই ছিল।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, আনন্দ মার্গী কারা এবং তাদের আদর্শই বা কী?
এটি একটি আধ্যাত্মিক-ধর্মীয় সম্প্রদায়, যার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত প্রভাত রঞ্জন সরকার ১৯৫৯ সালে ‘PROUT’ – বা প্রগ্রেসিভ ইউটিলাইজেশন থিয়োরির প্রস্তাব করেছিলেন – যা কমিউনিজম এবং পুঁজিবাদের উভয়ের বিরোধী ছিল এবং যার মূল উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ছিল একেবারে তৃণমূল স্তরে “আর্থ-সামাজিক গণতন্ত্র”। সরকার তাঁর দর্শনকে “নব্য-মানবতাবাদ” বলে অভিহিত করেছেন। এর আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলি বৈদিক এবং তন্ত্রিক আচারের সংশ্লেষণ ছিল, প্রাথমিক দিনগুলিতে মানুষের খুলি ধারণ করে নাচা সহ।
30 এপ্রিল, 1982 এ কি হয়েছিল?
দেশজুড়ে আনন্দ মার্গীদের তিলজালা কেন্দ্রে একটি “শিক্ষামূলক সম্মেলনের” আয়োজন করা হয়েছিল। পথটি এখন দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ অঞ্চলে বিজন সেতু নামে পরিচিত সন্ন্যাসী এবং সন্যাসিনি বহনকারী ট্যাক্সিগুলিকে কমপক্ষে তিনটি পৃথক স্থানে বাধা দেওয়া হয়েছিল, পেট্রল এবং কেরোসিনে ফেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই ঘটনায় কমপক্ষে ১৬জন সন্যাসী ও একজন সন্যাসিনি মারা গিয়েছিলেন এবং আরও বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এই ঘটনা ঘটানোর আগে একটা কল্পিত প্রেক্ষাপটও তৈরি করা হয়েছিল যাতে এই ঘটনাকে জনরোষ বলে চালিয়ে দেওয়া যায়, তাই স্থানীয় লোকজনদের কাছে রটিয়ে দেওয়া হয় যে মার্গিরা বাচ্চাদের অপহরণ ও পাচার করে। সিপিএম দাবি করেছে যে এই হত্যাকাণ্ডটি সরকারকে বদনাম করার জন্য আনন্দ মার্গীরা নিজেরাই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। কি অদ্ভুত কল্পনা শক্তি ভাবুন একবার।
রাজ্য সরকার কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাল?
একটা লোক দেখানো তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল্ যা, কোনো কাজ করেনি এবং একটি শুনানিও হয়নি। জুডিশিয়াল কমিশনগুলির জন্য বাধ্যতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও প্রতিবেদন রাজ্য বিধানসভার সামনে রাখা হয়নি। তখন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু বলেছিলেন, “কী আর করা যাবে? এই জাতীয় ঘটনা তো ঘটেই থাকে”, শুধু তাই নয় একটা প্রছন্ন হুমকিও প্রকাশিত হয়েছিল, তত্কালীন সিপিএম বিধায়ক শচীন সেন তার ১০,০০০ কর্মী নিয়ে মার্গিদের কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কী পরিণতি হতে পারে তা জানতে চেয়েছিলেন। রাজ্যের সিআইডি তদন্তে কোনও ফলাফল পাওয়া যায়নি। কখনও ন্যায়বিচার করা হয়নি।
প্রসঙ্গক্রমে এনাদের সম্পর্কে কয়েকটি কথা না বললেই নয়। আনন্দমার্গ তথা আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘ স্থাপন করা হয় ১লা জানুয়ারী ১৯৫৫ খ্রীস্টাব্দে ভারতের অঙ্গরাজ্য বিহারের জামালপুরে প্রভাতরঞ্জন সরকার তথা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি কর্ত্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সামাজিক ও আধ্যাত্মিক প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে এই সংঘটনটি বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আনন্দমার্গ দর্শনের মূলকথা হল “আত্মমোক্ষার্থং জগদ্ধিতায় চ” অর্থাৎ, আত্মার মোক্ষপ্রাপ্তি ও জগতের কল্যাণ সাধন করা। ১৯৬০ এর দশকে, সংগঠনটি ভারতে দ্রুত প্রসারিত হয়েছিল, এবং অন্যান্য মহাদেশগুলিতে আচার্যদের মিশনারি হিসাবে প্রেরণ করেছিল। ভারতে আনন্দ মার্গের জনপ্রিয়তা পশ্চিমবঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টির সাথে সংস্থাটিকে সরাসরি সংঘাতের মুখে ফেলেছিল। কমিউনিস্ট নেতাদের উস্কানিতে ১৯৬৭ সালে আনন্দ মার্গের সদর দফতরটি স্থানীয়দের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল।
আনন্দ মার্গের আচার্যদের দ্বারা ভারত সরকারের দুর্নীতির সমালোচনাও প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাথে সংস্থাটিকে দ্বন্দ্বের মুখে ফেলেছিল। ১৯৭১ সালে আনন্দ মার্গের সদস্যদের হত্যার অভিযোগে সরকার ভারতে কারাবরণ করেছিলেন। ১৯৭৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দুষ্কৃতিদের নির্দেশে কারাগারের ডাক্তার দ্বারা কারাগারে সরকারের উপর বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল। ১ এপ্রিল, সুস্থ হয়ে ওঠার পরে সরকার তার বিষক্রিয়া অনুসন্ধানের দাবির সমর্থনে উপোস শুরু করেন। সেই দাবি কখনও মেটেনি। সুতরাং তিনি সমস্ত অভিযোগ থেকে খালাস পাওয়ার পরে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭৮ সালের ২ আগস্ট পর্যন্ত পরবর্তী পাঁচ বছর, চার মাস এবং দুই দিন তিনি অনশন চালিয়ে যান।
সমগ্র বিশ্বে সর্বাত্মক সেবামূলক কাজ চালিয়ে যাবার জন্য আনন্দমার্গের ৯টি প্রধান সেক্টর বা হেডকোয়ার্টার রয়েছে।এগুলো হলো – দিল্লি সেক্টর, হংকং সেক্টর, ম্যানিলা সেক্টর, নিউইয়র্ক সেক্টর, জর্জটাউন সেক্টর, সুবা সেক্টর, কায়রো সেক্টর, নাইরোবি সেক্টর এবং বার্লিন সেক্টর। বিশাল কর্মযজ্ঞকে সাফল্যমন্ডিত করে তোলার জন্য আনন্দমার্গের মোট ২৮টি বিভাগ রয়েছে। এই বিভাগগুলোর আবার উপবিভাগও রয়েছে।
আনন্দমার্গের আদর্শ সম্পর্কিত কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়–গুরু, গুরু সকাশ, নমস্কার, যোগসাধনা ও সাধনাক্রম (ছয়টি অধ্যায়), দীক্ষা, প্রভাত সঙ্গীত, পাঞ্চজন্য, কীর্ত্তন (বাবা নাম কেবলম্), চরম নির্দেশ, ধর্মচক্র, ধর্মমহাচক্র, সেমিনার, তত্ত্বসভা, স্বাধ্যায়, প্রতীক, পতাকা, মার্গীয় অনুশাসন,স্নান-বিধি,উপবাস বিধি,যম-নিয়ম,আসন, প্রাণায়াম,কৌষিকী নৃত্য,তান্ডব নৃত্য, ষোড়শ-বিধি, পঞ্চদশ শীল, সকল প্রকার জীবের সেবা ও ত্রাণকার্য, শিক্ষা,সাহিত্য, সমাজ আন্দোলন, কুসংস্কারমুক্ত সমস্ত ধরণের সামাজিক অনুষ্ঠান পালন, পনবিহীন বৈপ্লবিক বিবাহ, এক মানবসমাজ, মানবধর্ম, কৃষি গবেষণা, ইত্যাদি।
শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী ও আনন্দমার্গের বর্ষানুক্রমিক ইতিহাস (অসম্পূর্ণ)–
১৯২১ – বিহারের জামালপুরে ২১শে মে আনন্দমার্গের প্রতিষ্ঠাতা প্রভাতরঞ্জন সরকার তথা শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জন্ম গ্রহণ করেন।
১৯৩৯ – শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কলকাতার কাশীমিত্র ঘাটে শ্রাবণী পূর্ণিমার দিনে জ্যোৎস্নাপ্লাবিত গঙ্গাতীরে কুখ্যাত কালী ডাকাতকে (কালীচরণ ব্যানার্জি) প্রথম দীক্ষাদান করেন।
১৯৫৪ – শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী কর্তৃক সমবেত শিষ্যদের মধ্যে প্রথম ধর্মীয় প্রবচন প্রদান।
১৯৫৫ – ১লা জানুয়ারী আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘের প্রতিষ্ঠা হয়।
১৯৫৮ – Renaissance Universal (RU) প্রতিষ্ঠা।
১৯৫৯ – প্রগতিশীল ব্যবহারিক তত্ত্ব-এর উপর প্রথম আলোকপাত।
১৯৬২ – প্রথম অবধূত (সন্ন্যাস জীবনের সর্বোচ্চ স্তর) দীক্ষিত হন।
১৯৬৩ – Education, Relief and Welfare Section (ERAWS) প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৪ – Ananda Marga Board of Education প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৫ – Women’s Welfare Department (WWD) এবং Ananda Marga Universal Relief Team (AMURT) প্রতিষ্ঠা।
১৯৬৬ – আনন্দমার্গ কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়।
১৯৬৭ – বহির্ভারতে ধর্ম প্রচারের জন্য প্রথম সন্ন্যাসীর যাত্রা। ৫-ই মার্চ আনন্দনগরে কমিউনিস্টরা পাঁচজন সর্বত্যাগী সন্ন্যাসীকে হত্যা করে।
১৯৭১ – বারাণসী ধর্মমহাচক্রে যাবার প্রাক্কালে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীকে পাটনায় গ্রেপ্তার (মিথ্যা অজুহাত ও বলপূর্বক)।
১৯৭৩ – ১২ই ফেব্রুয়ারী শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীকে পাটনায় বাঁকীপুর কেন্দ্রীয় কারায় ওষুধের নামে বিষপ্রয়োগ করা হয়। ১লা এপ্রিল থেকে তিনি রেকর্ড সৃষ্টিকারী অনশন শুরু করেন।
১৯৭৮ – পাটনা হাইকোর্টের রায়ে শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী নির্দোষ প্রমাণিত হন। ৫ বৎসর ৪ মাস ২ দিন ব্যাপী ম্যারাথন অনশন করার পর ২রা আগস্ট জেল থেকে ছাড়া পান।
১৯৮২ – নব্যমানবতাবাদ (Neohumanism) দর্শন প্রদান। প্রভাত সঙ্গীত-এর রচনা শুরু। কলকাতার রাজপথে প্রকাশ্য দিবালোকে ৩০শে এপ্রিল মার্কসবাদী কমিউনিস্টদের ভাড়াটে গুন্ডারা সংঘের ১৭ জন সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনীকে নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়।
১৯৮৭ – শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজী জড় ও চেতনের সংযোগকারী সত্তা মাইক্রোবাইটাম তত্ত্ব দেন।
১৯৯০ – ৭-ই মে কলকাতা হাইকোর্ট তান্ডব নৃত্যকে আনন্দমার্গীদের অপরিহার্য ধর্মীয় অনুশীলন হিসেবে মান্যতা দেন। ২১ অক্টোবর শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তিজীর মহাপ্রয়াণ ঘটে।
১৯৯১ – UNO দ্বারা AMURT-কে আন্তর্জাতিক NGO-র স্বীকৃতি প্রদান।
১৯৯৬ – ভারতের সুপ্রিমকোর্ট আনন্দ মার্গ প্রচারক সংঘকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন।
।। নির্দেশ।।
“যে দু’বেলা নিয়মিত রূপে সাধনা করে, মৃত্যুকালে পরমপুরুষের কথা তার মনে জাগবেই জাগবে ও মুক্তি সে পাবেই পাবে–তাই প্রতিটি আনন্দমার্গীকে দু’বেলা সাধনা করতেই হবে।ইহাই পরমপুরুষের নির্দেশ।যম-নিয়ম ব্যতিরেকে সাধনা হয় না–তাই যম-নিয়ম মানাও পরমপুরুষেরই নির্দেশ।এই নির্দেশ অমান্য করার অর্থ হ’ল কোটি কোটি বৎসর পশুজীবনের ক্লেশে দগ্ধ হওয়া।কোন মানুষকেই যাতে সেই ক্লেশে দগ্ধ হ’তে না হয়,সবাই যাতে পরমপুরুষের স্নেহচ্ছায়ায় এসে শাশ্বতী শান্তি লাভ করে, তজ্জন্য সকল মানুষকে আনন্দমার্গের কল্যাণের পথে নিয়ে’ আসার চেষ্টা করা প্রতিটি আনন্দমার্গীর অবশ্য করণীয়।অন্যকে সৎপথের নির্দেশনা দেওয়া সাধনারই অঙ্গ।”–শ্রীশ্রীআনন্দমূর্ত্তি।
শেষে এটুকুই শুধু বলতে চাই পাপ কখনো বাপকেও ছাড়েনা, তাই যারা এইসব নৃশংস ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটিয়েছিল তারা আজ বিলুপ্তির পথে।
উপরোক্ত ঘটনাবলীতে অন্যায়ের স্বীকার হওয়া মানুষদের আত্মার শান্তি কামনা করি এবং ন্যায় বিচারের আবেদন রাখি ।
কৃতজ্ঞতা স্বীকার:- Wikipedia, The Indian Express
***Published under freedom of expression any views expressed is author’s personal view IBG NEWS neither agree nor disagree with the same.***