খুব শীঘ্রই চালু হচ্ছে একটি সুসংহত ‘চা নীতি’
টি বোর্ড-এর চেয়ারম্যান সরকারি – বেসরকারি অংশীদারিত্বে উন্নয়নমূলক কর্মসূচিগ্রহণে গুরুত্ব দিলেন
আন্তর্জাতিক চা দিবসে উচ্চ গুণমানের সবুজ চা পাতা চয়নে চা-বাগানগুলির উৎসাহ
By PIB Kolkata
কলকাতা, ২৪ মে, ২০২১
যথাযোগ্য মর্যাদায় দ্বিতীয় দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক চা দিবস উদযাপন করল টি বোর্ড অফ ইন্ডিয়া। করোনা অতিমারির প্রেক্ষিতে সরকারের নির্ধারিত নিয়ম মেনেই বিশেষ অনুষ্ঠান এবং প্রচারমূলক কর্মসূচির আয়োজন করল টি বোর্ড।
এই উপলক্ষে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। সেই ওয়েবিনারের শিরোনাম “আন্তর্জাতিক চা দিবস এবং ভারতীয় চা শিল্পের তাৎপর্য”। অসমের শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব ডঃ কে কে দ্বিবেদী চা শিল্পের উন্নয়নে বিগত ২০০ বছর অসম সরকার যে সহযোগিতার যুগিয়েছে সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। তিনি এপ্রসঙ্গে চা শিল্পের সমগ্র উন্নয়নে একটি সুসংহত ‘চা নীতি’ যে অতি শীঘ্রই নেওয়া হতে চলেছে সে বিষয়টি উল্লেখ করেন। টি বোর্ড ইন্ডিয়ার চেয়ারম্যান শ্রী প্রভাত কমল বেজবরুয়া ২১ মে দিনটি কেন ‘আন্তর্জাতিক চা দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন। প্রসঙ্গক্রমে তিনি চা পর্ষদের সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলি এবং অন্যান্য সমিতি যে সমন্বয়সাধন করার চেষ্টা চলছে, পাশাপাশি, চা শিল্পের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মসূচিতে সরকারি – বেসরকারি আংশীদারিত্ব-কে যে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে সি বিষয়টি জানান। টি বোর্ড ইন্ডিয়ার ডেপুটি চেয়ারম্যান শ্রী পি কে শাহু বলেন, চা শিল্পকে ভিত্তি করে সুস্থায়ী শিল্প গঠনে বিশেষ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে যাতে এক্ষেত্রে যে দুর্বালতাগুলি রয়েছে সেগুলি দূর করা যায়। এই ওয়েবিনারে চা শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন পক্ষ তাদের দৃষ্টিভঙ্গী উপস্থাপন করেন। প্রত্যেকেই চা শিল্পের ক্ষেত্রে পণ্য উদ্ভাবন এবং চা –এর বিভিন্ন ধরণের মানকে কেন্দ্র করে এই জনপ্রিয় পানীয়টিকে সাধারণ পণ্য থেকে ব্র্যান্ডেড পণ্যে রূপান্তরিত করার প্রয়াস চালিয়ে যাওয়ার কথা উত্থাপন করেন।
একই সঙ্গে প্রচারমূলক কর্মসূচি অসমের বিভিন্ন চা বাগানে আয়োজিত হয়, যাতে আন্তর্জাতিক চা দিবস সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো যায় এবং চা –এর সঙ্গে যুক্ত সামাজিক, সংস্কৃতিক ও আর্থ গুরুত্ব সম্পর্কে মানুষকে ওয়াকিবহাল করা যায়। আন্তর্জাতিক চা দিবসে চা বাগানের শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য অঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আঞ্চলিক ভাষার সংবাদ মাধ্যমগুলিতে বিশেষ বিজ্ঞাপনের ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি আকাশবাণী, রেডিও মিরটি, রেডিও মিস্টি-র মতো বিভিন্ন রেডিও স্টেশনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক চা দিবস সম্পর্কে প্রচারমূলক তথ্য সম্প্রচার করা হয়।
এছাড়াও, সামাজিক মাধ্যমে বিভিন্ন আঙ্গিকে আন্তর্জাতিক চা দিবস সম্পর্কে প্রচার মূলক তথ্য আপলোড করা হয় যাতে চা পাতা তোলা থেকে একটু সুস্বাদু গরম পানীয় হিসেবে চা পাতার ব্যবহার সম্পর্কে সকলকে অবহিত করা যায়।
প্রসঙ্গত, ২১ মে, আন্তর্জাতিক চা দিবসে টি বোর্ড একটি বিশেষ চা পাতা চয়ন কর্মসূচির আয়োজন করে বিভিন্ন বাগানে। সর্বোচ্চ মানের সবুজ চা পাতা চয়ন করা হয় ওই দিনটিতে। জুন মাসে একটি বিশেষ নিলাম প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই এই চায়ের নিলাম হবে বলে জানিয়েছে টি বোর্ড। চা পাতা চয়নের সমগ্র প্রক্রিয়াটি কোভিড বিধি মেনে চালানো হয়।