খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল বাজরা সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলন ‘ভবিষ্যতে ভারতের প্রধান খাদ্য’-র উদ্বোধন করেছেন
By PIB Kolkata
কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিমন্ত্রী শ্রী প্রহ্লাদ সিং প্যাটেল আজ নতুন দিল্লিতে বাজরা সংক্রান্ত জাতীয় সম্মেলন ‘ভবিষ্যতে ভারতের প্রধান খাদ্য’-র উদ্বোধন করেছেন। বণিকসভা অ্যাসোচেম, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রকের সঙ্গে যৌথভাবে এই সম্মেলন আয়োজন করেছে। সম্মেলনে খাদ্য ও পুষ্টির বিষয়ে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা এবং এ সংক্রান্ত নানা সমস্যার সমাধান নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
উদ্বোধনী ভাষণে মন্ত্রী বলেন, দেশে ২০২০-২১ মরশুমে দানাশস্যের উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ৭৯ লক্ষ টনের বেশি। ২০১৫-১৬ মরশুমে দেশে দানাশস্য উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ১ কোটি ৪৫ লক্ষ টনের বেশি। এই সময়কালে বাজরা জাতীয় শস্য বা মিলেট উৎপাদন বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ৮ লক্ষ টনের বেশি।
শ্রী প্যাটেল বলেন, স্বাভাবিক পরিবেশে দানাশস্য দীর্ঘ সময়ে সংরক্ষণ করে রাখা যায়। তাই একে দুর্ভিক্ষের সময়ে মজুত খাদ্যভাণ্ডার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মিলেট, অর্থাৎ বাজরা, জওয়ার ও রাগি-র বিভিন্ন সুবিধার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি দেশের প্রাচীনতম খাদ্যশস্য। শুষ্ক অঞ্চলে অথবা অনুর্বর জমিতে এই শস্য সহজেই চাষ করা যায়। মন্ত্রী বলেন, মাত্র ৬৫ দিনে এইসব শস্যের বীজ থেকে শস্য তোলার কাজ সম্ভব হয়। যদি যথাযথভাবে বাজরা মজুত করা সম্ভব হয় তাহলে তা দু’বছরের বেশি সময় সংরক্ষণ করা যায়। কেন্দ্র ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত বাজরার ফলন সংক্রান্ত নিয়মাবলী সংশোধন করেছে। এর ফলে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে বাজরা পরিবহণে কোনও সমস্যা হবে না। ভারতীয় খাদ্য নিগম যেসব রাজ্যে বাজরার চাহিদা রয়েছে সেখানে সহজেই বাজরা সরবরাহ করতে পারবে। দেশে হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং তেলেঙ্গানায় বাজরা চাষ করা হয়।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ মন্ত্রকের যুগ্ম সচিব শ্রী মিনহাজ আলম জানান, বিশ্বজুড়ে বাজরা সম্পর্কে প্রচার চালানো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক স্তরে বাজরা রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারতের স্থান পঞ্চম। ২০২৩ সালকে ‘আন্তর্জাতিক বাজরা বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করায় এই শস্যের বিষয়ে আরও প্রচার চালানো সম্ভব হবে। শ্রী আলম আশা করেন, বাজরা উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ আসবে।