নেতাজী মূর্তিকে যেন কোনো অসৎ হাত স্পর্শ না করেন ।

0
2311
Follow Netaji Photo by Suman Munshi
Follow Netaji Photo by Suman Munshi
0 0
Azadi Ka Amrit Mahoutsav

InterServer Web Hosting and VPS
Read Time:14 Minute, 53 Second

নেতাজী মূর্তিকে যেন কোনো অসৎ হাত স্পর্শ না করেন ।

সুমন মুন্সী,কলকাতা
২২ জানুয়ারী ২০২৩

এই লেখা যারা পড়বেন তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি প্রথমেই, মানুষ না হলে , ভারতীয় না হলে,সৎ না হয়ে সততার প্রতীক হলে, এ লেখা পড়বেন না।

যদি কোনো রঙের দাস হন, বা ধান্দাবাজ নেতার চামচা, তাহলেও পড়বেন না। চামড়া জ্বলে গেলে আমাকে দায়ী করবেন না।

লেখা শুরু করবো ভারত তথা এশিয়ার মুক্তি সূর্য্য নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোসের এক বন্ধু ও সহযোগীর এক ঐতিহাসিক উক্তি কে তুলে ধরে।

বলতে লজ্জা নেই ছোটবেলায় ১৪ই নভেম্বর বা ২সরা অক্টোবর অনেক বড় দিন অনেক গুরুত্ব পূর্ণ নেতার দিন বলে মনে হতো। আর নেতাজী !! “তোমরা আমায় রক্ত দাও আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব, এই উক্তি কে কোথায় করেছিল?” পরীক্ষায় এই ২নম্বরের প্রশ্নের উত্তর ছিলেন শুধু।

তখন খাদ্য আন্দোলন , নকশাল আন্দোলন , হরতাল এই নিয়ে উত্তাল দিন। বাংলাদেশ যুদ্ধ , ইমার্জেন্সি আর গরিবি হাটাও স্লোগানের দিন। শুধু ২৩শে জানুয়ারী মরা জাতি জেগে উঠে বলতো “চল দিল্লী”। কে শুনতো সে কথা কে জানে, তবে, ভালো লোক কম শুনতো , মিথ্যাচারী প্রবঞ্চক স্বার্থানেষীরা দল বেঁধে দিল্লি চলে গেলো। এই বাংলা থেকেই কয়েক ডজন প্রতি পাঁচ বছরে একবার করে ।

দেশ কি এগোলো ৭০ বছরে কে জানে, তবে তাঁদের পরিবার ফুলে ফেঁপে উঠলো। আজ ৭৫ বছর পার করে সোনার বাংলা স্বাধীন বাংলাদেশ আর ভারতবর্ষের মাঝে একটা ফুটনোট স্টেট হয়ে থেকে গেলো । আর নেতাজি, বিবেকানন্দ রবিঠাকুর পূর্ণতা পেলেন বিদেশে, ভিন রাজ্যে। আর বাংলায় ক্ষুদিরামের মতন মহান নেতা পেলেন “বাড় খেয়ে ক্ষুদিরাম তকমা” লজ্জাও পায়না জাতি, সেই মহান বিপ্লবীর বলিদান কে নিয়ে শ্লেষ করতে!!

আগামী কাল ২৩শে জানুয়ারী সব ধান্দাবাজদের দেশভক্তর ভেক ধরার দিন। নিজের নিজের টিআরপি বাড়িয়ে নেবার দিন ।

এই প্রসঙ্গে স্বর্গীয় ক্ষিতীশ চন্দ্র মুন্সী ৭৫বছর আগে কি বলেছিলেন,আসুন জেনে নিন তাঁর একমাত্র ছেলের ঘরের নাতির কাছ থেকে।

তিনি বলেছিলেন “আগামী দিন এক বাঘের বাচ্চার জন্মদিন আর তা পালনের জন্য বহু শুয়োরের বাচ্চাদের নাচন কোদনের অন্ত নেই। শুয়োরের বাচ্চারা এটাও বোঝে না, বাঘের মূর্তির গলায় মালা পরাতে গেলেও যোগ্যতা লাগে। নির্লজ্জ্ব জনতা আর তাদের জারজ প্রভুদের উৎসবে পরিণত হয়েছে, স্বাধীন ভারতের মুক্তি সূর্য্যের আবির্ভাব দিন । একজন ভারতীয়র সাহস নেই বুক ঠুকে বলে, ওরে শুয়োরের বাচ্চা, নেতাজির গলায় তোরা নয়, মালা দিলে দিতে পারে সেই জওয়ান যে দেশের জন্য বর্ডারে, সিয়াছিনে বা রান অফ কচ্ছ এ দাঁড়িয়ে আছে।

একটা জালি নেতাও নেতাজির মূর্তিতে মালা দিলে, সেই নেতাকে জুতোর মালা পরিয়ে প্রতিসম্মান জানান হোক, কোনো নোংরা নেতার হাত যেন, এবার থেকে নেতাজি কে স্পর্শ না করে। ব্রিটিশ ও বিদেশী এজেন্টদের সরকার না সরলে, এই স্বাধীনতার সুফল দেশবাসি পাবেন না। ব্রিটিশের থেকেও ক্ষতিকর শক্তি দেশে বংশ বিস্তার করবে। এবং, দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। স্কুল গুলিতে নেতাজি, বিবেকানন্দ, ও ঈশ্বরচন্দ্রের জীবনী বিশদে পড়ানো হোক। প্রকৃত জ্ঞানী ও মরমী মানুষদেরকে শিক্ষক নিয়োগ করা হোক। নাহলে দেশ নৈতিক ওলাওঠায় মারা যাবে।”

জানুয়ারি ১৯৪৮ এ কথা বলেছিলেন প্রয়াত আজাদ হিন্দ বাহিনীর ও নেতাজির অন্যতম ছায়াসঙ্গী সহযোগী ও মান্দালয় জেলে একসাথে থাকা বিপ্লবী ক্ষিতীশ চন্দ্র মুন্সী, তাঁর বড় মেয়ে আগরপাড়ার ব্যোমকেশ চক্রবর্তীর স্ত্রীকে।

Subhas Ji wrote from Mandalay jail on June 13, 1925. Between January 26, 1926, and May 21, 1926, he wrote four letters to his father from Mandalay jail querying about other members of the Bose family. On December 12, 1926, he was at Rangoon Central Jail, but by April 13, 1927, he was shifted to Insein jail. নেতাজীর সাথেই মান্দালয়ের একই সেলে ছিলেন ক্ষিতীশ চন্দ্র মুন্সী। পাবনার,শাহজাদপুরের দামাল বিপ্লবী এবং সমূলে ব্রিটিশ উচ্ছেদে নিবেদিত প্রাণ। একথায় সুভাষের দোসর হয়ে উঠলেন, কখন তিনি হয়ে গেলেন নেতাজির প্রিয় ক্ষিতিশ দা, সে কথা আজ আর জানার উপায় নেই।

তবে পেগু থেকে লেখা ১৯২৪ সালের একটা ডেইরি আছে ক্ষিতিশ বাবুর নিজের হাতে লেখা, যা তাঁর বাংলা, সংস্কৃত , ইংলিশ , জ্যোতির্বিজ্ঞান ও বেদ পূরণের বুৎপত্যির নিদর্শন। ক্ষিতিশ চন্দ্র মুন্সী যোগীরাজ গম্ভীরনাথ জির থেকে স্বপ্নে দীক্ষা পেয়েছিলেন পেগু তে থাকা কালীন। সেকথাও সেই ডাইরিতে স্বহস্তে লিখে গেছে ১লা ডিসেম্বর ১৯২৪ এ ।

হয়তো আপোষহীন স্বাধীনতার জন্য লড়াই এর মানসিকতা ও প্রগাঢ় অধ্যাত্বিকতার প্রতি টান এই যুগলবন্ধি, এই দুই এনিমি অফ দ্যা এম্পেরর কে কাছাকাছি নিয়ে আসে, যা শেষ দিন পর্যন্ত্য অটুট ছিল। গুমনামী বাবা নেতাজি, না নেতাজি নয়, সে তর্ক তোলা থাক সিনেমা ব্যাপারীদের জন্য।

আজাদ হিন্দ বাহিনীর হয়ে কখনো সেজেছেন ভিখারি কাহন পাগল লালবাজারের ব্রিটিশ অফিসারদের থেকে ভিখারি সেজে ভিক্ষা নিয়েছে আর সেই টাকা আজাদ হিন্দ ফান্ডে দিয়ে হেসে বলতেন ব্রিটিশের টাকাতেই ব্রিটিশের শ্রাদ্ধ করবো সুভাষ জি। নিজের বর্মার সেগুন আর চুনির ব্যবসা বেঁচে সিঙ্গাপুরে নেতাজীকে তুলেদিলেন বিপুল অংকের টাকা এয়ার ফোর্স তৈরী হবে শর্ত একটাই কে দান করেছে কেউ যেন না জানেন। ইতিহাসে তাই জায়গা হয়না এমন বহু বিপ্লবীর তাঁদের জায়গা দিয়েছিলেন নেতার নেতা সুভাষজি তাঁর হৃদয়ে ।

শুধু ক্ষিতিশ বাবুর একমাত্র নাতি হিসাবে আর সেই ডাইরির উত্তরাধিকারী হিসাবে একটা কথা বলে যাই। নেতাজি ফিল্মের স্ক্রিপ্ট লিখলে হিচককের থ্রিলার স্ক্রিপ্টও লজ্জা পেত, না হলে কি “১৮ই অগাস্ট ১৯৪৫” সিনেমার মতো চিত্রনাট্য লিখতে পারতেন নেতাজি আর তাঁর সহযোদ্ধারা।!!

১৯৬৫ সালে কলেজস্ট্রিটের ভূদেব বাবুর বাড়িতে কে এসেছিলেন, যদি আন্দাজ করতে না পারেন, তবে সহজ পাঠ পড়ুন “জল পরে, পাতা নড়ে। পাগলা হাতি মাথা নাড়ে।। “।

The Indian National Army trials (also known as the INA trials and the Red Fort trials) was the British Indian trial by court-martial of a number of officers of the Indian National Army (INA) between November 1945 and May 1946, on various charges of treason, torture, murder and abetment to murder, during the Second World War by the Alliance Power and British Governments. But who will run the trial against the genocide of Bengal under Churchil’s Food Crisis plan?

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থামার পর লালকেল্লার বিচারে আজাদ হিন্দ বাহিনী মুক্ত ঘোষণা হয়েছে, ক্ষিতীশ সবে তখন গুপ্ত স্থান থেকে ফিরেছেন পাবনার দেশের বাড়িতে। ব্রিটিশ রেডিও বললো, “সুভাষ সহযোগী এনেমি অফ দ্যা এম্পেরর পাবনায় ফিরেছেন, প্রশাসন সতর্ক থাকুন”। হ্যাঁ প্রশাসন সতর্ক হয়েছিলেন ক্ষিতীশকে টাইট দিতে, তবে ব্রিটিশ নয়, স্বাধীন খণ্ডিত ভারতের সরকার!!

Noakhali riots in British Indian now in Bangladesh – [October 10, 1946] This Day in History. On 10 October 1946, riots engulfed the Noakhali and Tipperah Districts of Bengal (in present-day Bangladesh) where the Hindu community was targeted.

1946 কলকাতার দাঙ্গার উপযুক্ত জবাব যখন সোরাবর্দীর চামচাদের গোপাল পাঁঠা মানে গোপাল মূখোপাধ্যায় ও তাঁর দল দিলেন, এর প্রতিশোধে 1946 কোজাগরী পূর্ণিমার দিন হলো সুভাষের বাংলা আবার রক্তাক্ত। ধর্মের আগুনে পুড়ে মরল মানুষ ।

এরপর নেতাজীর সাধের দেশ হলো টুকরো, আর দুই পাড়ের শকুনদের ভোজ হল নিরীহ মানুষ। ১৯৪৬ দাঙ্গার পর ক্ষিতীশ চন্দ্র চলে এলেন বাদকুল্লায়, মন শরীর ভেঙে গেলো। শেষ জীবন কাটলো বেলঘরিয়া আগরপাড়ায় ব্যোমকেশ চক্রবর্তীর স্ত্রী তাঁর বড় মেয়ে আভারানীর কাছে।

ছেলে গুরুসাধন তখন মাত্র ১১ বছর, নিমুনিয়ায় চলে গেলেন ক্ষিতীশ চন্দ্র সাথে নিয়ে গেলেন ১৮ অগাস্ট এর স্ক্ৰিপ্ট যা নেতাজীর সাথে তৈরী করেছিলেন। একজন বিশ্বস্থ সিপাই, তাঁর জেনারেল কে দেয়া কথা রেখে ছিলেন; শেষ দিন পর্যন্ত্য কাউকে বলে যাননি, কি হয়েছিল, ১৮ই অগাস্ট শুধু মুচকি হেসে বলতেন,”যাঁর প্ল্যান, সে আসলে তাঁকেই জিজ্ঞাসা করবেন, আমার বলা মানা আছে।”

কথা গুলো আজ আরো বেশি প্রাসঙ্গিক কিনা, দেশ ভক্তরা বিচার করবেন। নেতাজী কে আমরা ডেজারভ করিনা, তাই আদিখ্যেতা করে সারাবছর কাকের বিষ্ঠায় শোভিত তাঁর মূর্তি কে, একদিনের জন্য ধুয়ে মালা পরিয়ে, ভালো নাগরিক হবার ভান করবেন না। আমরা কি পারিনা যে, যে এলাকায় নেতাজির মূর্তি আছে, এক এক দিন এক একটি পরিবার মূর্তি টিতে মালা দিন ও পরিষ্কার করুন। অন্তত একদিন প্রমান হোক, সবাই যে শুয়োরের বাচ্চা নয়, কিছু মানুষ এখনো বাকি আছে বাংলায়, এই ভারতে।

ভেবে দেখবেন ভড়ং আর শ্রদ্ধা এক জিনিস নয়। তাই গুমনামী তাও ভালো , বদনামীর থেকে।

নেতাজীর সাথে আমার ব্যক্তিগত অদ্ভুত এক সমাপতন আছে কি জানেন, এবার শুনুন এই নেতাজি ভক্তের ওপর ঈশ্বরের আশীর্বাদের কাহিনী ।
আমার এক মেয়ের জন্ম ৩০সে ডিসেম্বর আর এক জনের ১৮ অগাস্ট । এবার দেখুন দুটি দিনের সাথে নেতাজির কি আশ্চর্য মিল ।

Subhash Chandra Bose on December 30, 1943 had hoisted Tricolour for the first time on free Indian soil at Cellular Jail of Port Blair during his visit to Andaman and declaring the island as the free territory from the British rule. It was much before India attained Independence in 1947. দিনটি স্বাধীন অখন্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর জাতীয়পতাকা তোলার দিন ।
এন্ড
On 18 August 1945, Netaji Subhas Chandra Bose boarded a Japanese bomber plane at Taipei, Taiwan (which was at that time Japanese-ruled Formosa) to escape to Manchuria. But the plane crashed just after take-off. Same date that Netaji planned to disappear for future plan execution. সেই ঐতিহাসিক মহাপ্রস্থানের নাটকের দিন ।

হয়তো ক্ষিতীশ চন্দ্র চেয়ে ছিলেন তাঁর নাতির দুই কন্যা আসুক নেতাজীর দুটি উল্লেখযোগ্য দিনে। আর তাঁর এক নাতনির ছেলেও এসেছে কোনদিন জানেন, ২৩শে জানুয়ারী।

এক নেতাজি ভক্তের উত্তরাধিকারের দিন গুলি শুধুই নেতাজিময় আর নেতাজি কে ঘিরে, ঈশ্বরও বোধহয় ক্ষিতীশ চন্দ্র মুন্সী আর নেতাজীর সম্পর্ক কে এই ভাবেই অমর করে দিলেন।

আবার এক ২৩শে জানুয়ারী , আবার নেতাজির এক লাঞ্ছনার দিন অসৎ দেশবিরোধী রাজনৈতিক নেতা, আমলা আর জনতার হাতে মালা পড়ার দিন।

ক্ষমা কারো নেতাজী , তবু বলি শুভ জন্মদিন ভারত মায়ের শ্রেষ্ঠ সন্তান আপনাকে প্রণাম ।

About Post Author

Editor Desk

Antara Tripathy M.Sc., B.Ed. by qualification and bring 15 years of media reporting experience.. Coverred many illustarted events like, G20, ICC,MCCI,British High Commission, Bangladesh etc. She took over from the founder Editor of IBG NEWS Suman Munshi (15/Mar/2012- 09/Aug/2018 and October 2020 to 13 June 2023).
Happy
Happy
0 %
Sad
Sad
0 %
Excited
Excited
0 %
Sleepy
Sleepy
0 %
Angry
Angry
0 %
Surprise
Surprise
0 %
Advertisements

USD





LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here